ভোলার সদরের বাপ্তা, দক্ষিণ দিঘলদী, পশ্চিম ইলিশা, ধনিয়া এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে পদ্মা মনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, শিবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবীপুর কেন্দ্রে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী কোস্টগার্ডের উপস্থিতিতে বগি দা, লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র নুরুল আলম নিরবের ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ সাদি হাওলাদারের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ করে বেশ কয়েক জনকে মারধর করে ওই কেন্দ্র দখল করা হয়। একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, বাপ্তা মিজি বাড়ির দরজার কেন্দ্র সংঘর্ষে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

অপরদিকে, বাপ্তা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুডিইশ ফ্রি মিশন স্কুল কেন্দ্র জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২ মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়।

প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হালিম জানান, মেম্বার প্রার্থীদের সংঘর্ষের কারণে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছিল দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার ফাতেমা খানম গালর্স স্কুল কেন্দ্রে।