dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

বাবুগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৪র্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলন

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

০২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:৩৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৪র্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৃষকদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় বরিশালের বাবুগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলন-২০২৫। ভেনিজুয়েলার গ্লোবাল ফার্মি বলিভার একাডেমির উদ্যোগে নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুধবার (১ অক্টোবর) উপজেলার মাধবপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই বৈশ্বিক কৃষক সংহতির চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও ভারতে (৪ দেশে) নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ক্যাপায়া রদ্রিগেজ গনজালেস।

চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলনের আহবায়ক ও বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আলহাজ্ব নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ওই সম্মেলনে গেস্ট অব অনার ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরএভার লিভিং সোসাইটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস। চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলনের সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট সংগঠক সুজন আহমেদের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বৈশ্বিক কৃষক সংহতির বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান।

চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতির সম্মেলনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হক ফিরোজ, বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হোসেন, মাধবপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, চতুর্থ কৃষক সংহতি সম্মেলনের আহবায়ক কমিটির সদস্য আসাদুল করিম পিপুল, শামিল শাহরোখ তমাল, আসাদুজ্জামান মেনন প্রমুখ।

চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতির ওই সম্মেলনে ভেনিজুয়েলা কিউবা, কোরিয়া, তিউনেশিয়া, চীন, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কৃষক প্রতিনিধিদের কৃষিক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। এসময় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন মোকাবেলাসহ বিশ্বের কৃষকদের অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ক্যাপায়া রদ্রিগেজ গনজালেসকে এসময় বাংলাদেশের ১০ সহস্রাধিক কৃষকের গণস্বাক্ষর করা একটি সম্মাননা স্মারক গ্রন্থ উপহার প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসসহ চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলনের আয়োজকরা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ ও ভারতসহ ৪ দেশে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ক্যাপায়া রদ্রিগেজ গনজালেস বলেন, 'মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কারণে আজ গোটা বিশ্ব হুমকির সম্মুখীন। বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য কৃষকদের কর্মহীন করার যড়যন্ত্র চলছে। আজ পৃথিবীতে যুদ্ধ এবং অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে। মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো ক্রমাগতভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি বিশ্বের কৃষি এবং কৃষকের জীবন ও জীবিকার উপরে পড়ছে। এখনই সচেতন না হলে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেবে। খাবার পাবে না পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ। ভবিষ্যতের এই বিপর্যয় এড়াতে হলে বিশ্বের সকল কৃষককে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।'

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনারের বক্তৃতাকালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরএভার লিভিং সোসাইটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, 'বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এই দেশের ৮০% মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই দেশ বাঁচাতে হলে আগে কৃষক বাঁচাতে হবে। বাজারে সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম চড়া। এদেশের কৃষকরা এখনো তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। আড়ৎদার, মজুতদার সিন্ডিকেটের কাছে কৃষক জিম্মি। তাই পেশা বদল করে ফেলছে কৃষকরা। এই জিম্মিদশা থেকে তাদের উদ্ধার করতে হবে। সরকারিভাবে কৃষি ভর্তুকি প্রদানসহ কৃষকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।'

চতুর্থ বৈশ্বিক কৃষক সংহতি সম্মেলনের সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট সংগঠক সুজন আহমেদ জানান, কৃষকদের এই বৈশ্বিক সংহতি সম্মেলন একটি মেলবন্ধন। গ্লোবাল ফার্মি বলিভার একাডেমির মাধ্যমে ভেনিজুয়েলা, কিউবা, কোরিয়া, চীন, জার্মানি, তিউনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষক প্রতিনিধিদের সফর এবং আধুনিক কৃষি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করাই এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। এছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, সমন্বিত বাজার ব্যবস্থাপনা এবং বৈশ্বিকভাবে কৃষকদের উন্নয়ন, স্বার্থ সংরক্ষণ এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ভেনিজুয়েলার সাইমন বলিভার ফার্মি একাডেমি। #

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।

এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।

মেঘনায় অভিযানে আটক ১১ জেলের জেল-জরিমানা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মেঘনায় অভিযানে আটক ১১ জেলের জেল-জরিমানা

বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।

সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।

জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।

একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.