dreamliferupatolibarisal

ভোলা

লালমোহনে মা ইলিশ রক্ষায় যৌথ অভিযান, ৩ জেলের অর্থদন্ড

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লালমোহনে মা ইলিশ রক্ষায় যৌথ অভিযান, ৩ জেলের অর্থদন্ড

ভোলার লালমোহন উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য দফতর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও থানা পুলিশের উদ্যোগে তেঁতুলিয়া নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে ৩ জেলেকে আটক করা হয়।

এছাড়া জব্দ করা হয় ২০ হাজার মিটার অবৈধ জাল এবং বিভিন্ন প্রজাতির ২০ কেজি মাছ। পরে বিকেলে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর মৎস্যঘাটে আটককৃত জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা অর্থদÐ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহ আজিজ।

এছাড়া জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়, এতিমখানা ও মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে মাছ। এ সময় লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমেদ আখন্দসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনী, থানা পুলিশের সদস্য এবং মৎস্য দফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, বর্তমান সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, যাদের কোনো সমর্থন নেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার জন্য নানান ধরনের উদ্ভট দাবি শুরু করেছে।

যার একটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে জনগণ প্রার্থীকে নয়, মার্কাকে ভোট দেবে। যার ফলে জনগণ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারবে না। তাই জনগণও এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন মেনে নেবে না।

শুক্রবার সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার মাঠে বিভিন্ন আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক- কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের কষ্ট করে পাঠানো টাকাও বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একমাত্র কাজই হচ্ছে দেশের অর্থ লুটপাট করা, বিদেশে পাচার করা।

আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ কেউ যেন করতে না পারে সেজন্য তারা দেশের মধ্যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। হত্যা, গুম ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে এ দেশের মেরুদÐ ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এছাড়া মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগ ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সব সময় কাজ করেছে। লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের পৌরসভার সিনিয়র সহ- সভাপতি মাওলানা মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারীসহ উপজেলা, পৌরসভা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তজুমদ্দিনে বিভিন্ন নৌরুটে চলছে ফিটনেস বিহীন ট্রলার, নিরব প্রশাসন

হেলাল লিটন, তজুমুদ্দিন

হেলাল লিটন, তজুমুদ্দিন

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তজুমদ্দিনে বিভিন্ন নৌরুটে চলছে ফিটনেস বিহীন ট্রলার, নিরব প্রশাসন

তজুমদ্দিন থেকে বিভিন্ন রুটে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান। প্রতিদিন এসব রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার মানুষ।

ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে নৌ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে পারছে না। যার ফলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই উত্তাল মেঘনা নদীতে যাত্রীরা পারাপার করছে ছোট ছোট ট্রলার ও লঞ্চে করে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যান্ত আট মাস ভোলার মেঘনার ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। সি- সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের অনিরাপদ নৌযান চলাচলে নিশেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলা জেলার উপক‚লের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট লঞ্চ ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। দু’একটি রুটে সি-ট্রাক কিংবা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রাপ্ত লঞ্চ থাকলেও বেশিরভাগ রুটেই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ আর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

বিশেষ করে তজুমদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন একটি ফিটনেসবিহীন ও সি-সার্ভেন ছাড়া ও ইঞ্জিন চালিত একটি ছোটট্রলার মনপুরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়াও দৌলতখান-মির্জাকালু থেকে চর জহিরুদ্দিনে ছোট কাঠের ইঞ্জিন চালিত ও সি-সার্ভের প্রত্যয়ন ছাড়া একাধিক ট্রলারে সাধারণ যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিক মহিষখালী মাছঘাট, চৌমুহনী লঞ্চঘাট, শশীগঞ্জ সুইসঘাট থেকে প্রতিনিদি চরজহিরুদ্দিন, চরমোজাম্মেল, চর নাসরিন, চরলাদেন, চরফাজানা, নাগর পাটওয়ারীর চর, সিকদারচর ও মনপুরা উপজেলার কলাতলীর চরে প্রতিদিন ছোট ছোট ফিটনেসবিহীন কাঠের নৌকা চলাচল করলেও সেসব দেখার যেন কেউ নেই।

আর এ সুযোগে এধরনের অসাধু নৌযান ব্যবসায়ীরা এরুটে চলাচল করা মানুষের জীবন নিয়ে করছেন হালিখেলা। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অক্টোবর-নভেম্বর মাস প্রচুর প্রাকৃতিক দূর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার মৌসুম হলেও তজুমদ্দিন থেকে মনপুরাসহ সকল নৌরুটে সি-সার্ভেহীন ফিটনেস বিহীন নৌযান চলাচল করলেও তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। প্রশাসনের নিরবতায় বড় ধরনের নৌ দূর্ঘটনার আশংকা করছে সাধারণ যাত্রীরা। এসব অবৈধ নৌযানের মালিকপক্ষ ও ষ্টার্ফরা জোড়পূর্বক তাদের ফিটনেসহীন নৌযানে তুলে নেয় যাত্রীদের। নৌদূর্ঘটনায় এসব যাত্রীদের দায় নেবে কে ?। গতকাল সরজমিনে আলাপকালে জানা যায়, তজুমদ্দিন মনপুরা নৌরুটে চলাচলকারী একমাত্র সরকারি নৌযান সিট্রাকের টিসি মাষ্টার এরশাদ মিজি ও লস্কর মোঃ শাহিন বলেন, যেহেতু মেঘনা নদীটি ডেঞ্জার জোনের আওতায় সেহেতু বিআইডবিøউটিএ-এর সি-সার্ভে রিপোর্ট ব্যতীত কোন নৌযান এরুটে চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও একটি পক্ষ জেলা পরিষদ থেকে একটি ডাকের মাধ্যমে ফিটনেসবিহীন ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে জোড়পূর্বক যাত্রী আনা-নেয়া করছে। আমরা চাই প্রশাসন সরকারের নিয়ম মেনে এসব অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাত্রী আঃ মতিন কেরানি, মাহাবুব, রুবেলসহ অনেক যাত্রী জানান, মনপুরা- তজুমদ্দিন নৌরুটে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ হওয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে নদী পথেই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু মনপুরায় একইঘাটে সরকারি সিট্রাক ও ছোট নৌকাটি ঘাট করায় আমরা নৌকায় উঠতে না চাইলেও ষ্টার্ফরা যাত্রীদের জোড়পূর্বক তুলে নেয়। তখন বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার, ইঞ্জিন নৌকা, ফিটনেসবিহীন ছোট ছোট লঞ্চে মেঘনা নদীর জেঞ্জার জোন পারি দিচ্ছে। সিট্রাকের ইজারাদার মোঃ নুরুদ্দিন মিয়া বলেন, যেহেতু মেঘনা সারাবছরই ডেঞ্জারজোন সেহেতু ফিটনেসহীন এসব ছোট ট্রলার এরুটে চলাচল করার বৈধতা নেই। তবুও প্রতিপক্ষ তার লোকজন জোড়পূর্বক মনপুরা থেকে যাত্রী তুলে নিয়ে যায়।

যে কারণে গত প্রায় এক বছরে আমি প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ। এভাবে চলতে থাকলে আমি সিট্রাক বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোন পথ থাকবে না। তখন যাত্রীদের দূর্ভোগ আরো বেশি হবে। জেলা প্ররিষদের সাব-ইজারাদার মোঃ বাপ্পি বলেন, আমি জেলা পরিষদের সাব ইজারাদার হিসেবে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করছি। তবে জোড়ের কোন বিষয় নেই মানুষ তার ইচ্ছেমত পারাপার হচ্ছে।

তবে তিনি তার সি-সার্ভের রিপোর্ট রয়েছে দাবী করলেও তা প্রমাণ দিতে পারেনি। এব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, যেহেতু বিআইডবিøউটিএ ও জেলা পরিষদ দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেহেতু বিআইডবিøউটিএ অফিসিয়ালি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তখন সমন্বয় করে আমরা আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মনপুরায় ফলাফলে শীর্ষে মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজ

সীমান্ত হেলাল, মনপুরা

সীমান্ত হেলাল, মনপুরা

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৪৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মনপুরায় ফলাফলে শীর্ষে মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজ

ভোলার মনপুরা উপজেলায় এবারের এইচএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজ। কলেজটি বিগত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এবারের ফলাফলে উপজেলার আর কোন প্রতিষ্ঠানে জিপিও ৫ (A+) না পাওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বরিশাল বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

এবারের এইচএসসি'র ফলাফলে মনোয়ারা বেগম মহিলা থেকে ৫৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৫১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। তন্মধ্যে ৫ জন জিপিএ ৫ (A+) পেয়ে উত্তীর্ন হয়েছে। এতে ২ জন অনুপস্থিত ও ১ আংশিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে ২ জন ও বিজ্ঞান বিভাগে ৩ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মনপুরা সরকারি কলেজ থেকে ১৬৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ১৩৯ জন উত্তীর্ণ ও ৩৩ জন অকৃতকার্জ হয়েছে। সাকুচিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে ১২৮ জনে ৯৫ জন উত্তীর্ণ ও ৩৭ অকৃতকার্জ হয়েছে। মনপুরা ফাজিল/ডিগ্রী মাদ্রাসা থেকে ৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৯ জন উত্তীর্ণ ও ৫ অকৃতকার্জ হয়েছে। হাজীর হাট হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৭ জন পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে ১৬ জন উত্তীর্ণ ও ১ জন অকৃতকার্য হয়েছে।

ভালো ফলাফলের ব্যাপারে মনপুরা মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, বিগত বছরের ন্যায় এবারও আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা ফলাফল উপজেলায় সেরা হয়েছে। আমাদের কলেজের শিক্ষকরা আন্তরিকতার সহিত নিয়মিত পাঠদান করে থাকেন। এবং শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতের মাধ্যমে কলেজটি পরিচালিত হয়ে আসছে। আশা করি আগামী দিনেও আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত থাকবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.