লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তারের অবহেলায় এক গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়েছে। প্রসবকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় রুমা নামের ওই মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে ভূমিষ্ট পুত্রশিশু সুস্থ্য আছে। বুধবার রাতে লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম ওই রোগীর ডেলিভারী করান। এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু হলে তাকে তরিগড়ি করে ভোলা হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন ডাক্তার। ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার সাথে সাথে রোগীর মৃত্যু হয়।

এসময় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্টাফদের সাথে রোগীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটে। উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বুধবার রাতে গজারিয়া থেকে আসা রুমা নামের এক প্রসূতিকে ভর্তি করানো হয়। সে গজারিয়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। আব্দুর রাজ্জাক জানান- তার স্ত্রীকে প্রসব করানোর জন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান।

এ হাসপাতালের নতুন মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম এফডব্লিউবি লাইজুকে নিয়ে ডেলিভারী করান। রোগীর জন্য রক্ত দাতা ঠিক না করেই ডেলিভারী করানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দিলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠে। পরে তাকে তড়িগরি করে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করানো হয়। সেখানে নেওয়ার সাথে সাথেই রুমার মৃত্যু ঘটে। শিশু পুত্রটি ভালো আছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনার পর ডা. আশরাফুর ইসলাম বৃহস্পতিবার নিজের কর্মস্থলে আসেননি।

তিনি মনপুরা চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ডা. আশরাফুল ইসলাম গাইনি বিশেষজ্ঞ না হলেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বদলী করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বাজারে ব্যক্তিগত চেম্বারে নিজেকে বাত, ব্যথা ও চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক বলে উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ জানান, গাইনি ডাক্তার দেওয়া লাগে সেরকম কোন নিয়ম নেই। একজন মেডিকেল অফিসার হলেই হলো। তবুও ডাক্তাররা আন্তরিক হয়ে চেষ্টা করেন। মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।’’