২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

উজিরপুরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সর্বহারা !

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ণ, ১৮ মে ২০১৭

বরিশালের উজিরপুর শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে থাকলেও বিএনপির প্রার্থীকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে দমিয়ে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় প্রার্থীদের কাছে জনসংযোগের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত অস্ত্রধারী সর্বহারা গ্রুপগুলোরও বেশ আনাগোনা বেড়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো মোটা অঙ্কের সন্ধিচুক্তিতে নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছে মহড়া দিতে শুরু করেছে। নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে একেকটি ভোট কেন্দ্র আগলে রাখতেও তাদের ডাক পড়ছে।

পাশাপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোর পাড়া-মহল্লার ছিঁচকে মাস্তান-সন্ত্রাসীরাও ভাড়ায় আসছে। এর নেপথ্য কারণ হচ্ছে আতঙ্ক সৃষ্টি করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে পেশিশক্তি মাধ্যমে ভয় দেখানো। শিকারপুর ইউপি নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিও তত বাড়ছে।  নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে বিএনপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ততই বাড়ছে। একই সঙ্গে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠছে। সহিংসতায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সরব অংশগ্রহণের মাত্রাও বেশি দেখছেন ভোটাররা।

এসব নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এবং দলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ হচ্ছে। নির্বাচনী মাঠ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সর্বহারা চরমপন্থি গ্রুপপগুলোর ওপর নির্ভর করছে। প্রার্থী ও ভোটারদের সূত্রে জানা গেছে- আগের মতো সর্বহারা অধ্যুষিত উপজেলার গুঠিয়া, বামরাইল, শোলক ও গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর, সরিকল, সাহজিরা, হোসনাবাদ, সাকোকাঠি থেকে সর্বহারার বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। একাধিক ভোটার ও রাজনৈতিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্বাচনকে ঘিরে নতুন অচেনা লোকের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সর্বহারা গ্রুপের অস্ত্রবাজ ক্যাডাররা বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা করে চলছে।

বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা, মিছিল-মিটিংয়ে তাদের দাপুটে বিচরণ লক্ষ্য করছেন বাসিন্দারা। সহিংস বিভিন্ন ঘটনা আর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে শিকারপুর ইউপি’র সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশ। বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সরোয়ার হোসেনের ক্যাডাররা ইতিমধ্যে তার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গুরুত্বর আহত করেছে। এ বিষয়ে উপজেলা রির্টানিং ও নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।

এছাড়া সম্প্রতি আ’লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় পাশ্ববর্তী গৌরনদী ও বানারীপাড়া উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী-ক্যাডাররা মহড়া দেওয়া শুরু করেছেন। তবে পুলিশ ও নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় কোন রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার বিন্দুমাত্র সুযোগ পাবেন না কেউ।”

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন