বরিশালে চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক ব্যবসায়ী। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ভাটারখাল এলাকাধীন সিএন্ডবি স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- মহানগর ছাত্রলীগ নেতা জর্ডন রোডের বাসিন্দা মৃত কার্তিক দাসের ছেলে প্রদীপ দাস, একই এলাকার ইউনুস খানের ছেলে ইউসুফ খান ও সিএন্ডবি স্টাফ কলোনীর বাসিন্দা মৃত বুলবুল আহমেদের ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ইশান আহমেদ বাবু (২৮)।

আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের স্বজনেরা জানিয়েছে- মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ভবন বর্ধিত করণ কাজ পেয়েছেন প্রদীপ ও ইউসুফ। গত চার দিন পূর্বে সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে গণপূর্ত বিভাগের দুর্নীতিতে আলোচিত হিসাবরক্ষক আবুল কালাম আজাদের ছেলে সিএন্ডবি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা মেহেদী হাসান মিথুন তার এলাকায় ঠিকাদারী কাজ করার জন্য ইউসুফ খান ও প্রদীপ দাসের কাছে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে তারা দু’জন। এনিয়ে প্রদীপের সাথে মিথুনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় মাদক ব্যবসায়ী মিথুন।

এর ধারাবাহিকতায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রদীপ দাস বাসা থেকে তার কাজের সাইডে যাবার পথে একে পেয়ে তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে মিথুন। এতে সে প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। তার চিৎকার শুনে ঠিকাদারী কাজের অংশিদার ইউসুফ ও স্থানীয় বাসিন্দা ইশান আহমেদ বাবু ছুটে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় বখাটে মিথুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- মিথুন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারী। ইতিপূর্বে সিটি মার্কেট এলাকা থেকে ইয়াবা এবং চাকুসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো। এছাড়া তার বাবা ভাটারখালের গণপূর্ত বিভাগের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতিতে আলোচিত।

যে বিষয়টি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।