https://jamunabankbd.com/

বরিশাল

বরিশালে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যসামগ্রীর কোটি কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

  বরিশালে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যসামগ্রীর কোটি কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে

প্রযুক্তির কল্যাণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আর বরিশালের নারী উদ্যোক্তারা প্রযুক্তির কল্যাণে সফলতার পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করে নিজেরাও এগিয়ে যাচ্ছেন। নারী উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর বরিশালে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে বিসিক।

ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলে নারী উদ্যোক্তারা আরও এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন, উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।

বর্তমান এই যান্ত্রিক কর্মব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রই আজ প্রযুক্তিনির্ভর। প্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ছে। নিত্য নতুন পন্থায় এই প্রযুক্তির কল্যাণেই তারা তৈরি করছেন তাদের নিজস্ব কর্মসংসস্থান। পোশাক, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, কসমেটিক্স, জুয়েলারী, অর্নামেন্টসসহ নানান পণ্যের ব্যবসা জনপ্রিয়তা পেয়েছে এখানে। আজকাল মানুষ ভিড় এড়িয়ে অনলাইনসহ বিভিন্ন পন্থায় কেনাকাটা করছেন। প্রযুক্তির ছোয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে সহজ। দিন দিনে নারীরাও আজ প্রযুক্তিবান্ধব হয়ে উঠেছেন।

বর্তমানে অনেক নারীই ডিজিটাল প্লটফর্মে যুক্ত হয়ে ব্যবসা পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এতে করে ঘরে বসেই ঘর সংসারের কাজের পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছেন নারীরা। অল্প পুঁজিতে নারীরা অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের সফলভাবে প্রকাশ করছেন সমাজে। বর্তমানে বরিশাল জেলায় ৩ শতাধিক নারী উদ্যোক্তা বিভিন্ন ব্যাবসায় এমনি ভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছেন। দিন দিনই উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে।

তেমনি একজন লিসা ইউসুফ। পরিবারের কাজের পাশাপাশি অনলাইন পেজ খুলে ঘরে বসেই ছোট পরিসরে শুরু করেছিলেন বার্গার, সিঙ্গারা, রোল, মিষ্টিসহ নানা ধরনের খাবারের বেচাকেনা। ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তার খাবার পৌঁছে যায় ক্রেতাদের কাছে। ৩ বছর ধরে একটু একটু করে আজ এই অনলাইনের মাধ্যমে খাবার বিক্রি করে তার মাসে আয় প্রায় ১ লাখ টাকা। গত দুই বছরে এ কার্যক্রমে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন বেশ।

শুধু মাত্র লিসা ইউসুফ নয় এরকম অনেকেই আছেন, যারা ঘরে বসেই খাবার তৈরি করে ডেলিভারি করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসেও। নিজের বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিত বাড়াতে অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন উদ্যোক্তা মেলায়ও।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা লিসা ইউসুফ বলেন, সংসার ছেলে মেয়ে সামলে চাকুরী করা পসিবল ছিলনা। সেই থেকে নিজের সার্কেলের ভেতরে কাজ করা শুরু। ৩ বছর ধরে একটু একটু করে আজ এই অনলাইনের মাধ্যমে খাবার বিক্রি করে তার মাসে আয় প্রায় ১ লাখ টাকা।

এমনই আর একজন উদ্যোক্তা ইসরাত জাহান। নিপুন হাতে সাজিয়ে তুলছেন কেকের ওপরে বিভিন্ন ধরনের নকশা। ইসরাত জাহানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রথমে বাসায় বসে কেক তৈরি করে অনালাইনের মাধ্যমে বিক্রি করলেও এখন নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রতিমাসে কেক বিক্রি করেন দেড় থেকে দুই লাখ টাকার।

ইসরাত জাহান, লিসা ইউসুফসহ বরিশালে অনেকেই আছেন যারা অনালাইনে শুরু করলেও আজ নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান। নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তৈরি করেছে অনেকের কর্মসংস্থানও। নিজের সফলতার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারা তৈরি করছেন নতুন নতুন কর্মসংস্থান।

