ধর্ম পরায়ণ দেশ হিসেবে বেশ নামডাক রয়েছে মিসরের। রমজান মাসে রোজা রেখেই প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচগুলো খেলেছিল তারা। সেই দলেরই এক সদস্যকে যদি পুরস্কারস্বরূপ দেয়া হয় মদের বোতল, তিনি কি সেটি নিতে পারেন!

না সেটি নেনওনি মিসরের গোলরক্ষক মোহামেদ এল শেনাউই। ঘটনা বিশ্বকাপে মিসরের প্রথম ম্যাচের। উরগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত হয় মিসর। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত গোলকিপিং করেন এল শেনাউই।

আর সে কারণেই ২৯ বছর বয়ষ্ক অনভিজ্ঞ এই গোলরক্ষককে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এবার বিশ্বকাপের ম্যাচসেরা পুরস্কার দেয়ার স্পন্সর বুডউইজার। প্রতি ম্যাচেই তারা ম্যাচসেরা খেলোয়াড়কে সুদৃশ একটি অ্যালকোহল বোতল দেয়।

কিন্তু এই বোতল তো মুসলমান অধ্যুষিত দেশের কোন ফুটবলারের নেয়ার সম্ভব না। তাই এটি ছুঁয়েও দেখেননি এল শেনাউই। ম্যাচশেষে বুডউইজারের একজন প্রতিনিধি তাকে এটি দিতে আসলে তিনি হাত দিয়ে বারণ করে দেন যে এটি গ্রহণ করবেন না।

ইউরোপিয়ান ফুটবল মুসলিম ফুটবলারদের এমন ধার্মিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রায় অর্ধযূগ ধরে ম্যাচসেরার পুরস্কারে অ্যালকোহল দেয়া বন্ধ রয়েছে। দেখার বিষয় মিসর, সৌদি আরব, তিউনিশিয়া, ইরানসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর কথা চিন্তা করে ফিফাও এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয় কিনা।