০৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৪০
বরগুনায় মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর বরগুনার পাথারঘাটা উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের শক দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং এলাচী বেগমের ছেলে সুজন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কবিরর তালুকদার প্রায় ৩০ বছর আগে মহিমা বেগমকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার চলছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন কবির।
মেয়ে রেখা বেগমকে বিয়ে দেওয়ার পর কবির মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে রেখা বাবা ও তার শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করে। ফলে শাশুড়ি এলাচী বেগম এবং স্বামী সুজন রেখার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
একপর্যায়ে রেখা ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার চার বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রী মহিমার অমতে মৃত মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কবির। তবে বিয়ে করলেও কবির প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিতে পারেননি।
আর এ কারণেই প্রথম স্ত্রী মহিমা বেগমকে বিভিন্ন দাবিতে নির্যাতন করতে শুরু করে করিব তালুকদার। একপর্যায়ে কবিরসহ দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম ও তার ছেলে সুজন মহিমা বেগমকে বিদ্যুতের শক দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মহিমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিমা বেগমের ছেলে হেলাল তালুকদার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং তার ছেলে সুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।
মামলার বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, ঘটনার দিন আমার অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যেতে বলেন আমার বাবা কবির তালুকদার। পরে আমার ছোট ভাইসহ আমি সেখানে গেলে খবর পাই বিদ্যুতের শক লেগে আমার মা মারা গেছেন।
তবে বাড়িতে গিয়ে শুনতে পাই মাকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় মামলা করলে আদালত আমার বাবাসহ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মায়ের হত্যায় জড়িত আমার বাবার ফাঁসির আদেশ হলেও সঠিক বিচার হওয়ায় আমি খুশি। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই ছেলে হয়ে আর কারো যেন কখনো কোনো বাবার বিরুদ্ধে যেতে না হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বিজ্ঞ আদালতে বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আসামিদেরকে মৃত্যদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ রায়ে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আমি সন্তুষ্ট।
বরগুনায় মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর বরগুনার পাথারঘাটা উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের শক দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং এলাচী বেগমের ছেলে সুজন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কবিরর তালুকদার প্রায় ৩০ বছর আগে মহিমা বেগমকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার চলছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন কবির।
মেয়ে রেখা বেগমকে বিয়ে দেওয়ার পর কবির মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে রেখা বাবা ও তার শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করে। ফলে শাশুড়ি এলাচী বেগম এবং স্বামী সুজন রেখার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
একপর্যায়ে রেখা ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার চার বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রী মহিমার অমতে মৃত মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কবির। তবে বিয়ে করলেও কবির প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিতে পারেননি।
আর এ কারণেই প্রথম স্ত্রী মহিমা বেগমকে বিভিন্ন দাবিতে নির্যাতন করতে শুরু করে করিব তালুকদার। একপর্যায়ে কবিরসহ দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম ও তার ছেলে সুজন মহিমা বেগমকে বিদ্যুতের শক দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মহিমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিমা বেগমের ছেলে হেলাল তালুকদার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং তার ছেলে সুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।
মামলার বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, ঘটনার দিন আমার অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যেতে বলেন আমার বাবা কবির তালুকদার। পরে আমার ছোট ভাইসহ আমি সেখানে গেলে খবর পাই বিদ্যুতের শক লেগে আমার মা মারা গেছেন।
তবে বাড়িতে গিয়ে শুনতে পাই মাকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় মামলা করলে আদালত আমার বাবাসহ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মায়ের হত্যায় জড়িত আমার বাবার ফাঁসির আদেশ হলেও সঠিক বিচার হওয়ায় আমি খুশি। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই ছেলে হয়ে আর কারো যেন কখনো কোনো বাবার বিরুদ্ধে যেতে না হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বিজ্ঞ আদালতে বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আসামিদেরকে মৃত্যদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ রায়ে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আমি সন্তুষ্ট।
১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১০
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৩০
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩৬
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর এবার নিজের ছয় বছর বয়সী ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৭)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত তাননুর আক্তার নাবিল (৬) ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে চাচা হাবিল একটি গড়ান কাঠের লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথা ও হাতে আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পথে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে হত্যার ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করে এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাবিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে সে ৯ বছর সাজাভোগের পর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পায়।
মুক্তির এক বছর না যেতেই আবারও ঘাতক রূপে ফিরে এলো সে। এবার বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের কন্যা তাননুর আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন
নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এখন আমার ছোট মেয়ে তাননুকেও পিটিয়ে মেরেছে। আমার জীবনে আর কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’
প্রত্যক্ষদর্শী রানা হাওলাদার জানান, তাননু দোকানে যাওয়ার পথে হাবিল পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সালাম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করলে সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম ছিল। বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর এবার নিজের ছয় বছর বয়সী ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৭)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত তাননুর আক্তার নাবিল (৬) ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে চাচা হাবিল একটি গড়ান কাঠের লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথা ও হাতে আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পথে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে হত্যার ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করে এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাবিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে সে ৯ বছর সাজাভোগের পর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পায়।
মুক্তির এক বছর না যেতেই আবারও ঘাতক রূপে ফিরে এলো সে। এবার বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের কন্যা তাননুর আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন
নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এখন আমার ছোট মেয়ে তাননুকেও পিটিয়ে মেরেছে। আমার জীবনে আর কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’
প্রত্যক্ষদর্শী রানা হাওলাদার জানান, তাননু দোকানে যাওয়ার পথে হাবিল পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সালাম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করলে সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম ছিল। বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.