ঝালকাঠির রাজাপুরে শ্রেনিকক্ষে শিক্ষকদের চেয়ারে বসায় ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফোরকান হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন আহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেনের মা তাসলিমা বেগম।

গত ১২ জুন এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানির ভয়ে আহত শিক্ষার্থীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন শিক্ষক ফোরকান হোসেন। ঘটনার আট দিন পর শিক্ষার্থীর ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দিলে গত শুক্রবার (২১ জুন) রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  এনে আহত শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে তার পরিবার।

চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন জানান, মাদ্রাসার দরজা-জানালা না থাকায় ঘটনার দিন সাব্বির দুই বন্ধুকে নিয়ে মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে চেয়ারে বসেছিল। এ সময় হুজুর এসে চেয়ারে বসার কারণে আমাদের গালমন্দ করেন এবং চড়থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে হুজুরের হাতে থাকা দা দিয়ে সাব্বিরকে কোপ দিলে তা থামাতে গিয়ে বাম হাতের কব্জি কিছু অংশ কেটে যায়।

সাব্বিরের মা তাসলিমা বেগম জানান, হুজুরের দায়ের কোপে আহত হওয়ার পর  ছেলেকে রাজাপুর হাসপাতালে না এনে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা করান তিনি। ফলে ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার চান। তবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কোথাও অভিযোগ দিতে পারিনি সাব্বিরের পরিবার।

এ বিষয়ে শিক্ষক ফোরকান হোসেন বলেন, আমি সাব্বিরকে কোপ দেইনি। ঘটনার দিন মাদরাসা বন্ধ ছিল। মাদরাসার পাশের একটি সবজি ক্ষেতে আমি কাজ করছিলাম। তখন মাদরাসার ভেতরে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে  টেবিল চাপড়ে গান বাজনা করছিল সাব্বির ও তার বন্ধুরা। তখন আমি সেখানে গিয়ে সাব্বিরকে গালমন্দ করি ও চড়-থাপ্পর দেই। তখন আমার হাতে থাকা দায়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে সাব্বিরের হাত কেটে যায়। ওর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমি বহন করছি।