আগামী সপ্তাহ থেকে বরিশালসহ সারাদেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের উত্তরাঞ্চলে এ শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ বেশী হবে বলেও জানান তারা। এ পরিস্থিতিতে শিশুদের বাড়তি যত্নসহ বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, এসময় শিশুদের কুসুম গরম পানি খেতে দেয়া ও ধুলাবালিতে খেলতে না দেয়া।

এবার শীত একটু দেরিতে শুরু হলেও এর তীব্রতা বেশী । বছরের শুরুতে জানুয়ারির ২ তারিখে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা কম থাকায় শীতের পাশাপাশি সূর্যের দেখা মেলায় শীতের অনুভূতি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।

কিন্তু আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে- আগামী ১০ জানুয়ারির পর আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তখন ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে, সে কারণে সারাদেশে তীব্র শীতের অনুভূত হবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে এ শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে শিশুরা। সাধারণভাবে শিশু হাসপাতালে গড়ে আড়াইশ থেকে ৩শ রোগী ভর্তি হলেও এখন সেখানে প্রতিদিন সাড়ে ৫শর বেশী শিশু রোগী যাচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তাই শীতে শিশুদের ব্যাপারে বাড়তি নজর দেয়ার কথা বললেন তারা।

ওদিকে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে উত্তর জনপদের মানুষ। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে পড়েছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।

দিনাজপুরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোচ্ছে না কেউই।

কুড়িগ্রামে গত ১ সপ্তাহ ধরে কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের জন্য ৪১ হাজার ৯শ’ ১৪ টি কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিতরণের জন্য এরই মধ্যে ৯ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।

নীলফামারীতে কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে পড়েছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এরই মধ্যে সরকারিভাবে সাড়ে ৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে তা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য।

কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। ঘনকুয়াশা থাকায় শহরের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’