https://jamunabankbd.com/

পটুয়াখালী

ভারত ছাড়া শেখ হাসিনাকে কেউ আশ্রয় দিতে রাজি ছিল না: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারত ছাড়া শেখ হাসিনাকে কেউ আশ্রয় দিতে রাজি ছিল না: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর দুমকিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “ভারত ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে রাজি ছিল না। ভারতের তাবেদার আওয়ামী লীগ আমাদের দাবিয়ে রেখেছিল ১৬ বছর। ছাত্রদের সঙ্গে আমরা নেমে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছি। এখন আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি দেশ গড়ব।”

তিনি আরও বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি প্রস্তুত। সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে বিএনপি।”


আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেবেন। নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং তারেক রহমানই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।”

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আহম্মেদ বায়েজীদ (পান্না) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান।


সভায় সভাপতিত্ব করেন দুমকি উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মতিউর রহমান দিপু।

মতবিনিময় সভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:

বাউফলে কৃষক দল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে কৃষক দল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব বশির কাজির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে বগা বাজার সড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুদ শিকদার বলেন, “গত ২৩ নভেম্বর, রোববার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্যসচিব বশির কাজির ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান (আনিস ফকির) বশির কাজীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।”

অভিযুক্ত বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিস ফকির বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলে জেনেছি। এর বাইরে ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের রাজনীতি করি, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

রহস্য ও রুপকথার জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত : উন্নয়নে হতে পারে দক্ষিণ উপকূলের স্বপ্নপুরী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

রহস্য ও রুপকথার জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত : উন্নয়নে হতে পারে দক্ষিণ উপকূলের স্বপ্নপুরী

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত এক অনন‍্য সম্ভাবনার নাম। মৌডুবী ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকাজুরে বিস্তৃত এই সৈকত প্রকৃতির অপর সৌন্দর্য ঘেরা হলেও এখনও রয়ে গেছে প্রায় অনাবিষ্কৃত।

জাহাজমারা নামটির পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রায় একশত বছর আগে এ এলাকার উপকূলে একটি বিদেশী জাহাজ ডুবে যায়। সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আজকের জাহাজমারা নামকরণ। ইতিহাস ও প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন গড়া সৈকতটি স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেও পর্যটনের দিক দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি এখনো।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, জনমানবহীন শান্ত সৈকতটি ইতোমধ্যেই স্থানীয় পর্যটকদের মাঝে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

এই সৈকতের বালুচরে দাড়িয়ে সূর্যস্ত দেখার মুহূর্তটা যেন হৃদয় ছুয়ে যায়। লাল কাকড়ায় আচ্ছাদিত পুরো সৈকতটি অনেকটা কল্পনার লাল কাকড়ার রাজ‍্য মনে হয়, যেখানে প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে তার অনুপম সৌন্দর্য। সাগরের ঢেউ, বেলাভূমির এক স্বর্গীয় অনুভূতির স্থান। লালচে রঙ যখন ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যায়, তখন প্রকৃতি উপহার দেয় এক অভাবনীয় দৃশ্য।

মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত অপার সৌন্দর্যে ঘেরা হলেও নেই পর্যাপ্ত যাতায়াত ব্যবস্থা, মানসম্মত আবাসন সুবিধা বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দোকান। এছাড়া নেই পর্যটকদের তথ্য সহায়তা কেন্দ্র বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ফলে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে আসলেও হতাশ হয়ে ফিরে যান। আমি একজন শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যেন পর্যটকদের জন‍্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে জাহাজমারাকে একটি নিরাপদ ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের জন‍্য যদি হোটেল, রেস্তোরা, তথ‍্যকেন্দ্র ও নিরাপদ যাতায়াত ব‍্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, তাহলে দেশের অন‍্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। শুধু সৌন্দর্য নয় - এটি হতে পারে অর্থনীতির নতুন খোরাক। রাঙ্গাবালীর মতো প্রত‍্যন্ত এলাকার এমন একটি সম্ভাবনাময় জায়গাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে জাহাজমারাকে উন্নয়ন করলে এটি কক্সবাজার বা কুয়াকাটার বিকল্প পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

হোটেল, রেস্ট হাউজ, ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তা চৌকি এবং শিশু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে, যা একদিকে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করবে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সরকারি পর্যটন সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগই পারে জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ উপকূলের একটি দৃষ্টিনন্দন ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাময় স্থানে সৃষ্টি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থান, বাড়তে পারে স্থানীয় আয় এবং দেশের পর্যটন শিল্পে যুক্ত হতে পারে এক নতুন মাত্রা।

কলাপাড়ায় সেতুর ১২ স্লাব বিধ্বস্ত, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কলাপাড়ায় সেতুর ১২ স্লাব বিধ্বস্ত, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক সেতুর ফুটপাতের অন্তত ১২টি স্লাব ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কে চলাচল করতে হয়। ফলে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পথচারীরা বিশেষ করে রাতের বেলা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছেন। তারা বিধ্বস্ত স্লাব দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের দ্রুত মেরামতের আশ্বাস বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। বরং আরও নতুন নতুন স্লাব ভেঙে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির ফুটপাতের বেশ কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে আছে। দুই পাশেই একই অবস্থা। ইতিপূর্বে কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হলে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু ফের নতুন করে অসংখ্য স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। ফলে পথচারীরা ফুটপাত বাদ দিয়ে মূল সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ ছাড়া ওই সেতুতে সন্ধ্যার পরে বহু ভ্রমণকারীর আনাগোনা থাকে। প্রতিদিন এই সেতু হয়ে কুয়াকাটাগামী শত শত দূরপাল্লার দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক–ট্রলি চলাচল করছে। এতে মানুষ চলাচলের সময় চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।

পথচারী ইসমাইল হোসেন জানান, “আমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করি। ফুটপাতের স্লাব ভাঙা থাকায় চলাচলে খুব সমস্যা হয়।”

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’-এর সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “জনস্বার্থে দ্রুত এই স্লাবগুলো মেরামত করা প্রয়োজন।” স্থানীয়রাও একই দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বহুবার মোবাইল করা হয়েছে, খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি।

তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ জানান, তিনি বিষয়টি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.