২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও হতাশায় বিলীন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

বরিশাল: ধানের দেশ বরিশালে এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলনে কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও হতাশায় বিলীন হচ্ছে সে হাসি। ধান বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়ছেন। মাঠ প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই পর্যন্ত খরচ বাদ দিলে বোরো মৌসুমে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন কৃষক। ফলে তারা হতাশায় ভুগছেন। সরকার প্রকৃত অবস্থা বিবেচনা করে ধানের নতুন দাম নির্ধারণ না করলে আগামীতে ধান রোপণে কৃষক নিরুৎসাহিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আজিজ ফরাজি জানান, বিভাগের ছয় জেলায় এবার ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে সরকার এ মৌসুমের জন্য এখনো ধানের মূল্য নির্ধারণ করেনি। মে মাসের মধ্যেই দাম নির্ধারণ হতে পারে।

গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল জানান, এবার ১ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান উৎপাদনে মাঠ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। উচ্চফলনশীল ও স্থানীয় জাতের ধান উৎপাদনেও প্রতি হেক্টরে খরচ হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা। হেক্টরপ্রতি হাইব্রিড জাত ধানের ফলন হয়েছে ১৮৭ মণ এবং উচ্চফলনশীল ধানের উৎপাদন হয়েছে ১৪৪ থেকে ১৫০ মণ। খেত থেকে ধান কাটার জন্য চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের তিন বেলা ভালো খাবার খাওয়ানোর পরও প্রতি ১৫ মণে ২ মণ ধান দিতে হয় তাদের। এরপর মাড়াইশ্রমিকদের প্রতি ১৫ মণে দিতে হয় ৩০ কেজি করে ধান। এরপর প্রতি মণ কাঁচা হাইব্রিড ধান ৪০০ টাকা এবং উচ্চফলনশীল ও স্থানীয় জাতের ধান বিক্রি করতে হয় ৫০০ টাকা মণ দরে। এ কারণে খরচ বাদ দিয়ে কিছুই থাকে না বলে তিনি জানান।

কৃষক আবদুর রহিম, মো. বাদশা জানান, মণপ্রতি কাঁচা ধানের দাম বাজারে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা হলে কিছুটা লাভ থাকত। এখন তাদের লোকসান হচ্ছে। এভাবে লোকসান হলে আগামীতে ধানের আবাদ কমিয়ে আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন