
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০৪
বরিশালের সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদী হাসানাত ফিরোজের নেতৃত্বে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কয়েকদিন ধরে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এবং মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদ সম্মুখসহ আশপাশ এলাকাসমূহের বিক্রেতাদের বার্তা পৌছে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্রেতারা এলাকাবাসীর এমন হুঁশিয়ারি গায়ে মাখেননি বরং আরও প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি শুরু করে। এনিয়ে এলাকায় নানান কথা চালু থাকার মধ্যেই গতকাল বুধবার ইউনিয়নের পাচগাঁও বাজার থেকে মো. জসিম নামের ৩৫ বছর বয়সি এক যুবককে গাঁজাসহ আটক করে স্থানীয় জনতা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১ নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের পাচগাঁও বাজারের মৃত শহীদের ছেলে জসিমকে ৬০ পুড়িয়া গাঁজাসহ আটক করে স্থানীয় জনতা। এই বিষয়টি পরক্ষণে বিএনপি নেতা আজাদী হাসানাত ফিরোজকে অবহিত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এবং মাদকবিক্রেতা যুবককে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।
রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজাদী হাসানাত ফিরোজ জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকায় মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পরে বিভিন্ন সময়ে তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলা এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু কেউ আলোর পথে আসেনি বরং উল্টো হেঁটে মাদক বাণিজ্য চালাতে থাকেন, তাদের মধ্যে একজন এই জসিম, যিনি পাচগাঁও বাজারে মাদকের বিষ ছড়াচ্ছিলেন।
ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থানা পুলিশের এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, গাঁজাসহ যুবক জসিমকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে মাদকসহ আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় একটি মামলার গ্রহণ করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, মাদকের বিরুদ্ধে একযোগে এলাকাবাসী সরব হয়ে ওঠার বিষয়টি ইতিবাচক ধারনা বহন করে, যা মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার ইঙ্গিত দেয়।
বিএনপি নেতা আজাদী হাসানাত ফিরোজের নিজ ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার এই সংকল্পকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীলমহল।’
বরিশালের সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদী হাসানাত ফিরোজের নেতৃত্বে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কয়েকদিন ধরে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এবং মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদ সম্মুখসহ আশপাশ এলাকাসমূহের বিক্রেতাদের বার্তা পৌছে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্রেতারা এলাকাবাসীর এমন হুঁশিয়ারি গায়ে মাখেননি বরং আরও প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি শুরু করে। এনিয়ে এলাকায় নানান কথা চালু থাকার মধ্যেই গতকাল বুধবার ইউনিয়নের পাচগাঁও বাজার থেকে মো. জসিম নামের ৩৫ বছর বয়সি এক যুবককে গাঁজাসহ আটক করে স্থানীয় জনতা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১ নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের পাচগাঁও বাজারের মৃত শহীদের ছেলে জসিমকে ৬০ পুড়িয়া গাঁজাসহ আটক করে স্থানীয় জনতা। এই বিষয়টি পরক্ষণে বিএনপি নেতা আজাদী হাসানাত ফিরোজকে অবহিত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এবং মাদকবিক্রেতা যুবককে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।
রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজাদী হাসানাত ফিরোজ জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকায় মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পরে বিভিন্ন সময়ে তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলা এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু কেউ আলোর পথে আসেনি বরং উল্টো হেঁটে মাদক বাণিজ্য চালাতে থাকেন, তাদের মধ্যে একজন এই জসিম, যিনি পাচগাঁও বাজারে মাদকের বিষ ছড়াচ্ছিলেন।
ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থানা পুলিশের এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, গাঁজাসহ যুবক জসিমকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে মাদকসহ আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় একটি মামলার গ্রহণ করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, মাদকের বিরুদ্ধে একযোগে এলাকাবাসী সরব হয়ে ওঠার বিষয়টি ইতিবাচক ধারনা বহন করে, যা মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার ইঙ্গিত দেয়।
বিএনপি নেতা আজাদী হাসানাত ফিরোজের নিজ ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার এই সংকল্পকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীলমহল।’

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
বরিশালে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে পড়া কৃষিজমি উদ্ধার ও খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খাল পুনঃখনন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বিলের পোল থেকে নাপিত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্বনির্ভর খাল খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। চরকাউয়া এলাকায় গিয়ে তিনি দেখেন, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভরাট খালের কারণে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি বছরের পর বছর জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি দ্রুত খাল খনন প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বলেন, ‘বরিশালের ভরাট খালগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকের আয় বাড়বে।’
বিএডিসি বরিশাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খালটি ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। একই সঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংস্থাটি জানায়, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলে ৩০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া ও আজাহার আলী জানান, খাল পুনঃখননের ফলে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা জমি আবার আবাদযোগ্য হবে। সেচসুবিধা বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় কমবে, আর কৃষকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও কমে আসবে। তাদের আশা, কাজটি সময়মতো ও সঠিকভাবে শেষ হলে এলাকার কৃষিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক বলেন, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়াই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যদি জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে আসে।’
বরিশালে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে পড়া কৃষিজমি উদ্ধার ও খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খাল পুনঃখনন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বিলের পোল থেকে নাপিত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্বনির্ভর খাল খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। চরকাউয়া এলাকায় গিয়ে তিনি দেখেন, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভরাট খালের কারণে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি বছরের পর বছর জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি দ্রুত খাল খনন প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বলেন, ‘বরিশালের ভরাট খালগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকের আয় বাড়বে।’
বিএডিসি বরিশাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খালটি ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। একই সঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংস্থাটি জানায়, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলে ৩০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া ও আজাহার আলী জানান, খাল পুনঃখননের ফলে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা জমি আবার আবাদযোগ্য হবে। সেচসুবিধা বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় কমবে, আর কৃষকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও কমে আসবে। তাদের আশা, কাজটি সময়মতো ও সঠিকভাবে শেষ হলে এলাকার কৃষিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক বলেন, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়াই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যদি জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে আসে।’

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
বরিশালের গৌরনদীতে ৪ ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশাল শহরের বাসিন্দা অশোক, গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের হৃদয় ও তার ভাই তারেক, স্বরূপকাঠী এলাকার তসলিম।
আটকদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধ্যরাতে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতাবস্থায় আটক চারজনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বরিশালের গৌরনদীতে ৪ ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশাল শহরের বাসিন্দা অশোক, গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের হৃদয় ও তার ভাই তারেক, স্বরূপকাঠী এলাকার তসলিম।
আটকদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধ্যরাতে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতাবস্থায় আটক চারজনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.