দিনাজপুর থেকে কুয়াকাটায় ছুটে এসে প্রতারক প্রেমিক শহিদুলের খপ্পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে গার্মেন্টকর্মী শাপলা (৩০)। দু’টি আবাসিক হোটেলে দুই দিন এক রাত আটকে কয়েক দফা তাকে গণধর্ষণ করা হয়।

অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন, দুই ভাড়াটে হোন্ডাচালক খলিলুর রহমান, রুবেল চৌকিদার, যমুনা গেস্ট হাউসের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, বেঙ্গল গেস্ট হাউসের ম্যানেজার সাইদুর রহমান সুমনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার বিকেলে শাপলাকে মহিপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে মূলহোতা প্রতারক প্রেমিক শহিদুল গাঁঢাকা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এ ঘটনায় মহিপুর থানায় আনুষ্ঠানিক এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন। এসময় কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল আহম্মেদ, মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- দিনাজপুরের বিরল থানার দৌলতপুর গ্রামের গার্মেন্ট কর্মী ৭ অক্টোবর রোববার সকালে হা মীম পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে কলাপাড়ায় এসে পৌঁছে। কলাপাড়া থেকে সে সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটায় পৌঁছে। পেয়ে যায় কথিত প্রেমিক শহিদুলকে। শহিদুল প্রেমিক শাপলাকে তার এক বন্ধুর ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায়। ওই বন্ধু গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেয়। শহিদুল কৌশলে সটকে পড়ে। তার এক সহযোগী আলমগীরকে বলে দেয় শাপলাকে বাসে তুলে ফেরত পাঠানোর জন্য। কিন্তু আলমগীর শাপলাকে বাসে তুলে না দিয়ে কৌশলে আবাসিক হোটেল যমুনা গেস্ট হাউসের ১০ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে মধ্য রাতে আলমগীর ও হোটেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম খুনের ভয় দেখিয়ে শাপলাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। রাতভর আটকে রাখা হয়।

এরপর সোমবার সকাল সাতটায় দিকে শাপলাকে আলমগীর ভাড়াটে হোন্ডাচালক খলিলুর রহমানের সহায়তায় নিয়ে যায় আরেক আবাসিক হোটেল বেঙ্গল গেস্ট হাউসে। ওই হোটেলের ১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখা হয়। সেখানে আটকে ফের গণধর্ষণ করা হয়। মহিপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এবং জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে। তবে মূলহোতা প্রতারক প্রেমিক এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতার পাঁচ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিমপুর ও চারজনের বাড়ি মহিপুরের বিপিনপুর গ্রামে।’