
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৭
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের খিরাকাঠি গ্রামের এক প্রবাসীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা নিয়মিত হুমকি, ভয়ভীতি ও মানহানিকর প্রচারণার শিকার হচ্ছেন। রোববার ( ১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ধরেন প্রবাসী রাসেল ও শহিদ মোল্লার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী আসমা বেগম বলেন, তার দুই ভাই ও মামা সহ সকলেই প্রবাসে থাকেন। তার মা, ভাবি এবং মামী বাচ্চাদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তাদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বাড়ির পাশের মজিবর মোল্লার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। কিছু দিন আগে মজিবর মোল্লাদের বাড়িতে সন্ধ্যা বেলা হঠাৎ ডাক চিৎকার শুরু হয়। সেখানে তার মা ও বড় মামী সহ আশাপাশের কিছু লোকজন যায়। যাওয়ার পর দেখতে পায় তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। কোন দুর্ঘটনা নয় দেখে তার মা ও মামী ঘরে চলে আসে। সেই মারামারি বিষয়ে দু পক্ষই থানায় অভিযোগ করে এবং থানায় বসেই শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা হয়। কোন অভিযোগই তার মা ও মামী সহ কারো নাম উল্লেখ নেই। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাদের বাসার সামনে দোকানে গেলে জানতে পারেন তার মা ও মামীর নাম উল্লেখ করে একটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপানো হয়। যা তার মা ও মামী সহ তাদের পরিবারের সকলের সম্মান হানি করে। এবং কিছু দিন আগে মোঃ মজিবর মোল্লা তার মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল। তার মা দেওয়ার মত টাকা নেই বলে তাকে বিদায় করলে সে তার মায়ের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয় সেই থেকে তার সহয়োগী মিজানুর এবং মনির মোল্লাকে নিয়ে তার মায়ের ঘরের সামনে টিনের বেরায় রাত ৯টার পর থেকে ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত ইটপাটকেল মারতে থাকে এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে বলে, ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে বাড়ি ছাড়তে হবে। সেই থেকে তার মা ও মামী সহ পরিবারের সকলে ভয় নিরবতার দিন কাটাচ্ছেন । কারণ এই মজিবর অনেক বড় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। তাদের পুরো পরিবারে কোন পরুষ লোক নেই। একজন আছে বড় মামা, সেও অসুস্থ। দূর দুরান্তে এই মজবিরের সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। এই মজিবর অনেকবার ডাকাতি করে ধরাও খেয়েছে। এক সময় ডাকাতি করার অপরাধে ৮নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েত হোসেন কাজী মজিবরের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়েছিল। সেই থেকে কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন মজিবর। আবারও সক্রিয় হয়ে এলকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এই মজিবর বাহিনী। এই মজিবরের কারণে তারই বাড়ির খালেক মল্লিকের পরিবারটি আজকে বাড়ি ছাড়া। প্রতি রাতে খালেক মল্লিকের ঘরে উঠতো এই মজিবর। প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার শিকার হতো। নিরুপায় হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায় পরিবারটি।
তিনি আরও জানান,এই মজিবর তারই আপনার চাচাতো ভাইয়ের ঘরে মাদক রেখে ধরিয়ে দেয় প্রশাসনের কাছে। তেমননি ভাবে তার পরিবারটিকে শেষ করার জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উঠে পরে লেগেছে। দূর দুরন্ত থেকে লোক এনে মাদকের আসর বসাচ্ছে এলাকায় ও তার বাড়িতে। তাই তার ভয়ে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যার জন্য মজিবর বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবর মোল্লা বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন,থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের খিরাকাঠি গ্রামের এক প্রবাসীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা নিয়মিত হুমকি, ভয়ভীতি ও মানহানিকর প্রচারণার শিকার হচ্ছেন। রোববার ( ১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ধরেন প্রবাসী রাসেল ও শহিদ মোল্লার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী আসমা বেগম বলেন, তার দুই ভাই ও মামা সহ সকলেই প্রবাসে থাকেন। তার মা, ভাবি এবং মামী বাচ্চাদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তাদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বাড়ির পাশের মজিবর মোল্লার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। কিছু দিন আগে মজিবর মোল্লাদের বাড়িতে সন্ধ্যা বেলা হঠাৎ ডাক চিৎকার শুরু হয়। সেখানে তার মা ও বড় মামী সহ আশাপাশের কিছু লোকজন যায়। যাওয়ার পর দেখতে পায় তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। কোন দুর্ঘটনা নয় দেখে তার মা ও মামী ঘরে চলে আসে। সেই মারামারি বিষয়ে দু পক্ষই থানায় অভিযোগ করে এবং থানায় বসেই শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা হয়। কোন অভিযোগই তার মা ও মামী সহ কারো নাম উল্লেখ নেই। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাদের বাসার সামনে দোকানে গেলে জানতে পারেন তার মা ও মামীর নাম উল্লেখ করে একটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপানো হয়। যা তার মা ও মামী সহ তাদের পরিবারের সকলের সম্মান হানি করে। এবং কিছু দিন আগে মোঃ মজিবর মোল্লা তার মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল। তার মা দেওয়ার মত টাকা নেই বলে তাকে বিদায় করলে সে তার মায়ের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয় সেই থেকে তার সহয়োগী মিজানুর এবং মনির মোল্লাকে নিয়ে তার মায়ের ঘরের সামনে টিনের বেরায় রাত ৯টার পর থেকে ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত ইটপাটকেল মারতে থাকে এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে বলে, ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে বাড়ি ছাড়তে হবে। সেই থেকে তার মা ও মামী সহ পরিবারের সকলে ভয় নিরবতার দিন কাটাচ্ছেন । কারণ এই মজিবর অনেক বড় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। তাদের পুরো পরিবারে কোন পরুষ লোক নেই। একজন আছে বড় মামা, সেও অসুস্থ। দূর দুরান্তে এই মজবিরের সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। এই মজিবর অনেকবার ডাকাতি করে ধরাও খেয়েছে। এক সময় ডাকাতি করার অপরাধে ৮নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েত হোসেন কাজী মজিবরের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়েছিল। সেই থেকে কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন মজিবর। আবারও সক্রিয় হয়ে এলকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এই মজিবর বাহিনী। এই মজিবরের কারণে তারই বাড়ির খালেক মল্লিকের পরিবারটি আজকে বাড়ি ছাড়া। প্রতি রাতে খালেক মল্লিকের ঘরে উঠতো এই মজিবর। প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার শিকার হতো। নিরুপায় হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায় পরিবারটি।
তিনি আরও জানান,এই মজিবর তারই আপনার চাচাতো ভাইয়ের ঘরে মাদক রেখে ধরিয়ে দেয় প্রশাসনের কাছে। তেমননি ভাবে তার পরিবারটিকে শেষ করার জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উঠে পরে লেগেছে। দূর দুরন্ত থেকে লোক এনে মাদকের আসর বসাচ্ছে এলাকায় ও তার বাড়িতে। তাই তার ভয়ে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যার জন্য মজিবর বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবর মোল্লা বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন,থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে ডা. শামীম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঠিকাদারি কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামি সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।
মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামি ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামিদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে দাখিলি দরপত্রে আইটেমভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন, যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭ (৩) (খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে ডা. শামীম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঠিকাদারি কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামি সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।
মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামি ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামিদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে দাখিলি দরপত্রে আইটেমভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন, যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭ (৩) (খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:২২
ঝালকাঠির বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদী বহু বছর ধরে যেমন মানুষের জীবন গড়েছে, তেমনি প্রতিবর্ষায় ভয়াবহ ভাঙনের দুঃসহ অভিজ্ঞতাও হাজির করেছে নদীপারের মানুষের সামনে। বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়া, চাষের জমি হারানো আর প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা এক অদৃশ্য আতঙ্ক জন্ম দিয়েছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে।
সেই দীর্ঘ দুর্ভোগ কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের কাছাকাছি। সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে সদর ও নলছটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর হাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, যা নদীপারের জনজীবনে নতুন আশার আলো ছড়িয়েছে।
প্রকল্প এলাকায় এখন প্রতিদিনই দেখা যায় শ্রমিকদের ব্যস্ত সময়। নদীতীরে স্থাপন করা হচ্ছে সুরক্ষা বাঁধ। জিও ব্যাগ ও সিমেন্ট কংক্রিটের ব্লক ফেলে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক নদীশাসন কাঠামো।
কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ১৩.২১৫ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নদীর স্রোতের ধরন, মাটির গঠন এবং ভাঙনপ্রবণতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থায় নদীতীর দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, ইতোমধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া টের পাচ্ছেন তারা। কয়েক মাস আগেও যারা ভয়ে নিজের বসতবাড়িতে বিনিয়োগ করতে পারছিলেন না, এখন তারা নতুন ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।
কৃষকরা নিশ্চিন্তে আগাম মৌসুমের ফসল ফলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাঙনের ভয় কমে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি এসেছে। নদীর পাড়ঘেঁষা জমির দামও বেড়েছে কয়েকগুণ, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধ শুধু একটি প্রকল্প নয়—এটি নদীপারের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটি স্বপ্ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানুষ আবাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আরেকটি নিরাপদ বাস্তবতায় প্রবেশ করবে।
প্রকল্পকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত কাজের গুণগত মান যাচাই করছে এবং নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে কিনা, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ কারণে পুরো প্রকল্পটি নিরাপদ, মানসম্মত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই প্রকল্প শুধু ভাঙন ঠেকিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষাই করবে না; বরং ঝালকাঠির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে। নদীপারে গড়ে উঠবে নতুন বাজার, নতুন কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব বসতি।
সব মিলিয়ে, সুগন্ধা নদী সংরক্ষণ প্রকল্প এখন ঝালকাঠির মানুষের সামনে নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং উন্নয়নমুখী ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচিত করছে। প্রকল্পটি শেষ হলে সুগন্ধা নদীর তীর শুধু ভাঙনমুক্তই হবে না—এটি রূপ নেবে টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য সম্ভাবনাময় অঞ্চলে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ঝালকাঠি জেলায় নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
ঝালকাঠির বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদী বহু বছর ধরে যেমন মানুষের জীবন গড়েছে, তেমনি প্রতিবর্ষায় ভয়াবহ ভাঙনের দুঃসহ অভিজ্ঞতাও হাজির করেছে নদীপারের মানুষের সামনে। বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়া, চাষের জমি হারানো আর প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা এক অদৃশ্য আতঙ্ক জন্ম দিয়েছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে।
সেই দীর্ঘ দুর্ভোগ কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের কাছাকাছি। সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে সদর ও নলছটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর হাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, যা নদীপারের জনজীবনে নতুন আশার আলো ছড়িয়েছে।
প্রকল্প এলাকায় এখন প্রতিদিনই দেখা যায় শ্রমিকদের ব্যস্ত সময়। নদীতীরে স্থাপন করা হচ্ছে সুরক্ষা বাঁধ। জিও ব্যাগ ও সিমেন্ট কংক্রিটের ব্লক ফেলে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক নদীশাসন কাঠামো।
কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ১৩.২১৫ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নদীর স্রোতের ধরন, মাটির গঠন এবং ভাঙনপ্রবণতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থায় নদীতীর দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, ইতোমধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া টের পাচ্ছেন তারা। কয়েক মাস আগেও যারা ভয়ে নিজের বসতবাড়িতে বিনিয়োগ করতে পারছিলেন না, এখন তারা নতুন ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।
কৃষকরা নিশ্চিন্তে আগাম মৌসুমের ফসল ফলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাঙনের ভয় কমে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি এসেছে। নদীর পাড়ঘেঁষা জমির দামও বেড়েছে কয়েকগুণ, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধ শুধু একটি প্রকল্প নয়—এটি নদীপারের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটি স্বপ্ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানুষ আবাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আরেকটি নিরাপদ বাস্তবতায় প্রবেশ করবে।
প্রকল্পকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত কাজের গুণগত মান যাচাই করছে এবং নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে কিনা, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ কারণে পুরো প্রকল্পটি নিরাপদ, মানসম্মত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই প্রকল্প শুধু ভাঙন ঠেকিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষাই করবে না; বরং ঝালকাঠির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে। নদীপারে গড়ে উঠবে নতুন বাজার, নতুন কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব বসতি।
সব মিলিয়ে, সুগন্ধা নদী সংরক্ষণ প্রকল্প এখন ঝালকাঠির মানুষের সামনে নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং উন্নয়নমুখী ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচিত করছে। প্রকল্পটি শেষ হলে সুগন্ধা নদীর তীর শুধু ভাঙনমুক্তই হবে না—এটি রূপ নেবে টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য সম্ভাবনাময় অঞ্চলে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ঝালকাঠি জেলায় নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৭