ঘরে বসেই ব্লকের কাজ করছেন রুবায়েত রাফা। প্রতি মাসে আয় করছেন ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এভাবে নিজের চেষ্টায় পোশাক, কসমেটিক্স, জুয়েলারী, অর্নামেন্টসসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন তিনি।

শুধুমাত্র বরিশালেই নয়, অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাঠাচ্ছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী হতে পেরে খুশি উদ্যোক্তারা। সল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা এবং নারীদের জন্য একটি মার্কেট প্লেস তৈরি হলে আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভুমিকা রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।

রুবায়েত রাফা বলেন, আমি আজ নিজেই সাবলম্বী। নিজের চেষ্টায় পোশাক, কসমেটিক্স, জুয়েলারী, অর্নামেন্টসসহ নানা জিনিসের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। বর্তমানে আমি ও আমার সাথে আরো অনেক নারী উপার্জন করে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমারা এখন আর পিছিয়ে নেই।

বরিশাল উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বিলকিস আহমেদ লিলি জানান, স্থানীয় ভাবে মূলত অনলাইনে মানুষের খাদ্য পণ্য ও পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই অনলাইনের প্রতি ঝুঁকছেন, এতে এ খাত আরো প্রসারতি হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তাহলে নারী উদ্যোক্তারা আরও এগিয়ে যাবেন।

জানতে চাইলে বরিশাল বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক জালিস মাহামুদ জানান, নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং পরিচালনা করছে বিসিক। এছাড়া নারীদের সুবিধার্থে সল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থাও করেছে। নারীদের এই পথচলায় যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করবে বিসিক এমন আশ্বাস দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। বর্তমানে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ফেইজবুক ভিত্তিক গ্রুপের মাধ্যমেও নিজের পরিচিতি বাড়াচ্ছেন উদ্যোক্তারা। যেসব নারীরা কিছু একটা করতে চায় অনলাইন পাল্টফর্মে, তাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:

খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুজন ও হাঙ্গার প্রজেক্টের শোকবার্তা

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুজন ও হাঙ্গার প্রজেক্টের শোকবার্তা

বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'

উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।

রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।

গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #

আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি আর নয় - চরমোনাই পীর

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি আর নয় - চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আমরা বুঝে ফেলেছি, পুরোনো বউকে নতুন শাড়ি দিয়ে ঘোমটা দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। এ ধোঁকায় বাংলাদেশের মানুষ আর পড়বে না। আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি, আর নয়। দেশকে মুক্ত করতে হবে।’

চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করীম।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মাহফিলে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলমারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।

আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে জানিয়ে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৩ বছর দেশ যারা পরিচালনা করেছে, যেই নীতি-আদর্শের মাধ্যমে চলছে। এ নীতি-আদর্শে চোরের দিক থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। এখন নতুনভাবে দেশ পরিচালনার জন্য তারা পাগলের মতো হয়ে গেছে। কখন ক্ষমতায় যাবে, আবার সেই চরিত্র বাস্তবায়ন করবে।’

এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমি কিন্তু কোথাও প্রার্থী হইনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হবও না। সারা দেশে আমার সফর করতে হবে।’ তিনি বলেন, দিন-রাত নিজের পকটের টাকা খরচ করে পাগলের মতো ঘুরছি। এর পেছনে একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো—আমরা এ দেশকে ভালোবাসি। আমরা ইসলামকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।’

আট দফা দাবি আদায়ে বরিশালে নার্স বিক্ষোভ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আট দফা দাবি আদায়ে বরিশালে নার্স বিক্ষোভ

ভিন্ন অধিদপ্তরের অধীনে স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবিতে বরিশালে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সরা।

বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্স ও মিডওয়াইফরা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি খাত দেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই খাত চরম অবহেলায় রয়েছে। স্বতন্ত্র নার্সিং অধিদপ্তর বাতিলের সিদ্ধান্ত পেশাগত মর্যাদা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আলী আজগর, সহ-সভাপতি মো. শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিন, আনোয়ারা খানম, হাফিজা আক্তার প্রমুখ।

বরিশাল নার্সিং কলেজ ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও মিডওয়াইফরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.