সদরঘাটে সুন্দরবন-১১ লঞ্চের কেবিন বুকিং নিচ্ছিলেন সিরাজ উদ্দিন। লঞ্চপি ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে। সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘সিঙ্গেল এসি কেবিন এক হাজার ২০০ ও ননএসি এক হাজার টাকা। ডাবল এসি কেবিন ২ হাজার ২০০ ও ননএসি ২ হাজার টাকা।’

ঈদ ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে এই ভাড়া ২০০ টাকা করে কম থাকে বলেও জানান তিনি। ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে ডেকের ভাড়া এখন ২৫০ টাকা হলেও অন্যান্য সময়ে এই ভাড়া ২০০ টাকা থাকে।

ঢাকা থেকে বগা (পটুয়াখালীর একটি স্টেশন) যেতে ১৪ বা ১৫ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকিট নেয়ার জন্য মঙ্গলবার সদরঘাট আসেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ঘাটে এসে দেখি আমার রুটের লঞ্চ নদীর মাঝখানে নোঙর করে আছে। এদের কোনো কাউন্টার নেই, যেখান থেকে গিয়ে টিকিট নেব। নৌকা নিয়ে যে লঞ্চে যাবো তা ঝুঁকি।’

বাড়তি ভাড়ার নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রতিযোগিতার কারণে সারাবছর অনেক লঞ্চ সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া নেয়। এ ছাড়া ঈদের সময় একমুখী যাত্রী পরিবহন করতে হয়। তাই পোষাতে ভাড়া খানিকটা বাড়লেও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নেয়া হয় না।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে কি-না তা তদারকি করি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’