বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: শামীমা নুর পাপিয়া। রাজধানীর সুপরিচিত পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনের একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে অনেকদিন ধরে চালাচ্ছেন অনৈতিক ব্যবসা। তার ব্যবসার মূল খদ্দের ছিলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কিছু ব্যক্তি। যারা প্রতিনিয়ত মনোরঞ্জন নিতে এখানে আসতো।

পাপিয়ার মূল ব্যবসা হোটেল ও বারের হলেও এর আড়ালে চলতো মেয়েদের দিয়ে এই অনৈতিক ব্যবসা। প্রায় সাত আটজন মেয়ে নিয়ে সে ওয়েস্টিনের ২২ তলার ফ্লোরটি পরিচালনা করতো। এই ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে পাপিয়ার প্রতি মাসে হোটেল ও বারের বিল আসত ১ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা।

শনিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-১ এর র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল।

এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ড পালানোর সময় জাল টাকাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পরে শামীমা নুর পাপিয়া। এছাড়াও মফিজুর রহমান (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯), শেখ তায়িবা (২২) কে আটক করে র‌্যাব-১ এর একটি দল।

শাফিউল্লাহ বুলবুল আরো জানায়, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, এদের প্রধান কাজ ছিল দেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাচার ও নারীদের দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করা। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্নস্থানে রাজনৈতিক তদবির, অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

র‌্যাব জানায়, সমাজ সেবার নাম করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের ধরে এনে অবৈধ কাজে লিপ্ত করতেন। অধিকাংশ সময় রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেল ভাড়া করে অবস্থান করতেন এবং এই সংক্রান্ত ব্যবসার সাথে লিপ্ত থাকতেন। এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ঢাকা এবং নরসিংদীতে দামী হোটেল এবং দামী গাড়ি ভাড়া করে রাখতেন। এই ব্যবসা করে বিপুল নগদ অর্থের মালিক হয়েছে সে। প্রতিরাতে ওয়েস্টিনের পুরো বারটি বুকিং নিতো।

সব মিলিয়ে প্রতি মাসে হোটেল ও বারের বিল আসত এক কোটি ত্রিশ লাখ টাকা। তবে আমরা জানতে পেরেছি, সে বাৎসরিক ১৯ লাখ টাকা ইনকাম ট্যাক্স দিতেন।

সূত্র জানায়, পাপিয়ার দলে যারা একবার যোগ দিত তারা আর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতো না। সবসময় তার নজরদারিতে রাখা হত। বিশেষ করে তাদের বিভিন্ন মাদক দিয়ে সর্বক্ষণ নেশার মধ্যে রাখতো।