বরগুনার পাথরঘাটায় হরিণের ৫ মণ মাংস, ২টি মাথা ও ২টি চামড়া জব্দ করেছে বন বিভাগ। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় সাগরতীরবর্তী চরলাঠিমারার বনফুল আবাসন এলাকায় একটি ইঞ্জিনচালিত বোটে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ওগুলো পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ।

বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জের আওতায় হরিণঘাটা বন অফিসের বিট কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বনফুল আবাসন এলাকার একটি খালে ইঞ্জিনচালিত একটি বোটে কয়েকজন মানুষ দেখে স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন ঘরামির ছেলে মো. হানিফা ‘ওখানে কারা’ জিজ্ঞেস করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

বন বিভাগকে খবর দিলে তারা ভোররাতে মাংস বহনকারী ইঞ্জিন বোট, আনুমানিক ৫ মণ হরিণের মাংস, ২টি মাথা ও ২টি চামড়া ও ২ বস্তা হরিণ ধরার ফাঁদ জব্দ করে পাথরঘাটা রেজ্ঞ অফিসে নিয়ে যায়।

জব্দকৃত বোটের মালিক পদ্মা গ্রামের আবদুর রহমান সিকদার। তার ছেলে ইলিয়াস স্থানীয় কোস্ট গার্ডের মাঝি বলে আবাসনের অধিবাসীরা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী দাবি করেন, মাঝি ইলিয়াসকে তার বাবা হরিণশিকারী আবদুর রহমান সিকদার অপকর্মের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।

এদিকে, কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার সাব-লেফটেন্যান্ট মো. জহিরুল ইসলাম ‘আমাদের বোটের মাঝি ইলিয়াসের বাবা হরিণশিকারী হলেও ইলিয়াস ভালো মানুষ’ বলে মন্তব্য করনে।

পাথরঘাটা রেজ্ঞ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বন আইনে মামলা করা হবে। তিনি আরো জানান, বস্তার মধ্যে থেকে হরিণের মাংস, ২টি মাথা ও ২টি চামড়া পাওয়া গেলেও হরিণের ৩০টি রান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ৮টি হরিণ জবাই করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ পেলে মাংস মাটি চাপা ও চামড়া আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিররুজ্জামান ও কোস্ট গার্ডের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।