২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কোস্টগার্ডের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে আহত ৪, নিখোঁজ ১

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫০ অপরাহ্ণ, ৩০ মার্চ ২০১৬

বরগুনা: বরগুনার তালতলী উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বিশখালী নদীতে রেনু পোনা শিকার করতে গিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড সদস্যরা আসমা ও জোবায়দা নামে দুই নারীকে  তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও কিছুক্ষণ পরে জোবায়দাকে ছেড়ে দিলেও নিখোঁজ রয়েছেন আসমা।

 

তবে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আহতরা হলেন, কদবানু ( ৪৫) জোবায়দা বেগম (৩৫ ), রাসেল (২৫) ও ফুলবানু (৪২)। আহতদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরের দিকে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার বিষখালী ও বুড়িশ্বর নদীর মোহনায় বেহেন্দী জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সেলিম চৌকিদার জানান, বুধবার দুপুরে তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় বিষখালী ও বুড়িশ্বর নদীর মোহনায় নারী ও শিশুরা বেহেন্দী জাল দিয়ে রেনু (চিংড়ি) পোনা শিকার করছিলো। এসময় ফকিরহাট ক্যাম্পের কোস্টগার্ড সদস্যরা সেখানে এসে তাদের জাল তুলে নিয়ে যেতে চাইলে জেলেরা বাধা দেন।

 

কোস্টগার্ড সদস্যরা নারী-শিশুদের কাছ থেকে জোর করে জাল ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করলে হামলায় কদবানু ও তার ছেলে রাসেল আঘাত পেয়ে নদীর পাড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থা দেখে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে চিৎকার শুরু করলে বিধবা জোবায়দা বেগম ও তার বোনের মেয়ে আসমাকে তাদের ট্রলারে তুলে নিয়ে চলে যায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। পরে তেঁতুলবাড়িয়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নিদ্রার চর এলাকা থেকে জোবায়দা বেগমকে উদ্ধার করা হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যায় আসমার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

আহত জোবায়দা বেগম বলেন, কোস্টগার্ড সদস্যরা আমাকে ট্রলারে ওঠানোর পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরে কি হয়েছে কিছুই বলতে পারি না। জ্ঞান ফেরার পরে দেখি নিদ্রার চরে পড়ে আছি। আমার বোনের মেয়ে আসমা কোথায় আছে তা জানিনা।

 

কোস্টগার্ড ফকিরহাট ক্যাম্পের স্টেশন কমান্ডার শামীম আক্তার বলেন,  আমরা অবৈধ বেহেন্দী ও কারেন্ট জাল উদ্ধার করতে গেলে নারী ও শিশুরা আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় একজন নারী আমাদের ট্রলারে উঠে জাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। এসময় নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয় সে।

 

তিনি আরো বলেন, পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করলে আমরা ট্রলার নিয়ে চলে আসি এসময় জোবায়দা বেগমকে নামোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী আমাদের ওপর হামলা করে তাই তাকে নিয়েই চলে আসি পরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আসমা বেগমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোন আসমা বেগমকে নিয়ে আসিনি। শুধু জোবায়দা বেগমকে নিয়ে এসেছিলাম তাকে নামিয়ে দিয়েছি। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন