
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরেবাংলা হলে গভীর রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সমন্বয়কসহ দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলরুম থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতন এবং এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী সোমবার (১৫ নভেম্বর) পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং হল প্রভোস্ট বরাবর তিনটি আলাদা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আইন বিভাগের এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বাদশাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হল থেকে ডেকে ও জোরপূর্বক ধরে নিচে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতনসহ হত্যার হুমকি দেয়।
বৈছাআ সমন্বয়ক এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান তার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাকে হলের মূল ফটকের সামনে নিয়ে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ্, আকিবুর রহমান, সোহানুর রহমান সিফাত, রবিন মিয়াসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী ঘিরে ধরেন। তার দেহ তল্লাশি করা হয় এবং হলে বৈধভাবে থাকার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে হলে থাকার অভিযোগ আনা হয়। পূর্বের একটি ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে রবিন মিয়া তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং ভবিষ্যতে “বাঁচতে দেওয়া হবে না” বলে ভয় দেখান। এ সময় তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং সংঘবদ্ধভাবে মানসিকভাবে হেয় করা হয়।
ফয়সাল বাদশার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, একই রাতে মুক্তমঞ্চে উচ্চশব্দে কনসার্টের প্রতিবাদ করা হলে ফেরার পর রাত ১ টার দিকে তাকে রুমের সামনে থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে লুঙ্গি ছাড়া অন্য কোনো পোশাক পরার সুযোগ দেওয়া হয়নি। খালি গায়েই শীতের মধ্যে টেনে-হিঁচড়ে হলের নিচে নেওয়া হয়। তাকে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত হলের নিচের বেঞ্চ ও গেস্টরুমে বসিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। “অবৈধ শিক্ষার্থী” এবং “শিবির সংশ্লিষ্টতার” অভিযোগ তুলে তাকে জোরপূর্বক ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, তাকে খালি গায়ের ভিডিও ধারণ করে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
দুই শিক্ষার্থীই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, চারুকলা সংসদ আয়োজিত ‘মাঘমল্লার’ অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ক্ষোভের দায় তাদের ওপর চাপানো হয়। তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে ভবিষ্যতে ছাত্রদলের নির্দেশ না মানলে “চরম পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এই ঘটনার পর তারা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং হলে স্বাভাবিকভাবে বসবাস ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাকর্মী সোহানুর রহমান সিফাত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তো কোনো প্রাসঙ্গিকতা নাই। হল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু তারাও তো আমাদের এখনো কিছু জানাননি।”
অপর অভিযুক্ত ববি ছাত্রদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “এবিষয়ে আমি প্রথম শুনলাম। এমন কোনো ঘটনার কথা জানি না। আমি কিংবা মিজান কেউ সেখানে ছিলাম না। তবে ছাত্রদলের অন্য কেউ ছিল কিনা সেটা জানি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “এ বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।”
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরেবাংলা হলে গভীর রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সমন্বয়কসহ দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলরুম থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতন এবং এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী সোমবার (১৫ নভেম্বর) পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং হল প্রভোস্ট বরাবর তিনটি আলাদা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আইন বিভাগের এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বাদশাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হল থেকে ডেকে ও জোরপূর্বক ধরে নিচে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতনসহ হত্যার হুমকি দেয়।
বৈছাআ সমন্বয়ক এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান তার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাকে হলের মূল ফটকের সামনে নিয়ে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ্, আকিবুর রহমান, সোহানুর রহমান সিফাত, রবিন মিয়াসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী ঘিরে ধরেন। তার দেহ তল্লাশি করা হয় এবং হলে বৈধভাবে থাকার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে হলে থাকার অভিযোগ আনা হয়। পূর্বের একটি ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে রবিন মিয়া তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং ভবিষ্যতে “বাঁচতে দেওয়া হবে না” বলে ভয় দেখান। এ সময় তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং সংঘবদ্ধভাবে মানসিকভাবে হেয় করা হয়।
ফয়সাল বাদশার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, একই রাতে মুক্তমঞ্চে উচ্চশব্দে কনসার্টের প্রতিবাদ করা হলে ফেরার পর রাত ১ টার দিকে তাকে রুমের সামনে থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে লুঙ্গি ছাড়া অন্য কোনো পোশাক পরার সুযোগ দেওয়া হয়নি। খালি গায়েই শীতের মধ্যে টেনে-হিঁচড়ে হলের নিচে নেওয়া হয়। তাকে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত হলের নিচের বেঞ্চ ও গেস্টরুমে বসিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। “অবৈধ শিক্ষার্থী” এবং “শিবির সংশ্লিষ্টতার” অভিযোগ তুলে তাকে জোরপূর্বক ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, তাকে খালি গায়ের ভিডিও ধারণ করে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
দুই শিক্ষার্থীই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, চারুকলা সংসদ আয়োজিত ‘মাঘমল্লার’ অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ক্ষোভের দায় তাদের ওপর চাপানো হয়। তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে ভবিষ্যতে ছাত্রদলের নির্দেশ না মানলে “চরম পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এই ঘটনার পর তারা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং হলে স্বাভাবিকভাবে বসবাস ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাকর্মী সোহানুর রহমান সিফাত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তো কোনো প্রাসঙ্গিকতা নাই। হল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু তারাও তো আমাদের এখনো কিছু জানাননি।”
অপর অভিযুক্ত ববি ছাত্রদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “এবিষয়ে আমি প্রথম শুনলাম। এমন কোনো ঘটনার কথা জানি না। আমি কিংবা মিজান কেউ সেখানে ছিলাম না। তবে ছাত্রদলের অন্য কেউ ছিল কিনা সেটা জানি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “এ বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।”

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৭
বরিশালে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। এক বেডে তিন থেকে চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেশিরভাগ শিশুই নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত তিনগুণ।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আরজু বেগম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছেলেকে ভর্তি করেছেন শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কোনোমতে একটি বেড পেলেও সেখানে রয়েছে আরও দুই রোগী। একই অবস্থা ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডের। এতে ভোগান্তিতে রোগীরা।
রোগীর স্বজনরা জানান, তিনজন রোগী এক বেডে। রোগীদের নিয়ে ভোগান্তিতে আছেন তারা। ঠান্ডাজনিত রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. নুরুল আলম বলেন, ‘বাসায় বাচ্চার মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। এদের গরম রাখতে হবে। ধুলাবালি অ্যাভোয়েড করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। গরম পানি খাওয়ানো যায়, গরম পানি দিয়ে গোছল করানো যায়। এভাবে বাসাতে থেকেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।’
বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম অবস্থা হলেও চিকিৎসা সেবায় কোনো কমতি নেই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উপ-পরিচালক এ কে এম নজমুল আহসান বলেন, ‘এ ধরনের রোগী হাসপাতালে এত বেশি আসে যে আমরা রোগীদের সেবা দেবো, এতে আমাদের সংকটও আছে। তবে এর মধ্যেই আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিচ্ছি। যেগুলো একটু কিট্রিক্যাল তাদের স্পেশাল কেয়ার নিচ্ছি।’
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪১টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে শতাধিক শিশু। বেশির ভাগই শিশু এবং শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু।
বরিশালে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। এক বেডে তিন থেকে চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেশিরভাগ শিশুই নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত তিনগুণ।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আরজু বেগম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছেলেকে ভর্তি করেছেন শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কোনোমতে একটি বেড পেলেও সেখানে রয়েছে আরও দুই রোগী। একই অবস্থা ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডের। এতে ভোগান্তিতে রোগীরা।
রোগীর স্বজনরা জানান, তিনজন রোগী এক বেডে। রোগীদের নিয়ে ভোগান্তিতে আছেন তারা। ঠান্ডাজনিত রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. নুরুল আলম বলেন, ‘বাসায় বাচ্চার মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। এদের গরম রাখতে হবে। ধুলাবালি অ্যাভোয়েড করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। গরম পানি খাওয়ানো যায়, গরম পানি দিয়ে গোছল করানো যায়। এভাবে বাসাতে থেকেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।’
বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম অবস্থা হলেও চিকিৎসা সেবায় কোনো কমতি নেই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উপ-পরিচালক এ কে এম নজমুল আহসান বলেন, ‘এ ধরনের রোগী হাসপাতালে এত বেশি আসে যে আমরা রোগীদের সেবা দেবো, এতে আমাদের সংকটও আছে। তবে এর মধ্যেই আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিচ্ছি। যেগুলো একটু কিট্রিক্যাল তাদের স্পেশাল কেয়ার নিচ্ছি।’
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪১টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে শতাধিক শিশু। বেশির ভাগই শিশু এবং শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বরিশাল আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এজন্য গতকাল থেকেই ৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম পেট্রোল ডিউটি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি বরিশাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো: রোকনুজ্জামান বলেন-শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে রোববার সকাল থেকেই অস্ত্রসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তারা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। তিনি বলেন-নিরাপত্তা ব্যবস্থার এ উদ্যোগে আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। তবে আরো নিরাপত্তার জন্য আমরা কমিশনে আনসার সদস্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি কমিশন আনসার সদস্যেরও ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচন কে সামনে রেখে নির্বাচন অফিসগুলোতে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে এজন্য নিরাপত্তার দিক থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সর্তক থাকাটা শ্রেয়। আপাতত অফিসগুলোতে নিরাপত্তার তেমন হুমকি নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন-নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি পাওয়ার পর শনিবার রাত থেকে বরিশাল জেলা নির্বাচন অফিসে ৫ জন পুলিশ সদস্য অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত এই ফোর্সই যথেষ্ট। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে সদস্য আরো বৃদ্ধি করা হবে। আমরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছি।
