বরিশাল: পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে চলমান ধর্মঘট পালনের ডাকে কোন ধরনের সাড়া দেয়নি বরিশালের নেতাকর্মীরা। ধর্মঘটের প্রথম দিন রোববারও প্রতিদিনের ন্যায় বাসে যাত্রী পরিবহন করে যাচ্ছে শ্রমিকরা। যে কারণে ফলে ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি বিভাগীয় শহর বরিশালে।’

 

অবশ্য বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টারমিনালে নথুল্যাবাদ ঘুরেও সেই দৃশ্য প্রতীয়মান হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় যাত্রী পরিবহন করে যাচ্ছে শ্রমিকরা। যাত্রী বোঝাই করে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ রুটে ছেড়ে যাচ্ছে বাসগুলো। এমনকি দুরপাল্লার বাসগুলো ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যে বিষয়টি মালিক এবং শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদককেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

অথচ সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক-তারেকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে শনিবার রাতে বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ১৩ জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠনটি। সেই ডাকে খুলনার ১০ জেলায় ধর্মঘটে অচালাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তদুপরি বলা চলে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে দ্বিমত প্রকাশ করেছে বরিশালের নেতারা।

 

তবে বরিশালের শ্রমিক নেতাদের দাবি, এ জেলা ধর্মঘটের আওয়াতামুক্ত। যে কারণে হওয়ায় বিগত দিনের ন্যায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বরিশাল জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাষ্য হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কোন বিভক্তি বা দ্বিমত সিদ্ধান্ত নেই। ধর্মঘটের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে বিষয়ক কোন নির্দশনা দেয়নি। যে কারণে অন্যান্য দিনের ন্যায় যাত্রী পরিবহন চলছে।’

 

 

তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বক্স দুদু মুঠোফোনে জানিয়েছেন, খুলনার ১০ জেলায় ধর্মঘট ডাকার পরে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং বরিশালের শ্রমিক নেতারও একাত্বতা প্রকাশ করেছিলো। কিন্তু সকালে শুনেছি বরিশালে বাসা চলছে এবং ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যদিও বরিশালের নেতারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস ছেড়ে থাকে তাহলে ফরিদপুর এবং মাদারীপুর জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে আটকে দেয়া হবে।’