
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:১৫
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জামায়াতে ইসলামী নেতা মাসুদ সাঈদী বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করবেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ আজ পরিবর্তন চায়। তারা চায় একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার, ন্যায় ও ইনসাফ-ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।
সোমবার বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মাওলানা ছারোয়ার হোসেন মোল্লা।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকালে আছে। শত্রুরা বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে। জুলাই মাসের পরিবর্তনের পর সকল দল দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশ এগোতে পারত। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু বন্ধু যারা একত্রে ছিল তারা আবার বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করছে। যদি আমরা নিজেরা ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত হই, তাহলে ফ্যাসিস্ট দল আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি আল্লামা সাঈদীর অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে চান। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি, আমিও আল্লামা সাঈদীর মত আমানতদারীর সাথে পিরোজপুরকে সাজাব,” মাসুদ সাঈদী বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি শেখ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, পিরোজপুর সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক শেখ, ইন্দুরকানী উপজেলা আমীর মাওলানা আলী হোসেন, সাবেক আমীর মো. হাবিবুর রহমান, কেসি টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম ইউনুস আলী, সেক্রেটারি মো. তৌহিদুর রহমান রাতুল, ইন্দুরকানী উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম এবং স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
মাসুদ সাঈদীর এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ভোটারদের কাছে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছেন এবং স্থানীয় উন্নয়নের বিষয়ে তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জামায়াতে ইসলামী নেতা মাসুদ সাঈদী বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করবেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ আজ পরিবর্তন চায়। তারা চায় একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার, ন্যায় ও ইনসাফ-ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।
সোমবার বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মাওলানা ছারোয়ার হোসেন মোল্লা।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকালে আছে। শত্রুরা বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে। জুলাই মাসের পরিবর্তনের পর সকল দল দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশ এগোতে পারত। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু বন্ধু যারা একত্রে ছিল তারা আবার বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করছে। যদি আমরা নিজেরা ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত হই, তাহলে ফ্যাসিস্ট দল আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি আল্লামা সাঈদীর অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে চান। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি, আমিও আল্লামা সাঈদীর মত আমানতদারীর সাথে পিরোজপুরকে সাজাব,” মাসুদ সাঈদী বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি শেখ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, পিরোজপুর সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক শেখ, ইন্দুরকানী উপজেলা আমীর মাওলানা আলী হোসেন, সাবেক আমীর মো. হাবিবুর রহমান, কেসি টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম ইউনুস আলী, সেক্রেটারি মো. তৌহিদুর রহমান রাতুল, ইন্দুরকানী উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম এবং স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
মাসুদ সাঈদীর এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ভোটারদের কাছে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছেন এবং স্থানীয় উন্নয়নের বিষয়ে তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৪০
সড়ক দুর্ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফেরার পথে বরিশাল-ঝালকাঠী আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাদল ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান খান মন্জু।
জানাগেছে, বাদল ও মন্জু দুইজন একই মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফিরছিলেন। এ সময় ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ঝালকাঠি শহরের মানপাশা টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক মোড়ের একটু পূর্ব দিকে বাপ্পি ভিলার সামনে মটর সাইকেল ও ধানসিড়ি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ধাক্কায় নিজ মোটরসাইকেল চালক মন্জু দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনা স্থলেই নিহত হন। এবং আরহী সিটকে গিয়ে রাস্তার পাসে খামের সাথে বারি লেগে গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর কবির বাদলকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত দুজনই মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খলিফা বলেন, তারা দুজন বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া মোটরসাইকেল করে আসার পথে ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কে ধানসিঁড়ি বাসের ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফেরার পথে বরিশাল-ঝালকাঠী আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাদল ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান খান মন্জু।
