ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির নলছিটিতে দিনদুপুরে সাইদুল ইসলাম তালুকদার (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার ও মোজাম্মেল হোসেন হাওলাদার নামে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের আরো দুই ভাইকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের পিতা আজিজ তালুকদার বাদি হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারকে পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে। রোববার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলার নাচনমহল গ্রামের সাইদুল ইসলাম নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার সকালে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে ভাগিনা রুম্মানকে নিয়ে উপজেলার নাচনমহল বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে ভারানী নামক এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন সাইদুল ইসলাম। পথিমধ্যে নাচনমহল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে তার ওপর হামলা চালায় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন অস্ত্রধারী। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। মামাকে রক্ষায় অস্ত্রধারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে ভাগিনা রুম্মানকেও কুপিয়ে আহত করে। এতে ঘটনাস্থলে সাইদুল ইসলামের প্রাণ গেলেও রুম্মানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
নিহতের বাবা আবদুল আজিজ তালুকদার বলেন, ‘আমার ছেলে কবির চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচিত ছিল। কবিরের সঙ্গে থাকায় আমার ছেলে নানা সমস্যায় পড়েছিল। আমি তাকে কবিরের সঙ্গ ছাড়তে বলি। এরপর থেকে চেয়ারম্যান কবিরের সঙ্গে সাইদুল যোগযোগ না রাখায় সে ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়েরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাইদুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’