২৯ মে, ২০২৫ ২৩:০১
শহরের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম এবং তাদের ভাইদের কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা পূর্বাপর এক অদ্ভুদ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় বিএনপি নেতা মিরাজ-সেলিম, সাকিন, সবুজদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে। তিন ফুট লম্বা লোহার বাট, খুব ধারালো এই অস্ত্রগুলোর প্রকৃত নাম কেউ না বলতে পারলেও অনেকে দাবি করেছে এটি আধুনিক মডেলের ‘চাইনিজ কুড়াল’। প্রায় দুই হাত লম্বা এই অস্ত্রটি লোহার বাটের মাথায় আছে, স্টিলের তৈরি গোলাকারের দা, যা দিয়ে কাউকে যদি আঘাত করা হয়, তাহলে যে কোনো অঙ্গ বিচ্ছিন্নসহ প্রাণ যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। শনিবার সিকদারপাড়া মসজিদের সম্মুখে সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করার মিরাজ, সেলিমদের বাহিনীর এমন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার পরে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার জনমনে ঘোর আতঙ্ক ভর করেছে। সুশীলমহলসহ এলাকাবাসী এই মারণাস্ত্র উদ্ধার এবং বহনকারীদের গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছে, মিরাজসহ মাত্র দুটি বিএনপি নেতার পরিবার উত্তর আমানতগঞ্জকে অশান্ত করে তুলেছে, যারা গোটা জীবন পার করেছে এলাকায় ভূমিদস্যুতা, চুরি, ছিনতাই এবং পার্শ্ববর্তী তালতলী বন্দর থেকে চাপিলা, জাটকা ও রেণুপোনা পাচারের মতো নোংরামিতে। তাদের যন্ত্রণায় এলাকার সাধারণ মানুষ ওষ্ঠাগত হলেও মুখ খোলে না ইজ্জত হারানোর ভয়ে। তবে সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের ভাইদের মারধর এবং কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনার পর শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সাংবাদিকের ভাইদের যারা কুপিয়েছে, তাদের হাতে দেশীয় তৈরি বেশকিছু অদ্ভুদ অস্ত্র দেখা গেছে, তাদের মহড়ার চিত্র স্থানীয় বাসাবাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়েছে। এমন অস্ত্র নিয়ে জনসাধারণে যেমন ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে, তেমনই চাঞ্চল্য বাড়িয়েছে। এখনই এই অস্ত্র উদ্ধার না হলে উত্তর আমানতগঞ্জে তা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকছে। বিশেষ করে এই ভীতি আরও বাড়িয়ে দেয় অতীত কিছু ভাবনায়, ২০০০ সালে উত্তর আমানতগঞ্জের সন্তান মাছুম সিকদারকে হাত কেটে হত্যার পরে লাশ পার্শ্ববর্তী শফি মিয়ার গ্যারেজের পেছনে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সবুজ, নয়নরা ওই মামলায় অভিযুক্ত। কয়েক মাস পলাতক থাকার পরে বাদীর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা এলাকায় ফিরে এসে ফের ত্রাস শুরু করে।
অভিযোগ আছে, তারা বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কোনো সেই দলের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের লোক বনে যায়। কখনও কখনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিবেদ বাধিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে দেখা গেছে। এতদিন এরা সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র সেকেন্ড ইন কমান্ড নিরব হোসেন টুটুলের ছত্রছায়ায় থেকে এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলেও এখন গা বাচাঁতে বর্তমান সিটি মেয়র এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দিকে ধাবিত হতে চাইছে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সাদিক আব্দুল্লাহ বিসিসির চেয়ার হারানোর পরে নিরব হোসেন টুটুলের রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পায়। তখন পল্টি মেরে মিরাজ, সেলিম এবং সাকিন, সবুজ, নয়নেরা একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে, প্রতিমন্ত্রীর সান্নিধ্য লাভের আশায়। কিন্তু তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তাই নেতা পাত্তা দেননি, কর্মীরা তাদের মেনে নেয়নি, বিমুখ হয়ে ফিরে গেছে।
সর্বশেষ রাজনৈতিক শেল্টারদাতা না পেয়ে তারা নিরব হোসেন টুটুলের সাথে আছে এবং অতীতের ন্যায় উত্তর আমানতগঞ্জে ক্রমাগতভাবে রক্তাক্ত করে চলছে মারণস্ত্রে, যা নিয়ে শনিবার সাংবাদিকের ভাইদের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এমন কয়েকটি অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সুবজের ছেলে তামিল ও জহিরকে মহড়া দিতে দেখা যায়, যারা আলোকিত বরিশাল পত্রিকার সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় গভীর রাতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম কোতয়ালি মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, সকালে সাংবাদিক এবং তার ভাইদের মারধরের পর হামলাকারীরা বিকেল পর্যন্ত এলোমেলাভাবে বাসা বাড়িতে লুকিয়ে থাকলেও গভীর রাতে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। মামলার খবর পেয়ে শহরের দক্ষিণপ্রান্ত অর্থাৎ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) কাছে একটি বাসায় অবস্থান নিয়ে আছে। জানা গেছে, সেই বাসাটি মাছুম হত্যা মামলার আসামি সেলিমের বড় ভাই সিরাজের, যিনি পেশায় একজন মহুরি।
স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিক ও তার ভাইদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করাসহ ওই অদ্ভুদ আকৃতির অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। নতুবা এই মারণাস্ত্র দিয়ে আরও অপরাধ সংঘটিত করার সমূহ সম্ভবনা থাকছে।
অবশ্য স্থানীয় সুধীমহল টুটুলের এই গুন্ডা বাহিনীর ত্রাসের জন্য অনেকাংশে কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামানকেই দোষারোপ করছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওসি মাসোহারা নিয়ে উত্তর আমানতগঞ্জের এই গুটি কয়েক বিএনপি নেতাকর্মীকে মাথায় তুলে বসে আছেন, যা নিয়ে ওই থানার অনেক সদস্যই তিক্ত-বিরক্ত। উদাহরণস্বরুপ যদি বলা হয়, ঈদের আগে সাংবাদিক মাহাবুবকে মারধরের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যেমন ওই থানারই এসআই পদমর্যার এক কর্মকর্তা তাদের উদ্দেশ করে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেই ফেলেন ‘খালি ওসি স্যারের রুমে আসো যাও! আর এলাকায় একের পর এক আকাম-কুকাম করে বেড়াও। ফলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে ওসি আসাদুজ্জামানের শক্তিতেই বলিয়ান বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম, সাকিনেরা।
যদিও এই প্রমাণ এর পূর্বেও একাধিক পাওয়া যায়। সাদিক আব্দুল্লাহ মননোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় যখন তাদের ঘাট বাজার দখল হয়ে যাচ্ছিল, তখন ওসি আসাদুজ্জামানই ঢাল হয়ে মিরাজদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কাউনিয়া থানা পুলিশ টহল গাড়ি নিয়ে তালতলী বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল, অন্যদিকে কালু-মিরাজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছিল। সাংবাদিক এবং ভাইদের মারধরের পর যা এখনও চলমান রেখেছে কালু।
এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রণের দাবি এসেছে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষে পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে তারা কাউনিয়া থানা পুলিশের ওপর ভরসা না রাখতে পেরে পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির, বরিশাল র্যাবপ্রধান এবং প্রতিমন্ত্রী-মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবশ্য ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে মাঠপুলিশকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা নথিভুক্তের পর পুলিশের কয়েকটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করায় পুলিশের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ওসি মো. আরিচুল হক জানিয়েছেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, উত্তর আমানতগঞ্জের ওই সংঘাতের ঘটনায় সিসি ফুটেজ যুবকদের হাতে মারণঘাতী অস্ত্র দেখা গেছে, তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এবং এসব অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার করাসহ প্রদর্শনে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’
শহরের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম এবং তাদের ভাইদের কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা পূর্বাপর এক অদ্ভুদ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় বিএনপি নেতা মিরাজ-সেলিম, সাকিন, সবুজদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে। তিন ফুট লম্বা লোহার বাট, খুব ধারালো এই অস্ত্রগুলোর প্রকৃত নাম কেউ না বলতে পারলেও অনেকে দাবি করেছে এটি আধুনিক মডেলের ‘চাইনিজ কুড়াল’। প্রায় দুই হাত লম্বা এই অস্ত্রটি লোহার বাটের মাথায় আছে, স্টিলের তৈরি গোলাকারের দা, যা দিয়ে কাউকে যদি আঘাত করা হয়, তাহলে যে কোনো অঙ্গ বিচ্ছিন্নসহ প্রাণ যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। শনিবার সিকদারপাড়া মসজিদের সম্মুখে সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করার মিরাজ, সেলিমদের বাহিনীর এমন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার পরে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার জনমনে ঘোর আতঙ্ক ভর করেছে। সুশীলমহলসহ এলাকাবাসী এই মারণাস্ত্র উদ্ধার এবং বহনকারীদের গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছে, মিরাজসহ মাত্র দুটি বিএনপি নেতার পরিবার উত্তর আমানতগঞ্জকে অশান্ত করে তুলেছে, যারা গোটা জীবন পার করেছে এলাকায় ভূমিদস্যুতা, চুরি, ছিনতাই এবং পার্শ্ববর্তী তালতলী বন্দর থেকে চাপিলা, জাটকা ও রেণুপোনা পাচারের মতো নোংরামিতে। তাদের যন্ত্রণায় এলাকার সাধারণ মানুষ ওষ্ঠাগত হলেও মুখ খোলে না ইজ্জত হারানোর ভয়ে। তবে সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের ভাইদের মারধর এবং কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনার পর শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সাংবাদিকের ভাইদের যারা কুপিয়েছে, তাদের হাতে দেশীয় তৈরি বেশকিছু অদ্ভুদ অস্ত্র দেখা গেছে, তাদের মহড়ার চিত্র স্থানীয় বাসাবাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়েছে। এমন অস্ত্র নিয়ে জনসাধারণে যেমন ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে, তেমনই চাঞ্চল্য বাড়িয়েছে। এখনই এই অস্ত্র উদ্ধার না হলে উত্তর আমানতগঞ্জে তা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকছে। বিশেষ করে এই ভীতি আরও বাড়িয়ে দেয় অতীত কিছু ভাবনায়, ২০০০ সালে উত্তর আমানতগঞ্জের সন্তান মাছুম সিকদারকে হাত কেটে হত্যার পরে লাশ পার্শ্ববর্তী শফি মিয়ার গ্যারেজের পেছনে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সবুজ, নয়নরা ওই মামলায় অভিযুক্ত। কয়েক মাস পলাতক থাকার পরে বাদীর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা এলাকায় ফিরে এসে ফের ত্রাস শুরু করে।
অভিযোগ আছে, তারা বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কোনো সেই দলের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের লোক বনে যায়। কখনও কখনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিবেদ বাধিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে দেখা গেছে। এতদিন এরা সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র সেকেন্ড ইন কমান্ড নিরব হোসেন টুটুলের ছত্রছায়ায় থেকে এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলেও এখন গা বাচাঁতে বর্তমান সিটি মেয়র এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দিকে ধাবিত হতে চাইছে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সাদিক আব্দুল্লাহ বিসিসির চেয়ার হারানোর পরে নিরব হোসেন টুটুলের রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পায়। তখন পল্টি মেরে মিরাজ, সেলিম এবং সাকিন, সবুজ, নয়নেরা একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে, প্রতিমন্ত্রীর সান্নিধ্য লাভের আশায়। কিন্তু তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তাই নেতা পাত্তা দেননি, কর্মীরা তাদের মেনে নেয়নি, বিমুখ হয়ে ফিরে গেছে।
সর্বশেষ রাজনৈতিক শেল্টারদাতা না পেয়ে তারা নিরব হোসেন টুটুলের সাথে আছে এবং অতীতের ন্যায় উত্তর আমানতগঞ্জে ক্রমাগতভাবে রক্তাক্ত করে চলছে মারণস্ত্রে, যা নিয়ে শনিবার সাংবাদিকের ভাইদের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এমন কয়েকটি অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সুবজের ছেলে তামিল ও জহিরকে মহড়া দিতে দেখা যায়, যারা আলোকিত বরিশাল পত্রিকার সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় গভীর রাতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম কোতয়ালি মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, সকালে সাংবাদিক এবং তার ভাইদের মারধরের পর হামলাকারীরা বিকেল পর্যন্ত এলোমেলাভাবে বাসা বাড়িতে লুকিয়ে থাকলেও গভীর রাতে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। মামলার খবর পেয়ে শহরের দক্ষিণপ্রান্ত অর্থাৎ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) কাছে একটি বাসায় অবস্থান নিয়ে আছে। জানা গেছে, সেই বাসাটি মাছুম হত্যা মামলার আসামি সেলিমের বড় ভাই সিরাজের, যিনি পেশায় একজন মহুরি।
স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিক ও তার ভাইদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করাসহ ওই অদ্ভুদ আকৃতির অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। নতুবা এই মারণাস্ত্র দিয়ে আরও অপরাধ সংঘটিত করার সমূহ সম্ভবনা থাকছে।
অবশ্য স্থানীয় সুধীমহল টুটুলের এই গুন্ডা বাহিনীর ত্রাসের জন্য অনেকাংশে কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামানকেই দোষারোপ করছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওসি মাসোহারা নিয়ে উত্তর আমানতগঞ্জের এই গুটি কয়েক বিএনপি নেতাকর্মীকে মাথায় তুলে বসে আছেন, যা নিয়ে ওই থানার অনেক সদস্যই তিক্ত-বিরক্ত। উদাহরণস্বরুপ যদি বলা হয়, ঈদের আগে সাংবাদিক মাহাবুবকে মারধরের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যেমন ওই থানারই এসআই পদমর্যার এক কর্মকর্তা তাদের উদ্দেশ করে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেই ফেলেন ‘খালি ওসি স্যারের রুমে আসো যাও! আর এলাকায় একের পর এক আকাম-কুকাম করে বেড়াও। ফলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে ওসি আসাদুজ্জামানের শক্তিতেই বলিয়ান বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম, সাকিনেরা।
যদিও এই প্রমাণ এর পূর্বেও একাধিক পাওয়া যায়। সাদিক আব্দুল্লাহ মননোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় যখন তাদের ঘাট বাজার দখল হয়ে যাচ্ছিল, তখন ওসি আসাদুজ্জামানই ঢাল হয়ে মিরাজদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কাউনিয়া থানা পুলিশ টহল গাড়ি নিয়ে তালতলী বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল, অন্যদিকে কালু-মিরাজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছিল। সাংবাদিক এবং ভাইদের মারধরের পর যা এখনও চলমান রেখেছে কালু।
এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রণের দাবি এসেছে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষে পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে তারা কাউনিয়া থানা পুলিশের ওপর ভরসা না রাখতে পেরে পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির, বরিশাল র্যাবপ্রধান এবং প্রতিমন্ত্রী-মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবশ্য ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে মাঠপুলিশকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা নথিভুক্তের পর পুলিশের কয়েকটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করায় পুলিশের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ওসি মো. আরিচুল হক জানিয়েছেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, উত্তর আমানতগঞ্জের ওই সংঘাতের ঘটনায় সিসি ফুটেজ যুবকদের হাতে মারণঘাতী অস্ত্র দেখা গেছে, তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এবং এসব অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার করাসহ প্রদর্শনে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৯
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪০
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা ধুলাও মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন উপহার পেতে প্রতিটি মানুষের শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ববিতে অধ্যায়নরত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করে বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটি। উপজেলা ভিত্তিক প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান, ববি ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ইলিয়াস হোসেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, বুরো বাংলাদেশ বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত মো: ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যরা।
দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত উপজেলা ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল ৫ টায় ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় একদিন ব্যাপী এই আয়োজন। সকাল থেকে সকল খেলা পরিচালনা করেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরী।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: ইমন এর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানে মো: মোতালেব হোসেন সোহান এর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, খেলাধূলা শরীর ও মন ভালো রাখে। শুধু লেখা-পড়া করলেই চলবে না তার পাশাপাশি আমাদের খেলাধূলাও করতে হবে। কারণ পড়াশোনা আমাদের মেধাবী করবে আর খেলাধূলা আমাদের শরীর সুস্থ রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যদের। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করেছে। আগামীতে তাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশা করছি। ববির সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমার দোয়া ও ভালোবাসা।
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা ধুলাও মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন উপহার পেতে প্রতিটি মানুষের শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ববিতে অধ্যায়নরত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করে বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটি। উপজেলা ভিত্তিক প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান, ববি ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ইলিয়াস হোসেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, বুরো বাংলাদেশ বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত মো: ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যরা।
দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত উপজেলা ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল ৫ টায় ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় একদিন ব্যাপী এই আয়োজন। সকাল থেকে সকল খেলা পরিচালনা করেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরী।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: ইমন এর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানে মো: মোতালেব হোসেন সোহান এর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, খেলাধূলা শরীর ও মন ভালো রাখে। শুধু লেখা-পড়া করলেই চলবে না তার পাশাপাশি আমাদের খেলাধূলাও করতে হবে। কারণ পড়াশোনা আমাদের মেধাবী করবে আর খেলাধূলা আমাদের শরীর সুস্থ রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যদের। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করেছে। আগামীতে তাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশা করছি। ববির সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমার দোয়া ও ভালোবাসা।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২
বরিশালের হিজলা উপজেলায় জাতীয় মৎস্য জীবী সমিতির নবাগত কমিটির নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমের সাথে।
রবিবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নবাগত কমিটির আহ্বায়ক সাজাহান রেজা ও সদস্য সচিব মোঃ সুলাইমান জমাদ্দারের নেতৃত্বে অন্যান্যরা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলম বলেন জাতীয় মৎস্যজীবী নবাগত কমিটি দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনকে সব সময় সহযোগিতায় করবেন।আগামীতে সকলে মিলে কাজ করার আশ^াস দেন।
নবাগত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বলেন বরিশাল জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী কমিটি পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি করে আমাদের যে নতুন কমিটি দিয়েছে আমরা জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা করে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কাজ করব।আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
বরিশালের হিজলা উপজেলায় জাতীয় মৎস্য জীবী সমিতির নবাগত কমিটির নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমের সাথে।
রবিবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নবাগত কমিটির আহ্বায়ক সাজাহান রেজা ও সদস্য সচিব মোঃ সুলাইমান জমাদ্দারের নেতৃত্বে অন্যান্যরা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলম বলেন জাতীয় মৎস্যজীবী নবাগত কমিটি দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনকে সব সময় সহযোগিতায় করবেন।আগামীতে সকলে মিলে কাজ করার আশ^াস দেন।
নবাগত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বলেন বরিশাল জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী কমিটি পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি করে আমাদের যে নতুন কমিটি দিয়েছে আমরা জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা করে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কাজ করব।আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:২৮
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে গত ২১দিনের ন্যায় চলমান আন্দোলন কর্মসূচিকে ঘিরে রোববার (১৭ আগস্ট) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে।
বিকেল তিনটার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হাসপাতালের কর্মচারীরা। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়। পরে উভয়গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে পূর্বে থেকে হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় বড়ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছি। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ঘেরাও করতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাসপাতালে মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে হাসপাতালের প্রধান গেট আটকে দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রাখে আন্দোলনকারীরা।
এসময় হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপরই সেখানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
এরপূর্বে শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সমন্ময়ক মহিউদ্দীন রনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আন্দোলনের ১৮তম দিনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর শেবামেকের কর্মচারীদের হামলার প্রতিবাদে ও বিচার দাবি করে ২১তম দিনের (১৭ আগস্ট) কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেমতে রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শেবামেকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
সূত্রমতে, বিক্ষোভ মিছিলের খবর পেয়ে শেবামেকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। এসময় সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দেওয়া আগে থেকেই হাসপাতাল গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা সংঘাত এড়াতে শেবামেকের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয়। যেকারণে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেননি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরতরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেছেন। তারা দালাল ও সিন্ডিকেট বিরোধী নানা শ্লোগানে মুখর করে রেখেছেন। একইসাথে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল সিন্ডিকেটের হামলার পর উল্টো মামলা দায়েরের প্রতিবাদ করে অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে গত ২১দিনের ন্যায় চলমান আন্দোলন কর্মসূচিকে ঘিরে রোববার (১৭ আগস্ট) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে।
বিকেল তিনটার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হাসপাতালের কর্মচারীরা। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়। পরে উভয়গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে পূর্বে থেকে হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় বড়ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছি। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ঘেরাও করতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাসপাতালে মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে হাসপাতালের প্রধান গেট আটকে দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রাখে আন্দোলনকারীরা।
এসময় হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপরই সেখানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
এরপূর্বে শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সমন্ময়ক মহিউদ্দীন রনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আন্দোলনের ১৮তম দিনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর শেবামেকের কর্মচারীদের হামলার প্রতিবাদে ও বিচার দাবি করে ২১তম দিনের (১৭ আগস্ট) কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেমতে রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শেবামেকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
সূত্রমতে, বিক্ষোভ মিছিলের খবর পেয়ে শেবামেকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। এসময় সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দেওয়া আগে থেকেই হাসপাতাল গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা সংঘাত এড়াতে শেবামেকের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয়। যেকারণে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেননি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরতরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেছেন। তারা দালাল ও সিন্ডিকেট বিরোধী নানা শ্লোগানে মুখর করে রেখেছেন। একইসাথে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল সিন্ডিকেটের হামলার পর উল্টো মামলা দায়েরের প্রতিবাদ করে অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.