আগৈলঝাড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র সংবাদ সম্মেলন

পলাশ দত্ত, আগৈলঝাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৮টি পরিবারের জন্য নতুন পাকা বাড়ি উদ্বোধনের লক্ষে আগৈলঝাড়া উপজেলার সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন।

গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন, আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, কেএম আজাদ রহমান, সাধারন সম্পাদক তপন বসু, সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম শামীম, প্রবীর বিশ্বাস ননী, দপ্তর সম্পাদক পলাশ দত্ত, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক এফ এম নাজমুল রিপনসহ প্রমুখ।

আগামী ২২ মার্চ বুধবার সারা দেশের সাথে একযোগে আগৈলঝাড়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৮টি পরিবারের জন্য জমিসহ নতুন পাকা বাড়ি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, পতিহার মৌজায় অবৈধ ভাবে দখল করা ৫৮শতাংশ জমি উদ্ধার করে সরকারের সেই জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।

মুজিবর্ষে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় উদ্বোধনের জন্য ইতোমধ্যেই ৩৮টি বাড়ির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাই করে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই শতক জমিসহ ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মোট ২শত ২২টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের আওতায় এনে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩৬টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৯৬টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ৭৫টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ ধাপে পাকা বাড়ি নির্মাণ শেষে ৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন উপকারভোগীদের মাঝে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে। সর্বশেষ চতুর্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট ৭৫টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তার মধ্যে ৩৮টি ঘরের কাজ শেষ হয়েছে।

অবশিষ্ট ৩৭টি ঘরের কাজ এখনো (চলমান) নির্মাণাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও পাকা বাড়ি স্থান্তরের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।