বিদেশ

তেহরানে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে খামেনির বৈঠক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ মে, ২০২৫ ০৬:৩২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তেহরানে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে খামেনির বৈঠক

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় খামেনি বলেন, বিশ্বের উসকানিদাতা শক্তিগুলো যখন যুদ্ধ ও সংঘর্ষ তৈরিতে ব্যস্ত, তখন মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ইসলামি দেশগুলোর ঐক্য।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান প্রশংসনীয়। যখন অনেক ইসলামি দেশই বিভিন্ন লোভ-লালসায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতি নরম অবস্থান নিচ্ছে, তখন পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে।

খামেনি পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ককে উষ্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিমআখ্যা দিয়ে ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ চার দেশের সফরের অংশ হিসেবে সোমবার ইরানে পৌঁছান। তুরস্ক সফর শেষে ইরান তার দ্বিতীয় গন্তব্য। তেহরানের সাদাবাদ প্রাসাদে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তাকে স্বাগত জানান এবং আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

নানামুখী চাপে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার: রয়টার্স

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

২৭ মে, ২০২৫ ০৯:৫০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নানামুখী চাপে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার: রয়টার্স

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত আগস্টে ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে নানামুখী চাপে পড়ে তার সরকার। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা একটি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ চলার মধ্যে আন্দোলন শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। অসন্তোষ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে এই বিক্ষোভ চলছে।

সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে দেশকে একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করার চেষ্টারত অধ্যাপক ড. ইউনূসের সরকার সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, রাজনৈতিক দল ও সামরিক বাহিনীর চাপের মুখে পড়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াই অসদাচরণের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করার সুযোগ দিয়ে রবিবার একটি অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সরকারি কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে ‘দমনমূলক’ আখ্যা দিয়ে এবং তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে বেতন বাড়ানোর দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষক সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজস্ব সংস্থাটি ভেঙে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি বিভাগ স্থাপনের আদেশ রবিবার প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও তীব্র হয় যখন গত সপ্তাহে শীর্ষস্থানীয় এক ছাত্রনেতা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে না পারলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন।

তবে অধ্যাপক ইউনূস সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না। শনিবার তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস প্রতিবন্ধকতাগুলো স্বীকার করেছেন, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সংস্কার শেষ করা- দুই পক্ষের এই দুই দাবির মধ্যে পড়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে।

বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে এক ভাষণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়া উচিত বললে চাপ আরও বাড়ে।

অধ্যাপক ইউনূস শনিবার তার উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত সভা করেন। ওই দিনই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে আছি।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর বিভিন্নভাবে আমাদের অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন এই মাসে স্থগিত করা হয়েছে। এতে কার্যত দলটি পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.