বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষের দিন শুরু হয় খুন, ধর্ষণ, দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক দলাদলি কিংবা সহিংস ঘটনার খবর জেনে। খবরের কাগজ হোক বা ওয়েব মিডিয়া, বেতার হোক বা টেলিভিশন, এসব খবর ও ছবিতে ঢেকে যায় প্রায় সবারই সকালের ড্রয়িংরুম।

তার পর দিনভর চলতে থাকে সেসব খবরের চুলচেরা বিশ্লেষণ, নয়তো তা নিয়ে ব্যাখ্যা ও চর্চা। এবার সে অভ্যাস বদলে দিতে নতুন পরিকল্পনা করছে গুগল।

সকাল সকাল গুগল হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট ও গুগল হোম মিনি-তে এক নতুন পরিষেবা শুরু করেছে গুগল। দুনিয়ার এই বৃহত্তম ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন এবার শুধুই ‘সুখবর’ শোনাবে গ্রাহককে। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট অন করে লিখতে হবে ‘গুগল, আমাকে ভালো সংবাদ দাও’। ব্যস এতোটুকুই।

এর পর দেশ-দুনিয়ার বাছাই করা মন ভালো করা খবর সামনে এসে হাজির করবে গুগল। এজন্য একটি বিশেষ খবরের সংস্থাও তৈরি করেছে গুগল। এই সংস্থাটির কাজই হবে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে ভালো খবরগুলো বাছাই করা। সেই বাছাই করা খবরগুলোই দেখানো হবে।

আপাতত এই পরিষেবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এটি সারাবিশ্বেই ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে গুগল। কোনো কোনো সংস্থার মোবাইলেও এই পরিষেবা চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে গুগল। সম্প্রতি নিজেদের ব্লগে এই প্রয়াসের কথা জানিয়েছে তারা, গুগল-এর মতে, এর ফলে মানুষকে কিছু ভালো খবর যেমন জানানো যাবে, তেমন খারাপ খবর পেতে পেতে তাদের ক্লান্তি ও হতাশাকেও কাটাতে সাহায্য করবে বাছাই করা সুসংবাদগুলো।

গবেষক ও মনোবিদরা বরাবরই দাবি করে আসছেন, এ ধরনের খবরের মধ্যে বাস করতে করতেই মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবণতি হচ্ছে। মনে মনে অস্থির ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। ছড়াচ্ছে হিংসার বীজ।