জানাগেছে, বাদল ও মন্জু দুইজন একই মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফিরছিলেন। এ সময় ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ঝালকাঠি শহরের মানপাশা টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক মোড়ের একটু পূর্ব দিকে বাপ্পি ভিলার সামনে মটর সাইকেল ও ধানসিড়ি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ধাক্কায় নিজ মোটরসাইকেল চালক মন্জু দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনা স্থলেই নিহত হন। এবং আরহী সিটকে গিয়ে রাস্তার পাসে খামের সাথে বারি লেগে গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর কবির বাদলকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত দুজনই মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খলিফা বলেন, তারা দুজন বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া মোটরসাইকেল করে আসার পথে ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কে ধানসিঁড়ি বাসের ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১২
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শুঁটকি পল্লী, নদী ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এক ব্যস্ত কর্মচাঞ্চল্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কচা নদীর তীর ঘেঁষে সারি সারি বাঁশের মাচা, বাতাসে ভেসে আসা শুকনো মাছের গন্ধ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত হাতের শব্দে দিনভর মুখর থাকে এই এলাকা। শীত এলেই যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় শুঁটকি পল্লীটি।
নদী ও বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি হওয়ায় সদর উপজেলার পাড়েরহাটে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে ওঠে।
এই বন্দরের পাশেই চিথলিয়া গ্রামে শুঁটকি পল্লীর সূচনা। বন্দরে আসা সামুদ্রিক মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের দক্ষিণে কচা নদীর তীরে পাঁচটি বাসা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শুঁটকি পল্লী। এখানে ৫ থেকে ৭ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। মৌসুমভেদে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। কেউ বন্দর থেকে মাছ এনে পরিষ্কার করছেন, কেউ বড় মাছ কাটছেন, আবার কেউ লবণ পানি মিশিয়ে বাঁশের মাচায় মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। শুকিয়ে যাওয়া শুঁটকি বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে পাড়েরহাটে একটি বাসা দিয়ে শুঁটকির ব্যবসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৮ থেকে ১০টি বাসায় পৌঁছালেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচটি বাসা রয়েছে। এখানে কোরাল, লইট্টা, ছুরি, চিতল, হাইতা, মর্মা, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলাসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শীতকালে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুঁটকির মানও ভালো থাকে। গরমে শুঁটকির গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পল্লীটি। মাছের মান অনুযায়ী প্রতি কেজি শুঁটকি ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, তারা কোনো ধরনের ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করেই শুঁটকি তৈরি করেন। নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় বাজারে তাদের শুঁটকির চাহিদা বেশি।
চিথলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলী সরদার জানান, মৌসুমের শুরুতে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা সরাসরি মাছ এনে বিক্রি করেন, সেখান থেকেই শুঁটকির জন্য মাছ সংগ্রহ করা হয়। ইলিশ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
চার বছর ধরে এখানে কাজ করা শ্রমিক মো. ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, এখানে কোনো কীটনাশক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। রোদে শুকিয়ে পরিষ্কারভাবে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলেই এর চাহিদা বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এখানে পাঁচটি বাসায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তবে টিউবওয়েল, একটি সেতু ও পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত।
প্রতি বছর এই শুঁটকি পল্লী থেকে ১০০ টনের বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টরা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস এখানে শুঁটকি কার্যক্রম চলে এবং উৎপাদন পদ্ধতি নিরাপদ। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুঁটকি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তদারকি বাড়বে এবং এখানকার শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শুঁটকি পল্লী, নদী ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এক ব্যস্ত কর্মচাঞ্চল্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কচা নদীর তীর ঘেঁষে সারি সারি বাঁশের মাচা, বাতাসে ভেসে আসা শুকনো মাছের গন্ধ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত হাতের শব্দে দিনভর মুখর থাকে এই এলাকা। শীত এলেই যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় শুঁটকি পল্লীটি।
নদী ও বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি হওয়ায় সদর উপজেলার পাড়েরহাটে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে ওঠে।
