বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় চালককে চেতনানাশক খাইয়ে অচতেন পরবর্তী মারধর করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় ওই চালককে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ওই উপজেলার শিকারপুর নামক ব্রিজের উত্তর পার্শ্বের ঢাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই চালকের নাম শামিম ব্যাপারী (২৮)। তিনি উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ভরাকোটা গ্রামের মো. আশরাফ আলী ব্যাপারীর ছেলে।

বুধবার (০৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চালক শামিমের জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের চিকিৎসকরা। ফলে এই বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশও তেমন কিছু নিশ্চিত হতে পারেনি।

বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে- মঙ্গলবার রাতে টহল পুলিশের একটি টিম চালক শামিমকে অচতেন অবস্থায় ব্রিজের ঢালে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। তখন তাঁর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে- তাঁকে কেউ চেতনানাশক খাইয়ে মারধর করে ওই স্থানে ফেলে গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

চিকিৎসাধীন শামিমের ভাই শাকিল ব্যাপারী জানিয়েছেন- মঙ্গলবার রাতে উজিরপুর থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানাধীন রহমতপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় শামিম। রাতে থানা পুলিশ থেকে খবর পেয়েছেন শামিম শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু তাঁর ইজিবাইক ও মোবাইল পাওয়া যায়নি।

ফলে পুলিশ ধারণা করছে- যাত্রী বেশে গাড়িতে ওঠা লোকগুলো ছিনতাইকারী ছিল। এবং তারাই চালক শামিমকে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে মারধর করে তাকে ব্রিজের ঢালে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিবাকর চন্দ্র দাস বলছেন- পুরো বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ অবগত নয়। তাছাড়া চালকও সজ্ঞাহীন অবস্থায় শেবাচিমে চিকিৎসাধীন। তাঁর জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এই ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।’