বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ মুর্হূতের আলোচনায় তেমন পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান পদে যথাক্রমে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসচিব পদেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচিত হবেন, এমনটাই দৃশ্যমান। এ পদে বিএনপির বেশ কয়েকজন যোগ্য নেতার নাম গণমাধ্যমে প্রচার হলেও তা আর ভারি হয়নি।

পদটিকে ঘিরে আলোচনায় থাকা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করেছেন, সাংবাদিকেরা তাকে মহাসচিব বানিয়েছে।

এদিকে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব সিনিয়র নেতা তার বিরোধীতা করে আসছিলেন তারাও কার্যত শান্ত।

অপরদিকে, কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকে এ পদ নিয়ে একপ্রকার চাপা টেনশনে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তা থেকে তিনি এখন অনেক মুক্ত। দেখা গেছে, বেশ ফুরফুরে মেজাজে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানস্থল পরির্দশন করেছেন। কিন্তু মহাসচিব পদটি তার জন্য প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর দলে অতিরিক্ত মহাসচিব পদ সৃষ্টির গুঞ্জন নতুন অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে।