বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এক শিক্ষকের বাড়ি লুট করতে গোপনে খাবারে রাসায়নিক দ্রব্য মেশান অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এরপর বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলে লুটপাট চালান তারা।

পরে সেই খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় শিক্ষক আশুতোষ সাধুকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ওই শিক্ষক সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা ‍ছিলেন।

ওই শিক্ষকের স্বজনরা জানান, ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করার উদ্দেশে রোববার রাতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা শিক্ষক আশুতোষ সাধুর বাড়িতে আসে। তারা বাড়ির সবার অজান্তে খাবারের হাড়িতে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দেন। ওই খবার খেয়ে রাত ৯টার দিকে আশুতোষ সাধু, তার স্ত্রী ঝর্ণা সাধু এবং তাদের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত ১১টার দিকে চার থেকে পাঁচজন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আশুতোষ সাধুর ঘরে ঢুকে তাদের জিনিপত্র লুটপাট করে নিয়ে যান। পরে তারা তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আশুতোষ সাধুর অবস্থার অবনতি হলে পরদিন সোমবার তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী ও মেয়ে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে স্বজনরা জানান।

এ বিষয়ে উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি বলেন, ‘অজ্ঞান পার্টির মেশানো খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আশুতোষের মৃত্যু হয়েছে।’

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশুতোষ সাধুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’