বরিশাল: উজিরপুরে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে ৭ মাসের পেনশনের টাকা ফেরৎ পেলেন এক বৃদ্ধ স্কুল শিক্ষক। পেনশন ভাতা নিয়ে ছেলে জামাতার টানা-টানি, সোনালী ব্যাংকে হুলুস্থুল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সানুহার গ্রামে মৃত গফুর মিঞার ছেলে সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাস্টার মতিউর রহমান (৯৯)।

 

তার তিন ছেলে তিন মেয়ে বড় ছেলে মহসিন মিঞা ঢাকায় ভালো অবস্থানে আছে, মেজো ছেলে জাহিদুল ইসলাম পিতার বাড়ী দেখাশুনা করেন, ছোট ছেলে সেনা সদস্য মাহাবুব আলম তিনিও ঢাকায় বেশ ভালো অবস্থানে আছেন। অপরদিকে সনামধন্য জামাতা সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আলী আহম্মদ খান সুনামের সহিত উজিরপুর সোনালী ব্যাংকে চাকুরী জীবন শেষ করেন এবং সকল কর্মকর্তারা তাকে ভালো হিসেবেই জানে।

 

প্রতিমাসে পেনশন পান ৪ হাজার ৭ শত টাকা করে তবে অক্টোবর ২০১৫ থেকে এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত ৭ মাসের মাষ্টার মতিউর রহমান কোন ভাতা উত্তোলন করেনি, তার মেঝ ছেলে জাহিদুল ইসলাম খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ব্যাংকে পিতার তহবিলে কোন টাকা নেই। তার টাকা কোথায় গেল। এজন্য তিনি ব্যাংক ম্যানেজার বরাবরে টাকা চেয়ে একটি আবেদন করে তখন ম্যানেজার কাগজপত্র যাচাই করে দেখতে পান তার জামাতা আলী আহম্মদ খান স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করেন।

 

 

এনিয়ে হুলুস্থল শুরু হলে ম্যানেজার আলী আহম্মদ কে ডেকে এনে সমাধানের জন্য ৩ মে ধার্য করে। এদিকে জামাতা তার দলবল নিয়ে ব্যাংক এরিয়ায় হাজির হয়। অপর দিকে ছেলে জাহিদুল ইসলাম লোকজন নিয়ে পিতাকে সাথে করে ব্যাংকে হাজির হয়। এক গ্র“পে জামাতা ও ছোট ছেলে মাহাবুব আলম অন্য গ্র“পে জাহিদুল ইসলাম। কেহই পিতার টাকা ছাড়তে নারাজ।

 

জানা গেল জামাতা ৩৫ হাজার ৯ শত ৬০ টাকা উত্তোলন করে মাহাবুব আলমকে ১০ হাজার ও মহসিন মিঞাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছে। সমস্যায় রয়ে গেলেন জামাতা, পুরো টাকাই গুনতে হলো তার। মাহাবুব আলম ১০ হাজার টাকা না দিয়ে বাবার ভাগের টাকা নিয়ে শটকে পরেন। জাহিদুল আলম পিতার পক্ষ নিয়ে মহাসুখে পুরো টাকা নিয়ে বাড়ীতে ফিরে জান। এ নিয়ে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সোনালী ব্যাংকে চলে দেন দরবার। তবে প্রশ্ন হলো একজনের পেনশনের ভাতা কীভাবে স্বাক্ষর জাল করে ৭ মাসের টাকা উত্তোলন করলেন জামাতা। ছেলেদের টাকা কারা-কারি নিয়ে কয়েক দফায় টানাহেছড়ার ঘটনাও ঘটেছে। কৌতুহলী লোকজন ওই মূহুতে হাঁসিঠাট্টায় মেতেছে।