নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে ১০ কথিত ক্রাইম সাংবাদিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম তাদের এই দণ্ডাদেশ দেন।

এর আগে বিকেলে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশালে অবস্থানরত কোস্টগার্ডের বগুড়া জাহাজের ইনচার্জ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে- মোর্শেদ আলী ইমন, ঝন্টু, হাসিব খলিফা, ইমরান, রানা, আব্দুর রহমান, জহিরুল চৌধুরী, আরিফ হোসেন, হাফিজুর রহমান এবং রুহুল আমিন।

কোস্টগার্ড সূত্র জানায়- সাজাপ্রাপ্তরা একটি ট্রলার নিয়ে নদীতে ঘুরে ‘মা’ ইলিশ শিকার করছিল। তখন অভিযান চালিয়ে জাল ও মাছসহ তাদের আটক করলে নিজেদেরকে তারা ক্রাইম রিপোর্টাস সাংবাদিক পরিচয় দেয়। এবং তারা কথাকথিত সংগঠন ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার আইডি কার্ডও প্রদর্শন করে। তাছাড়া তাদের শরীরের পরিধেয় পোশাকেও সেই সংগঠনের নাম লেখা দেখা যায়। কিন্তু বরিশালে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরবর্তীতে আলোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা আদৌ কোন সংবাদকর্মী নয়। এমনকি তাদের কেউ চেনেনও না।

পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।

একটি সূত্র জানায়- ক্রাইম রিপোর্টাস নামে এক তথাকথিত সংগঠনের ব্যানারে অন্তত ৩০ জনের বেশি ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের সাংবাদিক দাবি করে চাঁদাবাজি করে আসছিল। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে গত এক বছরে একাধিক বিতর্কিত ঘটনা জন্ম দিয়ে ওষ্ঠাগত করে তোলে।

এসব কর্মকান্ডে সাংবাদিক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও তাদের লাগাম টানতে পারছিল না। কিন্তু এবার নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকারের মতো গুরুতর অপরালে জড়িয়ে তারা নিজেরাই কোস্টগার্ডের ফাঁদে আটকে পড়েছে।

অবশ্য কোস্টগার্ড এই অভিযান পরিচালনা করে বেশ প্রসংশিতও হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক সমাজ স্বস্তি প্রকাশের পাশাপাশি তাদের সাধুবাদও জানিয়েছে।’