২৯ মে, ২০২৫ ১৭:০১
শহরের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম এবং তাদের ভাইদের কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা পূর্বাপর এক অদ্ভুদ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় বিএনপি নেতা মিরাজ-সেলিম, সাকিন, সবুজদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে। তিন ফুট লম্বা লোহার বাট, খুব ধারালো এই অস্ত্রগুলোর প্রকৃত নাম কেউ না বলতে পারলেও অনেকে দাবি করেছে এটি আধুনিক মডেলের ‘চাইনিজ কুড়াল’। প্রায় দুই হাত লম্বা এই অস্ত্রটি লোহার বাটের মাথায় আছে, স্টিলের তৈরি গোলাকারের দা, যা দিয়ে কাউকে যদি আঘাত করা হয়, তাহলে যে কোনো অঙ্গ বিচ্ছিন্নসহ প্রাণ যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। শনিবার সিকদারপাড়া মসজিদের সম্মুখে সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করার মিরাজ, সেলিমদের বাহিনীর এমন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার পরে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার জনমনে ঘোর আতঙ্ক ভর করেছে। সুশীলমহলসহ এলাকাবাসী এই মারণাস্ত্র উদ্ধার এবং বহনকারীদের গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছে, মিরাজসহ মাত্র দুটি বিএনপি নেতার পরিবার উত্তর আমানতগঞ্জকে অশান্ত করে তুলেছে, যারা গোটা জীবন পার করেছে এলাকায় ভূমিদস্যুতা, চুরি, ছিনতাই এবং পার্শ্ববর্তী তালতলী বন্দর থেকে চাপিলা, জাটকা ও রেণুপোনা পাচারের মতো নোংরামিতে। তাদের যন্ত্রণায় এলাকার সাধারণ মানুষ ওষ্ঠাগত হলেও মুখ খোলে না ইজ্জত হারানোর ভয়ে। তবে সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের ভাইদের মারধর এবং কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনার পর শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সাংবাদিকের ভাইদের যারা কুপিয়েছে, তাদের হাতে দেশীয় তৈরি বেশকিছু অদ্ভুদ অস্ত্র দেখা গেছে, তাদের মহড়ার চিত্র স্থানীয় বাসাবাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়েছে। এমন অস্ত্র নিয়ে জনসাধারণে যেমন ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে, তেমনই চাঞ্চল্য বাড়িয়েছে। এখনই এই অস্ত্র উদ্ধার না হলে উত্তর আমানতগঞ্জে তা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকছে। বিশেষ করে এই ভীতি আরও বাড়িয়ে দেয় অতীত কিছু ভাবনায়, ২০০০ সালে উত্তর আমানতগঞ্জের সন্তান মাছুম সিকদারকে হাত কেটে হত্যার পরে লাশ পার্শ্ববর্তী শফি মিয়ার গ্যারেজের পেছনে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সবুজ, নয়নরা ওই মামলায় অভিযুক্ত। কয়েক মাস পলাতক থাকার পরে বাদীর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা এলাকায় ফিরে এসে ফের ত্রাস শুরু করে।
অভিযোগ আছে, তারা বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কোনো সেই দলের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের লোক বনে যায়। কখনও কখনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিবেদ বাধিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে দেখা গেছে। এতদিন এরা সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র সেকেন্ড ইন কমান্ড নিরব হোসেন টুটুলের ছত্রছায়ায় থেকে এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলেও এখন গা বাচাঁতে বর্তমান সিটি মেয়র এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দিকে ধাবিত হতে চাইছে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সাদিক আব্দুল্লাহ বিসিসির চেয়ার হারানোর পরে নিরব হোসেন টুটুলের রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পায়। তখন পল্টি মেরে মিরাজ, সেলিম এবং সাকিন, সবুজ, নয়নেরা একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে, প্রতিমন্ত্রীর সান্নিধ্য লাভের আশায়। কিন্তু তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তাই নেতা পাত্তা দেননি, কর্মীরা তাদের মেনে নেয়নি, বিমুখ হয়ে ফিরে গেছে।
সর্বশেষ রাজনৈতিক শেল্টারদাতা না পেয়ে তারা নিরব হোসেন টুটুলের সাথে আছে এবং অতীতের ন্যায় উত্তর আমানতগঞ্জে ক্রমাগতভাবে রক্তাক্ত করে চলছে মারণস্ত্রে, যা নিয়ে শনিবার সাংবাদিকের ভাইদের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এমন কয়েকটি অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সুবজের ছেলে তামিল ও জহিরকে মহড়া দিতে দেখা যায়, যারা আলোকিত বরিশাল পত্রিকার সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় গভীর রাতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম কোতয়ালি মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, সকালে সাংবাদিক এবং তার ভাইদের মারধরের পর হামলাকারীরা বিকেল পর্যন্ত এলোমেলাভাবে বাসা বাড়িতে লুকিয়ে থাকলেও গভীর রাতে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। মামলার খবর পেয়ে শহরের দক্ষিণপ্রান্ত অর্থাৎ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) কাছে একটি বাসায় অবস্থান নিয়ে আছে। জানা গেছে, সেই বাসাটি মাছুম হত্যা মামলার আসামি সেলিমের বড় ভাই সিরাজের, যিনি পেশায় একজন মহুরি।
স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিক ও তার ভাইদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করাসহ ওই অদ্ভুদ আকৃতির অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। নতুবা এই মারণাস্ত্র দিয়ে আরও অপরাধ সংঘটিত করার সমূহ সম্ভবনা থাকছে।
অবশ্য স্থানীয় সুধীমহল টুটুলের এই গুন্ডা বাহিনীর ত্রাসের জন্য অনেকাংশে কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামানকেই দোষারোপ করছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওসি মাসোহারা নিয়ে উত্তর আমানতগঞ্জের এই গুটি কয়েক বিএনপি নেতাকর্মীকে মাথায় তুলে বসে আছেন, যা নিয়ে ওই থানার অনেক সদস্যই তিক্ত-বিরক্ত। উদাহরণস্বরুপ যদি বলা হয়, ঈদের আগে সাংবাদিক মাহাবুবকে মারধরের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যেমন ওই থানারই এসআই পদমর্যার এক কর্মকর্তা তাদের উদ্দেশ করে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেই ফেলেন ‘খালি ওসি স্যারের রুমে আসো যাও! আর এলাকায় একের পর এক আকাম-কুকাম করে বেড়াও। ফলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে ওসি আসাদুজ্জামানের শক্তিতেই বলিয়ান বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম, সাকিনেরা।
যদিও এই প্রমাণ এর পূর্বেও একাধিক পাওয়া যায়। সাদিক আব্দুল্লাহ মননোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় যখন তাদের ঘাট বাজার দখল হয়ে যাচ্ছিল, তখন ওসি আসাদুজ্জামানই ঢাল হয়ে মিরাজদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কাউনিয়া থানা পুলিশ টহল গাড়ি নিয়ে তালতলী বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল, অন্যদিকে কালু-মিরাজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছিল। সাংবাদিক এবং ভাইদের মারধরের পর যা এখনও চলমান রেখেছে কালু।
এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রণের দাবি এসেছে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষে পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে তারা কাউনিয়া থানা পুলিশের ওপর ভরসা না রাখতে পেরে পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির, বরিশাল র্যাবপ্রধান এবং প্রতিমন্ত্রী-মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবশ্য ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে মাঠপুলিশকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা নথিভুক্তের পর পুলিশের কয়েকটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করায় পুলিশের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ওসি মো. আরিচুল হক জানিয়েছেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, উত্তর আমানতগঞ্জের ওই সংঘাতের ঘটনায় সিসি ফুটেজ যুবকদের হাতে মারণঘাতী অস্ত্র দেখা গেছে, তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এবং এসব অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার করাসহ প্রদর্শনে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’
শহরের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম এবং তাদের ভাইদের কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা পূর্বাপর এক অদ্ভুদ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় বিএনপি নেতা মিরাজ-সেলিম, সাকিন, সবুজদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে। তিন ফুট লম্বা লোহার বাট, খুব ধারালো এই অস্ত্রগুলোর প্রকৃত নাম কেউ না বলতে পারলেও অনেকে দাবি করেছে এটি আধুনিক মডেলের ‘চাইনিজ কুড়াল’। প্রায় দুই হাত লম্বা এই অস্ত্রটি লোহার বাটের মাথায় আছে, স্টিলের তৈরি গোলাকারের দা, যা দিয়ে কাউকে যদি আঘাত করা হয়, তাহলে যে কোনো অঙ্গ বিচ্ছিন্নসহ প্রাণ যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। শনিবার সিকদারপাড়া মসজিদের সম্মুখে সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করার মিরাজ, সেলিমদের বাহিনীর এমন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার পরে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার জনমনে ঘোর আতঙ্ক ভর করেছে। সুশীলমহলসহ এলাকাবাসী এই মারণাস্ত্র উদ্ধার এবং বহনকারীদের গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছে, মিরাজসহ মাত্র দুটি বিএনপি নেতার পরিবার উত্তর আমানতগঞ্জকে অশান্ত করে তুলেছে, যারা গোটা জীবন পার করেছে এলাকায় ভূমিদস্যুতা, চুরি, ছিনতাই এবং পার্শ্ববর্তী তালতলী বন্দর থেকে চাপিলা, জাটকা ও রেণুপোনা পাচারের মতো নোংরামিতে। তাদের যন্ত্রণায় এলাকার সাধারণ মানুষ ওষ্ঠাগত হলেও মুখ খোলে না ইজ্জত হারানোর ভয়ে। তবে সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের ভাইদের মারধর এবং কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনার পর শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সাংবাদিকের ভাইদের যারা কুপিয়েছে, তাদের হাতে দেশীয় তৈরি বেশকিছু অদ্ভুদ অস্ত্র দেখা গেছে, তাদের মহড়ার চিত্র স্থানীয় বাসাবাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়েছে। এমন অস্ত্র নিয়ে জনসাধারণে যেমন ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে, তেমনই চাঞ্চল্য বাড়িয়েছে। এখনই এই অস্ত্র উদ্ধার না হলে উত্তর আমানতগঞ্জে তা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকছে। বিশেষ করে এই ভীতি আরও বাড়িয়ে দেয় অতীত কিছু ভাবনায়, ২০০০ সালে উত্তর আমানতগঞ্জের সন্তান মাছুম সিকদারকে হাত কেটে হত্যার পরে লাশ পার্শ্ববর্তী শফি মিয়ার গ্যারেজের পেছনে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সবুজ, নয়নরা ওই মামলায় অভিযুক্ত। কয়েক মাস পলাতক থাকার পরে বাদীর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা এলাকায় ফিরে এসে ফের ত্রাস শুরু করে।
অভিযোগ আছে, তারা বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কোনো সেই দলের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের লোক বনে যায়। কখনও কখনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিবেদ বাধিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে দেখা গেছে। এতদিন এরা সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র সেকেন্ড ইন কমান্ড নিরব হোসেন টুটুলের ছত্রছায়ায় থেকে এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলেও এখন গা বাচাঁতে বর্তমান সিটি মেয়র এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দিকে ধাবিত হতে চাইছে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সাদিক আব্দুল্লাহ বিসিসির চেয়ার হারানোর পরে নিরব হোসেন টুটুলের রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পায়। তখন পল্টি মেরে মিরাজ, সেলিম এবং সাকিন, সবুজ, নয়নেরা একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে, প্রতিমন্ত্রীর সান্নিধ্য লাভের আশায়। কিন্তু তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তাই নেতা পাত্তা দেননি, কর্মীরা তাদের মেনে নেয়নি, বিমুখ হয়ে ফিরে গেছে।
সর্বশেষ রাজনৈতিক শেল্টারদাতা না পেয়ে তারা নিরব হোসেন টুটুলের সাথে আছে এবং অতীতের ন্যায় উত্তর আমানতগঞ্জে ক্রমাগতভাবে রক্তাক্ত করে চলছে মারণস্ত্রে, যা নিয়ে শনিবার সাংবাদিকের ভাইদের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এমন কয়েকটি অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং সুবজের ছেলে তামিল ও জহিরকে মহড়া দিতে দেখা যায়, যারা আলোকিত বরিশাল পত্রিকার সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় গভীর রাতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম কোতয়ালি মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, সকালে সাংবাদিক এবং তার ভাইদের মারধরের পর হামলাকারীরা বিকেল পর্যন্ত এলোমেলাভাবে বাসা বাড়িতে লুকিয়ে থাকলেও গভীর রাতে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। মামলার খবর পেয়ে শহরের দক্ষিণপ্রান্ত অর্থাৎ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) কাছে একটি বাসায় অবস্থান নিয়ে আছে। জানা গেছে, সেই বাসাটি মাছুম হত্যা মামলার আসামি সেলিমের বড় ভাই সিরাজের, যিনি পেশায় একজন মহুরি।
স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিক ও তার ভাইদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করাসহ ওই অদ্ভুদ আকৃতির অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। নতুবা এই মারণাস্ত্র দিয়ে আরও অপরাধ সংঘটিত করার সমূহ সম্ভবনা থাকছে।
অবশ্য স্থানীয় সুধীমহল টুটুলের এই গুন্ডা বাহিনীর ত্রাসের জন্য অনেকাংশে কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামানকেই দোষারোপ করছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওসি মাসোহারা নিয়ে উত্তর আমানতগঞ্জের এই গুটি কয়েক বিএনপি নেতাকর্মীকে মাথায় তুলে বসে আছেন, যা নিয়ে ওই থানার অনেক সদস্যই তিক্ত-বিরক্ত। উদাহরণস্বরুপ যদি বলা হয়, ঈদের আগে সাংবাদিক মাহাবুবকে মারধরের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যেমন ওই থানারই এসআই পদমর্যার এক কর্মকর্তা তাদের উদ্দেশ করে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেই ফেলেন ‘খালি ওসি স্যারের রুমে আসো যাও! আর এলাকায় একের পর এক আকাম-কুকাম করে বেড়াও। ফলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে ওসি আসাদুজ্জামানের শক্তিতেই বলিয়ান বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম, সাকিনেরা।
যদিও এই প্রমাণ এর পূর্বেও একাধিক পাওয়া যায়। সাদিক আব্দুল্লাহ মননোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় যখন তাদের ঘাট বাজার দখল হয়ে যাচ্ছিল, তখন ওসি আসাদুজ্জামানই ঢাল হয়ে মিরাজদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কাউনিয়া থানা পুলিশ টহল গাড়ি নিয়ে তালতলী বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল, অন্যদিকে কালু-মিরাজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছিল। সাংবাদিক এবং ভাইদের মারধরের পর যা এখনও চলমান রেখেছে কালু।
এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রণের দাবি এসেছে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষে পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে তারা কাউনিয়া থানা পুলিশের ওপর ভরসা না রাখতে পেরে পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির, বরিশাল র্যাবপ্রধান এবং প্রতিমন্ত্রী-মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবশ্য ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে মাঠপুলিশকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা নথিভুক্তের পর পুলিশের কয়েকটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করায় পুলিশের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ওসি মো. আরিচুল হক জানিয়েছেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, উত্তর আমানতগঞ্জের ওই সংঘাতের ঘটনায় সিসি ফুটেজ যুবকদের হাতে মারণঘাতী অস্ত্র দেখা গেছে, তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এবং এসব অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার করাসহ প্রদর্শনে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’
০৮ জুন, ২০২৫ ০৭:৪৫
বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা মামলা করে কোস্টগার্ড।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট স্থগিত আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাস্টার শুক্কুর এবং ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরূপ নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ড ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন।
সেই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কমান্ডার শাহ-জালাল। এরপরে গ্রেপ্তার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এবং মাস্টার শুকুর আলী। মামলা এবং গ্রেপ্তারের একদিন পরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করল বিআইডব্লিউটিএ।’
বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা মামলা করে কোস্টগার্ড।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট স্থগিত আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাস্টার শুক্কুর এবং ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরূপ নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ড ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন।
সেই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কমান্ডার শাহ-জালাল। এরপরে গ্রেপ্তার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এবং মাস্টার শুকুর আলী। মামলা এবং গ্রেপ্তারের একদিন পরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করল বিআইডব্লিউটিএ।’
০৭ জুন, ২০২৫ ০৪:১৬
বরিশালে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছেন মুসল্লিরা।শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সকাল থেকেই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। অপরদিকে নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া নগরের ৫ শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
বরিশালে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছেন মুসল্লিরা।শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সকাল থেকেই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। অপরদিকে নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া নগরের ৫ শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
০৬ জুন, ২০২৫ ১৪:৪২
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বরিশালের লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ভাড়া বেশি নেয়া, যাত্রী হয়রানি এবং দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।শুক্রবার (৬ জুন) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে, জানান কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত ৫ জুন রাত ৯টার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। পরে মাঝনদীতে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা ও ট্রলারে করে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীর ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৫৫০ হলেও প্রায় ৪ হাজার যাত্রী বহন করা হয়। এবং ভোর রাতে বৃষ্টির সময় ছাদে থাকা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের লঞ্চের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ছাদের দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর পর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ব্যবহার এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ স্টাফদের বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রীদের অনুরোধে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের মধ্যস্থতায় যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সমঝোতা হয়।
তবে পরে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান এবং তার ছেলে শান্ত হাসান এসে কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণ করেন এবং সরকারি কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কোস্টগার্ড সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দুইজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ঘটনার পর লঞ্চ মালিক, তার ছেলে, ম্যানেজার ও সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বরিশালের লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ভাড়া বেশি নেয়া, যাত্রী হয়রানি এবং দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।শুক্রবার (৬ জুন) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে, জানান কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত ৫ জুন রাত ৯টার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। পরে মাঝনদীতে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা ও ট্রলারে করে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীর ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৫৫০ হলেও প্রায় ৪ হাজার যাত্রী বহন করা হয়। এবং ভোর রাতে বৃষ্টির সময় ছাদে থাকা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের লঞ্চের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ছাদের দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর পর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ব্যবহার এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ স্টাফদের বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রীদের অনুরোধে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের মধ্যস্থতায় যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সমঝোতা হয়।
তবে পরে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান এবং তার ছেলে শান্ত হাসান এসে কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণ করেন এবং সরকারি কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কোস্টগার্ড সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দুইজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ঘটনার পর লঞ্চ মালিক, তার ছেলে, ম্যানেজার ও সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.