বরিশালে কলেজছাত্রের খুনি গ্রেপ্তার, আদালতে অপরাধ স্বীকার

শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর :: বরিশালের উজিরপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করা হয়েছে। স্ত্রীর সাথে পরকীয়া ও অনৈতিক সম্পর্কের কারণে নিহতের চাচতো ভাই আরিফুল নিজে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক কলেজছাত্র ইমরানকে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া হত্যাকারী আরিফুল নিজেই স্বীকার করেছেন হত্যাকান্ডের রহস্যের কথা।

উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ বুধবার ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আরিফুল ইসলাম ও স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারী স্বীকার করে পরকীয়ার জের ধরে কলেজছাত্র ইমরানকে হত্যা করা হয়েছে। পরে বরিশাল জেলা পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

জানা গেছে- গত ৫বছর ধরে চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়ার সঙ্গে ইমরানের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রথম দিকে রাবেয়া স্বেচ্ছায় মেলামেশা করলে একপর্যায়ে রাবেয়া আক্তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিন্ন করেন। পরবর্তীতে ইমরান পূর্বের মেলামেশার ভিডিও দেখিয়ে রাবেয়াকে জিম্মি করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক মেলামেশায় বাধ্য করে। একপর্যায়ে রাবেয়া বিষয়টি স্বামী আরিফুল ইসলামকে জানান। এতে আরিফুল ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরানকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার রাতে জবাই করে হত্যা করেছে।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে বুধবার রাতে উজিরপুর থানা পুলিশ মুন্সীরতাল্লুক গ্রামে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম (২৭) ও স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে (২২) আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য বেরিয়ে আসে। একপর্যায়ে ইমরানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার কথামতো হত্যাকান্ডের সময় আমিরুলের গায়ে ও পরনে থাকা ট্রাউজার ও রক্তমাখা গেঞ্জি মশাং বাজারের ব্রীজের ঢাল হইতে উদ্ধার করে।

এছাড়াও হত্যায় ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র ও ইমরানের ব্যবহৃত মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। ইমরান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, পরকিয়া ও স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যা করে আমিরুল।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে কলেজছাত্র ইমরানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার পিতা সরোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।”