২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

২২২৩ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ‘তাগিদ’ মিয়ানমারের

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৯ অপরাহ্ণ, ২১ মে ২০১৮

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাকে ফেরাতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের তরফে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চলছে।

গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া যৌথ ওয়ার্কিং কমিশনের বৈঠকে নেপিদো এই বিষয়ে তাদের মতামত জানায় বলে জানান কো কো নাইং।

উ কো কো নাইং বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া ৮ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ০২ মে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এক হাজার এক শরণার্থীকে। এদের বেশির ভাগ মুসলমান। এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া ৭৭৪ জন মুসলিম ও ৪৪৪ হিন্দু শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয় দুই দেশ।

দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিশনের সদস্য কো কো নাইং গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠকে জানান, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছি প্রত্যাবাসন শুরু করতে। আমাদের প্রস্তুত থাকার কথা তাদের জানিয়েছি।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া খুবই জটিল ও কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করে কো কো নাইং বলেন, এখনও প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তিনি জানান, আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাই। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রত্যাবাসনে গতি আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জানুয়ারিতে সম্পন্ন হওয়া মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তির আওতায় এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা-নেপিদো চুক্তি সম্পন্ন হলেও নানা অজুহাতে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে প্রত্যাবাসনের গতি। চুক্তির আগেই বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেছিলেন এর ফলাফল নিয়ে। আন্তর্জাতিক চাপ থেকে বাঁচতেই মিয়ানমার প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে বলে মত দিয়েছিলেন তারা। চুক্তির পরও রাখাইনে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুলডোজারে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের নজির। খবর মিলেছে সেখানে আদর্শ বৌদ্ধ গ্রাম নির্মাণ চলমান থাকার। অভিযোগ উঠেছে, প্রত্যাবাসন চুক্তি ছিল একটি প্রচারণা কৌশল, যার মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ আড়ালের চেষ্টা করেছে মিয়ানমার।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন