২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৫৯ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫৯ অপরাহ্ণ, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

নির্বাচনী বছর। তাই বরিশালবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে আংশিক দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বৃহৎ স্বপ্নময় প্রকল্প। এগুলোর কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কার্যালয়। প্রতি মাসেই অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়।

এরই অংশ হিসেবে যে প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মূল পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যা ছিল ৫৮ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে বাস্তবায়ন বেড়েছে এক শতাংশ। এরই মধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ এবং ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেতু সংশ্লিষ্টরা। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এরই মধ্যে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কম্পেনেন্টের কাজেও রয়েছে বেশ অগ্রগতি। যেমন নদী শাসন কাজ হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫৩ শতাংশ।

মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এর আগে বলেছিলেন, ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলো। প্রতিমাসে এগুলোর বাস্তবায়নের অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। এটি ইআরডির নিয়মিত কাজের অংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ১১ শতাংশ। এছাড়া আর্থিক অগ্রগতি ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মার্চ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৫৫৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ২৮ এপ্রিল চীনের সঙ্গে এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ঋণ চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ২১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও দৃশ্যমান হয়েছে পিলার ও স্প্যান।

এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। প্রকল্পের মূল কাজ প্রথম রিয়্যাক্টর স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজের ৯৫ দশমিক ৮২ অগ্রগতি হয়েছে। শুরু থেকে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৮৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটির মার্চ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮ শতাংশ আর আর্থিক অগ্রগতি ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। প্রকল্পের জন্য দেড় হাজার একর জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ হাজার ১২৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। মার্চ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৬৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি বিল্ড ওন অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’’

17 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন