যে জীবন চলে কাপড়ের ফুলে!

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে বসন্তের হাওয়া। বসন্তকে রাঙাতে ফুল যুক্ত করে আলাদা সৌন্দর্য। এমনই এক সৌন্দর্যের ফেরিওয়ালা মো. মানিক (৩০)। তার কাছে রয়েছে নানান রঙের ফুল।

তবে এসব ফুলে নেই কোনো সুবাস। কারণ মানিকের কাছে থাকা ফুলগুলো কাপড়ে তৈরি। জেলা থেকে জেলা, ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের আঙ্গিনায় গিয়ে এসব ফুল বিক্রি করেন মানিক। হরেক রঙের এসব ফুল নিজ বাড়িতেই তৈরি করেন মানিকের স্ত্রী পলি বেগম।

মঙ্গলবার সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ইলিশা কান্দি গ্রামের পশ্চিম চরউমেদ ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাপড়ের ফুল বিক্রি করতে দেখা যায় মানিককে।

এসময় তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার জাম গ্রামের মো. সমছের আলীর ছেলে তিনি। তার সংসারে ২ মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। মানিক বলেন, গ্রামে কৃষি মৌসুমে দিনমজুরী কাজ করে সংসার চালাই।

যখন গ্রামে কাজ না থাকে তখন আমার স্ত্রীর তৈরি করা বিভিন্ন রঙের কাপড়ের লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, সূর্যমুখী ফুল ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। অনেক সময় জীবিকার তাগিদে বেরিয়ে পড়ি এক জেলা থেকে অন্য জেলায়ও।

তিনি আরো জানান, একটি ফুল তৈরি করতে খরচ হয় ৪ থেকে ৫ টাকা। বিক্রি করি ১০ টাকা। এতে করে দৈনিক খরচ বাদে আয় হয় ৫ থেকে ৬ শত টাকা। যা দিয়েই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আমার সংসার চলে।

পশ্চিম চরউমেদ ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন বলেন, অনেক সময় স্কুলের সামনে বিভিন্ন লোক এসে ফুল বিক্রি করে। ফুল মানুষের মন ভালো করে। এসব ফুলে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদেরও মানসিকতা ঠিক থাকে। অনেক শিশুই শখ করে এসব কাপড়ের ফুল কিনছে।