পটুয়াখালীর বাউফলে স্বামীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু। উপজেলার বগা ইউনিয়নের কৌখালী গ্রামে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুন্নাহার কনা (২০) একই গ্রামের সেলিম সিকদারের ছেলে বেল্লাল সিকদারের (২৪) স্ত্রী ও আবুল কালাম হাওলাদারের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে বেল্লাল সিকদার ও কামরুন্নাহার কনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় চাকরির নামে শ্বশুরের কাছ থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা নেন বেল্লাল সিকদার। বিয়ের পর কয়েক মাস স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও একপর্যায়ে স্বামীর পরকীয়ার কারণে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বেল্লাল সিকদার বর্তমানে কনস্টেবল পদে পিরোজপুর পুলিশ লাইনে চাকরি করছেন। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। ওই দিন রাতে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। একপর্যায়ে বেল্লাল কনাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরদিন সকালেও বেল্লাল কনাকে দ্বিতীয় দফা মারধর করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে কনার মা হাসিনা বেগম তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেন।

পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার সকালে বেল্লাল সিকদার কনাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর দুপুরে কনা ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। লাশ উদ্ধারের পর তার হাতের লেখা একটি চিঠি পাওয়া যায়।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।