পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম বয়াতির বিরুদ্ধে পাঁচশ কুরা গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে ১৬৫ জন লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীরা বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ক্ষুব্দ হয়ে ওই নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত না পেয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।

অভিযোগে জানা গেছে- উপজেলা বড় সিংগা গ্রামের মৃতআ. হামিদ বয়াতির ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ও টিকিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম বয়াতি পাঁচশ

কুড়া গ্রামের ১৬৫ জন সহজ-সরল রিকশা, ভ্যানচালক, দিনমজুর ও জেলেদের কাজথেকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথাবলে পেয়াদা বাড়ি থেকে অধিকার বাড়ি পর্যন্ত ২০১৭ সালে মিটার প্রতি ১২০০ টাকা খাম্বা প্রতি ১৫ হাজার টাকা, এক পয়েন্ট কাজের মালামাল বাবদ বাধ্যতামূলক তার দোকান থেকে কেনার জন্য ২২শ টাকা করে জমা নেয়।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, তারইলেকট্রনিকস দোকান থেকে ২২শ টাকার মালামাল ক্রয় না করলে ওই এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না মর্মে এলাকায় তিনি প্রচার করেন। নিরুপায় হয়ে বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয় করি। জসিম বয়াতী আমাদের সাথে প্রতারণা করবে এটা কখনো ভাবিনি।

তার কাছে ওই টাকা ফেরত চাইলে পুনরায় তিনি ১৬৫ জনের কাছ থেকে ৮২ হাজার ৫শ টাকা অফিসে লাগবে বলে দাবি করেন।

মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ আফিসের ডিজি এম মকবুল আলম বরিশালটাইমসকে জানান, বিষয়টি শুনে আমি হতবাক এ ধরণের মিটারের টাকা বহিরাগত কোনো দালালের কাছে জমা দেয়ার বিধান নেই। যার কাছে তারা টাকা জমা দিয়েছে তাকে গণধোলাই দিয়ে টাকা আদায় করতে বলুন। মিটার বাবদ ৪৫০ টাকা করে অফিসিয়ালভাবে জমা নেয়া হয়।

অভিযুক্ত জসিম বয়াতির সাথে যোগাযোগকরা হলে তিনি বলেন, ১২০ জন লোকের কাজ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে।

তিনি সাংবাদিকদের সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।’