২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি, ফেঁসে যাচ্ছেন কলেজ শিক্ষক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের এক সহকারী অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটুক্তি করার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার কলেজে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।

 

এসময় বিক্ষোভকারিরা অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেনকে কলেজ থেকে অপসারণ দাবি করেছে। সেই সাথে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারও চাইছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের যুক্তিবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন সোমবার ক্লাস নিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে নানা ধরণের কটুক্তি করেন।

কিছুক্ষণের মধ্যে এ খবর শিক্ষক মিলনায়তনে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় কলেজের প্রভাষক ও চাঁদপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঘটনার প্রতিবাদে তাকে ডেকে কঠোর ভাষায় বকাঝকা করেন। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দেন। কিন্তু ক্লাসের এ ঘটনা শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে তাদের অভিভাবকদের জানালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

 

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার স্থানীয় চাঁদপাশা ইউপি সদস্য আবুল বাসার খোকনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা কলেজে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেনকে কলেজ থেকে অপসারণ এবং বিচার দাবি করেন।’ চাঁদপাশা ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাসার খোকন জানান, অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শীর্ষ জামায়ত নেতা ও রোকন। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু এবং তার কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারেন না।

 

যে কারণে কটুক্তি করার দু:সাহস দেখিয়েছেন। এখন জনরোষ থেকে নিজেকে রক্ষায় আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই কলেজে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষে কলেজের প্রভাষক ইসমাইল হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে তাকে শাস্তি প্রদানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেন ভয়ে আত্মগোপন করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে ।

 

তবে এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রতিবাদকারী কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ইসমাইল হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা পারভিন। কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আবুল বাসার জানান, অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার বিভিন্ন ক্লাসে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে নানা কটুক্তিসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি মেহেন্দিগঞ্জে জামায়াত ইসলামের রোকন বিধায় কখনোই কলেজের স্বাধীনতা বা জাতীয় দিবসের কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন না। তার ধৃষ্টতা সীমা লঙ্ঘন করেছে বিধায় এবার তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।’

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন