পিরোজপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড রামানন্দ পালের বাসায় ঢুকে তার স্ত্রী অদিতি বড়ালকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের ডরমেটরি ভবনে এই ঘটনা ঘটে। আহত অদিতিকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত অদিতি বড়াল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কালিদাস বড়াল ও মহিলা সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়ালের মেয়ে।

এর আগে রামানন্দ পাল বেতাগী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে গত ৩ জুলাই অদিতি বড়ালকে আরও একবার ছুরিকাঘাত করা হয়।

এসিল্যান্ড রামানন্দ পাল জানান, সন্ধ্যায় তিনি ও তার স্ত্রী ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। এরপর স্ত্রীকে বাসায় রেখে তিনি জেলা প্রশাসকের বাসভবনে যান। কিছু সময় পর তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। খবর শুনেই তিনি পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। ঘটনার সময় বাসায় তার স্ত্রী ও গৃহকর্মী বন্যা ছিলেন।

গৃহকর্মী বন্যা জানান, নীল শার্ট পরা শ্যামলা বর্ণের এক যুবক কলিং বেল চেপে জানায় সে অফিস থেকে এসেছে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে ঢুকে অদিতি বড়ালকে অতর্কিত ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দেয়, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোদের দেখে নেব।’

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিল সরোয়ার সাংবাদিকদের জানান, অদিতি বড়ালের পেটের নিচের অংশে ও হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি এখন চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক জানান, আহত অদিতি বড়ালকে পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। হামলাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতলে ছুটে যাই। তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আহত আদিতি বড়ালের বাবাও দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুর পরে বিচার চাইতে গিয়ে তাদের পরিবার একাধিকবার দুর্বৃত্তদের রোষানলে পড়েছে।’