নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের নুরু পাটোয়ারীর হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. হানিফ (২৪)। এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরই গত সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। প্রচার শুরুর পরদিন নির্বাচনী সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী–৪ আসনের নৌকার প্রার্থী একরামুল হক চৌধুরী বলেন, মো. হানিফ যুবলীগের নেতা। তিনি এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- বিকেলে নুরু পাটোয়ারীর হাট–সংলগ্ন একটি বাড়িতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বৈঠকে বসেন। এ সময় একই এলাকার আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে মো. হানিফ গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়- ওই সংঘর্ষে যুবলীগের নেতা হানিফ গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন- হানিফের এক পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষে যুবলীগের নেতা মো. হানিফ মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতৃস্থানীয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা যায়নি। উভয়পক্ষের একাধিক নেতাকে ফোন করা হলেও তাঁরা কেউই সাড়া দেননি।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন একরামুল হক চৌধুরী।’