কলকাতা অধিনায়কের স্ত্রীকে রাস্তায় দুই যুবকের হেনস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: দুই যুবকের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অধিনায়ক নীতীশ রানার স্ত্রী সাচি মারওয়াকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দিল্লির রাস্তায় এই অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। খবর জিও নিউজের।

সংবাদে বলা হয়, দিল্লির কীর্তি নগরে শনিবার রাত সাড়ে আটটায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে সাচির গাড়ি ধাওয়া করে। এই ঘটনায় বেশ ভয় পেয়েছিলেন তিনি। এর পরে বিবেক নামে ১৮ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাচি গাড়ি করেই কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে মোটরসাইকেলে করে দুষ্কৃতী দু’জন তাকে ধাওয়া করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, তার গাড়িতে আঘাতও করে। সাচি পরে ভয়ংকর ঘটনাটি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি দাবি করেছেন, তিনি দিল্লি পুলিশকে বিষয়টি রিপোর্ট করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষও কোনো সাহায্য করেনি। যখন তিনি অভিযোগ নথিভুক্ত করার চেষ্টা করেন, তখন তাকে বলা হয়েছিল যে, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিতে। কারণ তিনি ইতিমধ্যে ‘নিরাপদ ভাবে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন।’

পুলিশ আরও পরামর্শ দিয়েছিল যে, পরবর্তীতে যেন এ রকম ঘটনা ঘটলে সাচি মারওয়া দুষ্কৃতিদের গাড়ির নম্বর নোট করে রাখেন। এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে সাচি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রাগ এবং ব্যঙ্গ মিশিয়ে লেখেন, ‘দিল্লিতে রোজকার মতোই একটি দিন ছিল।

কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই লোকগুলো এলোমেলো ভাবে আমার গাড়িতে ধাক্কা মারতে শুরু করে! কোনো কারণ ছাড়াই। আমার গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে এবং আমি অভিযোগ করলে পুলিশ আমাকে ফোনে বলে, এখন আপনি নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। তাই ঘটনাটি বাদ দিন। পরের বার গাড়ির নম্বর নোট করে নেবেন। আরে ক্যাপ্টেন, পরের বার, আমি ওদের ফোন নম্বরও নেব!’

পরে এই স্টোরির স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দুষ্কৃতিদের মুখ স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, সেখানে দিল্লি পুলিশ প্রথমেই কেন কোনো ব্যবস্থা নিতে চায়নি, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। নেটিজেনরা দিল্লি পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সেই যুবকদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানায়, সাচির ইনস্টাগ্রাম স্টোরি ভাইরাল হওয়ার পর চাপে পড়েই হয়তো তৎপর হয় দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পশ্চিমের ডেপুটি কমিশনার ঘনশ্যাম বানসাল বলেন যে, ‘শনিবার কীর্তি নগর থানায় একজন নারীর শালীনতা ক্ষুন্ন করার জন্য ১৮ বছরের বিবেক নামে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি শক্তি ব্যবহার, ধাওয়া এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হয়রানির ঘটনাটি রাগের কারণে বলে বলে মনে হয়েছিল। তবে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। আমরা অন্য সন্দেহভাজনকেও খুঁজছি।’