ঝালকাঠির নলছিটিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু দীর্ঘ তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক (এপ্রোচ) না হওয়ায় জনসাধারণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত। এতে ওই সেতুতে উঠতে হয় মই ব্যবহার করে; ভোগান্তিতে পড়েছেন সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বিকল্প পথ ব্যবহার করতে গিয়ে সময় ও অর্থ— দুইয়েরই অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নলছিটি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের ২ মে পৌর শহরের থানার খালের ওপর ৩১ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৩১৯ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী কাজটি পায় মেসার্স শান্তা এন্টারপ্রাইজ। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০২৩ সালের ৬ মার্চ নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যায়। সেতুর মূল অংশ নির্মিত হলেও সংযোগ সড়কের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়রা কাঠের মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করছেন। বয়স্ক মানুষ, নারী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়ছেন। সেতুর দুই পাশের ইউনি-ব্লকে নির্মিত সড়কও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ— কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সেতুর গোড়ায় কোনো মাটি ভরাট না করায় এটি এখন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন নান্নু, কামরুল ইসলাম ও রিয়াজ হোসেন জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে পার হতে হয়। বর্ষায় নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক শাওন খান বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।
নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, সেতুর পাশে জমির মালিকরা মাটি ভরাটে অসহযোগিতা করায় সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, দ্রুত সমাধান হবে।
তবে এই দাবি অস্বীকার করে স্থানীয় বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, শুরু থেকেই সেতুটির নকশাগত ত্রুটি ছিল। সোজা সড়কের ওপর আড়াআড়ি সেতু নির্মাণ করে স্থানীয়দের জমির ক্ষতি করা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বাধা কয়েক মাস আগেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় মীমাংসা হয়েছে। এখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে মাটি ভরাট করছে না।
ঝালকাঠির নলছিটিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু দীর্ঘ তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক (এপ্রোচ) না হওয়ায় জনসাধারণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত। এতে ওই সেতুতে উঠতে হয় মই ব্যবহার করে; ভোগান্তিতে পড়েছেন সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বিকল্প পথ ব্যবহার করতে গিয়ে সময় ও অর্থ— দুইয়েরই অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নলছিটি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের ২ মে পৌর শহরের থানার খালের ওপর ৩১ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৩১৯ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী কাজটি পায় মেসার্স শান্তা এন্টারপ্রাইজ। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০২৩ সালের ৬ মার্চ নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যায়। সেতুর মূল অংশ নির্মিত হলেও সংযোগ সড়কের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়রা কাঠের মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করছেন। বয়স্ক মানুষ, নারী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়ছেন। সেতুর দুই পাশের ইউনি-ব্লকে নির্মিত সড়কও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ— কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সেতুর গোড়ায় কোনো মাটি ভরাট না করায় এটি এখন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন নান্নু, কামরুল ইসলাম ও রিয়াজ হোসেন জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে পার হতে হয়। বর্ষায় নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক শাওন খান বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।
নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, সেতুর পাশে জমির মালিকরা মাটি ভরাটে অসহযোগিতা করায় সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, দ্রুত সমাধান হবে।
তবে এই দাবি অস্বীকার করে স্থানীয় বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, শুরু থেকেই সেতুটির নকশাগত ত্রুটি ছিল। সোজা সড়কের ওপর আড়াআড়ি সেতু নির্মাণ করে স্থানীয়দের জমির ক্ষতি করা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বাধা কয়েক মাস আগেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় মীমাংসা হয়েছে। এখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে মাটি ভরাট করছে না।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.