এই বন্দরের পাশেই চিথলিয়া গ্রামে শুঁটকি পল্লীর সূচনা। বন্দরে আসা সামুদ্রিক মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের দক্ষিণে কচা নদীর তীরে পাঁচটি বাসা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শুঁটকি পল্লী। এখানে ৫ থেকে ৭ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। মৌসুমভেদে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। কেউ বন্দর থেকে মাছ এনে পরিষ্কার করছেন, কেউ বড় মাছ কাটছেন, আবার কেউ লবণ পানি মিশিয়ে বাঁশের মাচায় মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। শুকিয়ে যাওয়া শুঁটকি বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে পাড়েরহাটে একটি বাসা দিয়ে শুঁটকির ব্যবসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৮ থেকে ১০টি বাসায় পৌঁছালেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচটি বাসা রয়েছে। এখানে কোরাল, লইট্টা, ছুরি, চিতল, হাইতা, মর্মা, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলাসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শীতকালে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুঁটকির মানও ভালো থাকে। গরমে শুঁটকির গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পল্লীটি। মাছের মান অনুযায়ী প্রতি কেজি শুঁটকি ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, তারা কোনো ধরনের ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করেই শুঁটকি তৈরি করেন। নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় বাজারে তাদের শুঁটকির চাহিদা বেশি।
চিথলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলী সরদার জানান, মৌসুমের শুরুতে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা সরাসরি মাছ এনে বিক্রি করেন, সেখান থেকেই শুঁটকির জন্য মাছ সংগ্রহ করা হয়। ইলিশ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
চার বছর ধরে এখানে কাজ করা শ্রমিক মো. ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, এখানে কোনো কীটনাশক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। রোদে শুকিয়ে পরিষ্কারভাবে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলেই এর চাহিদা বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এখানে পাঁচটি বাসায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তবে টিউবওয়েল, একটি সেতু ও পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত।
প্রতি বছর এই শুঁটকি পল্লী থেকে ১০০ টনের বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টরা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস এখানে শুঁটকি কার্যক্রম চলে এবং উৎপাদন পদ্ধতি নিরাপদ। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুঁটকি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তদারকি বাড়বে এবং এখানকার শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০০
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দোতালায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পাশের একটি ভবন থেকে লাঠির সঙ্গে গামছায় পেট্রোল লাগিয়ে ভেতরে আগুন দেয়। গামছা পুড়ে ছাই মেঝেতে পড়ে থাকে। এ সময় অফিসের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বিজ্ঞাপন
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী মোস্তফা হাওলাদার বলেন, আমি রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। আগুনের বিষয়টি শুরুতে টের পাইনি। টের পেলে ৯৯৯ এ কল দিতাম। পরে বিষয়টি নজরে আসলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাসুদেব সরকার বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমাদের কোনো ছুটি নেই আমি গতকাল রাত ১১টার সময় অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় যাই। সকালে অফিসে এলে এমন পরিস্থিতি দেখি। তবে অফিস এবং অফিসের কোনো নথিপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হয়ত সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি মহল এ রকম ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাহী অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন বরিশালটাইমসকে বলেন, ভবনের পেছনের থাই গ্লাসের জানালা কৌশলে খুলে তারপর আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। নির্বাচন অফিস থেকে অভিযোগ দিলে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দোতালায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পাশের একটি ভবন থেকে লাঠির সঙ্গে গামছায় পেট্রোল লাগিয়ে ভেতরে আগুন দেয়। গামছা পুড়ে ছাই মেঝেতে পড়ে থাকে। এ সময় অফিসের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বিজ্ঞাপন
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী মোস্তফা হাওলাদার বলেন, আমি রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। আগুনের বিষয়টি শুরুতে টের পাইনি। টের পেলে ৯৯৯ এ কল দিতাম। পরে বিষয়টি নজরে আসলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাসুদেব সরকার বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমাদের কোনো ছুটি নেই আমি গতকাল রাত ১১টার সময় অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় যাই। সকালে অফিসে এলে এমন পরিস্থিতি দেখি। তবে অফিস এবং অফিসের কোনো নথিপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হয়ত সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি মহল এ রকম ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাহী অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন বরিশালটাইমসকে বলেন, ভবনের পেছনের থাই গ্লাসের জানালা কৌশলে খুলে তারপর আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। নির্বাচন অফিস থেকে অভিযোগ দিলে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১০
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৬