বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মেহেদী (১৫) নামের এক ইভটিজিং মামলার আসামি পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে। বুধবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ২নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের গোলাম সরোয়ার ডাক্তার বাড়ি নামক স্থানে বোনকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় ভাই রাকিবকে মারধর করে একই উপজেলার কালাইমুদাফাত গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মেহেদী, ছোট গৌরিচন্নার বারঘরের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে তানভীর, গিলাতলী গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের আবু তায়েব মো. শাহা আলমের ছেলে আবু হাসান।

পরে খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট গৌরিচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ফারুক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মিলে রাকিব ও তার বোন লিজাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাকিব ওই বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র এবং লিজা ৭ম শ্রেণিতে পড়ে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ফারুক বাদী হয়ে ওইদিনই বরগুনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত আসামি মেহেদী, তানভীর ও সোহাগকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে আসামিদেরকে বরগুনার আদালতে হাজির করার উদ্দেশে জজ কোর্ট হাজতখানায় নেয়া হলে আসামি মেহেদী ডাব খাওয়ার কথা বলে কোর্ট হাজতখানার সামনে থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস মৃধা বরিশালটাইমসকে জানান, এ ধরনের একটি বিষয় শুনেছি, তবে অন্য আদালতে কর্মরত থাকায় পুরোপুরি খোঁজ খবর নিতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানবো।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদুজ্জামান বরিশালটাইমসকে জানান, আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের হাতে আমরা আসামি হস্তান্তর করেছি। তারপরে কি হয়েছে জানি না।’