ভৈরবে জামাল মিয়া (৩৫) নামে এক শ্রমিকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর ভৈরবের রঘুনাথপুর এলাকার একটি বাগান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় জামালের পিঠ, ডান হাত, কান ও পুরুষাঙ্গ কাটা ছিল।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে ভৈরব থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। নিহতের লাশ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠিয়েছে পুলিশ।

জামালের স্ত্রী বিলকিছ বেগম জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর জামাল বাসা থেকে বের হয়। পরদিন খবর পায় তার লাশ পাওয়া গেছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। জামাল মিয়া এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতো। স্ত্রী ও তার তিন সন্তান রয়েছে।

জামালের চাচাতো ভাই ফরহাদ জানান, ভৈরব শহরের গাছতলাঘাট এলাকার এক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেম ছিল। সে প্রায় মোবাইলে ওই নারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। ওই নারী একজন প্রবাসীর স্ত্রী বলে জানান ফরহাদ।

তিনি আরও জানান, কয়েক দিন ধরে ওই নারী জামালকে তার বাসায় যেতে অনুরোধ করছিল। শনিবার সন্ধ্যায় একটি ফোন পেয়ে জামাল বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় তার স্ত্রীর কাছে সে জানায় গ্রামের একটি গানের আসরে গান শুনতে যাচ্ছে এবং রাত ১২টার পর বাসায় ফিরবে। কিন্তু রাত ৩টা পর্যন্ত জামাল বাসায় না ফেরায় ঘটনাটি ভাসুরকে (স্বামীর বড় ভাই) জানান তার স্ত্রী বিলকিছ। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করলেও পাওয়া যায়নি।

গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর ফরহাদ (চাচাতো ভাই) ফেসবুকে জামালের লাশ দেখে তার স্ত্রী বিলকিছকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। পরে পুলিশকে ঘটনাটি জানালে তারা জামালের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, নিহত জামালের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে এবং শরীরে অসংখ্য জখম রয়েছে। পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রেমের ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।