পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজ বাড়ির সংলগ্ন সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার সংস্কার না করায় সেটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এটি দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- প্রায় ১০ বছর আগে হ্যালেঞ্চা খালের ওপর সরকারের স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে লোহার ভিম ও অ্যাঙ্গেলের ওপর সিমেন্টের তৈরি পাটাতন দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার সংস্কার না করায় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তবুও প্রয়োজনে মানুষকে ওই ঝুকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- লোহার ভিম ও অ্যাঙ্গেল বেঁকে গিয়ে সেতুটি আঁকাবাঁকা হয়ে হেলে পড়েছে। উপরের অনেক স্থানেই সিমেন্টর তৈরি পাটাতন সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্তের। ভেঙে গেছে সেতুর পাশের রেলিং। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সেতুর পাশে কোনো রকমভাবে বাঁশ দিয়ে আড়াআড়িভাবে বেঁধে রেখেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা সংস্কার কিংবা পুণঃনির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।

স্থানীয় মো. আব্বাস উদ্দিন নামের এক সমাজকর্মী বরিশালটাইমসকে জানান, সেতুটির দক্ষিণ পাশে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রাজাপুর সালেহিয়া দাখিল মাদরাসা রয়েছে। এই তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া করতে হয় সেতুটি দিয়ে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা এতটাই করুণ যে প্রায়ই শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনসাধারণ সেতুটির উপর দিয়ে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুণঃনির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, সেতুটির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।