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বরিশাল আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এজন্য গতকাল থেকেই ৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম পেট্রোল ডিউটি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি বরিশাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো: রোকনুজ্জামান বলেন-শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে রোববার সকাল থেকেই অস্ত্রসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তারা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। তিনি বলেন-নিরাপত্তা ব্যবস্থার এ উদ্যোগে আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। তবে আরো নিরাপত্তার জন্য আমরা কমিশনে আনসার সদস্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি কমিশন আনসার সদস্যেরও ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচন কে সামনে রেখে নির্বাচন অফিসগুলোতে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে এজন্য নিরাপত্তার দিক থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সর্তক থাকাটা শ্রেয়। আপাতত অফিসগুলোতে নিরাপত্তার তেমন হুমকি নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন-নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি পাওয়ার পর শনিবার রাত থেকে বরিশাল জেলা নির্বাচন অফিসে ৫ জন পুলিশ সদস্য অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত এই ফোর্সই যথেষ্ট। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে সদস্য আরো বৃদ্ধি করা হবে। আমরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছি।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৪৪
বরিশাল নগরীতে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকা-ের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে দুটি আবাসিক হোটেল থেকে নারী ও পুরুষসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পোর্টরোডের হোটেল পপুলার ও হোটেল চিল-এ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কোতয়ালীর ওসি মো. আল মামুন-উল ইসলাম বলেন, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়। এখন থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কোতয়ালী পুলিশ ব্যাপক সাড়াশী অভিযান চালাবে। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ দমন করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। তিনি জানান, দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আট পুরুষ ও ১২ নারীকে বিভিন্ন কক্ষ থেকে আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে হোটেল দুটির বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করে সন্দেহজনক অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এসব হোটেলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অবস্থান করছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আটকদের পরিচয় ও কার্যকলাপ যাচাই করে তদন্ত কার্যক্রম শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, হোটেল পপুলার ও হোটেল চিলকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ ছিল। দিনের বিভিন্ন সময় অপরিচিত লোকজনের আনাগোনায় তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। পুলিশের এই অভিযানে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং নিয়মিত নজরদারির দাবি জানান।
আটক ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটকরা হলেন: মিঠুন দেবনাথ (২৬), মো. সুমন দাস (৩৫), মো. জাফর হাওলাদার (৩৫), মো. আরিফ হাওলাদার (৩৫), শাওন সিকদার (২৫), শাকিব ফকির (২০), এনায়েত আলম (৫০), জাফর হাওলাদারসহ (৫০) ১৯ জন।
বরিশাল নগরীতে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকা-ের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে দুটি আবাসিক হোটেল থেকে নারী ও পুরুষসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পোর্টরোডের হোটেল পপুলার ও হোটেল চিল-এ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কোতয়ালীর ওসি মো. আল মামুন-উল ইসলাম বলেন, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়। এখন থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কোতয়ালী পুলিশ ব্যাপক সাড়াশী অভিযান চালাবে। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ দমন করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। তিনি জানান, দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আট পুরুষ ও ১২ নারীকে বিভিন্ন কক্ষ থেকে আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে হোটেল দুটির বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করে সন্দেহজনক অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এসব হোটেলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অবস্থান করছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আটকদের পরিচয় ও কার্যকলাপ যাচাই করে তদন্ত কার্যক্রম শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, হোটেল পপুলার ও হোটেল চিলকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ ছিল। দিনের বিভিন্ন সময় অপরিচিত লোকজনের আনাগোনায় তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। পুলিশের এই অভিযানে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং নিয়মিত নজরদারির দাবি জানান।
আটক ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটকরা হলেন: মিঠুন দেবনাথ (২৬), মো. সুমন দাস (৩৫), মো. জাফর হাওলাদার (৩৫), মো. আরিফ হাওলাদার (৩৫), শাওন সিকদার (২৫), শাকিব ফকির (২০), এনায়েত আলম (৫০), জাফর হাওলাদারসহ (৫০) ১৯ জন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১১
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৫২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