
১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫০
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পদ্মা ব্যাংক শাখায় দীর্ঘদিন ধরে টাকা উত্তোলন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক। প্রতিদিন ব্যাংকে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। জরুরি প্রয়োজনেও তারা নিজেদের সঞ্চয় তুলতে পারছেন না—ফলে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।
উপজেলা সদরের সরকারি জনতা কলেজসংলগ্ন পদ্মা ব্যাংক শাখাটি দীর্ঘদিন ধরে চার হাজারের মতো গ্রাহকের লেনদেন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম ব্যাহত হতে শুরু করে। নতুন আমানত গ্রহণ বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি পুরোনো ডিপোজিটও ফেরত দিচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে গ্রাহক ভোগান্তি।
নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সার্জেন্ট (অব.) এসএম ফজলুল হক জানান, তার ও পরিবারের চার সদস্যের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৩ লাখ টাকা রয়েছে। কিন্তু চেক দিলেও দুই হাজার টাকার বেশি পাওয়া যায় না, সেটিও পেতে সপ্তাহজুড়ে ঘুরতে হয়।
রাইসমিল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা হাওলাদার বলেন, জমি বিক্রির ৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার পর থেকে তিনি চরম অনিশ্চয়তায় আছেন। মাসে মাত্র দুই হাজার টাকা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ঘুরিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকার গ্রাহক মো. জসিম উদ্দিন জানান, চিকিৎসার জন্য জরুরি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ৫ লাখ টাকা জমা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিচ্ছে—টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।
লেবুখালির গ্রাহক মো. রিপন বলেন, “দেড় হাজার টাকা খরচ করে দশ মাস ধরে ঘুরছি। অথচ মাত্র দুই হাজার টাকা তুলতে পেরেছি।”
শ্রীরামপুরের মফিজ গাজী জানান, প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা টাকাও তুলতে পারছেন না। একই ধরনের অভিযোগ করেন পিরতলা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার, মো. হোচেন আলী ও মোশারফ হোসেনসহ অনেকেই। তাদের দাবি—ব্যাংক কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘টাকা নেই, এলে দেওয়া হবে।’
এই পরিস্থিতি নিয়ে জানতে দুমকি শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর আক্তার ও ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন বিভাগে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
স্থানীয়দের আশঙ্কা—দ্রুত লেনদেন স্বাভাবিক না হলে তাদের অনেকেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পদ্মা ব্যাংক শাখায় দীর্ঘদিন ধরে টাকা উত্তোলন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক। প্রতিদিন ব্যাংকে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। জরুরি প্রয়োজনেও তারা নিজেদের সঞ্চয় তুলতে পারছেন না—ফলে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।
উপজেলা সদরের সরকারি জনতা কলেজসংলগ্ন পদ্মা ব্যাংক শাখাটি দীর্ঘদিন ধরে চার হাজারের মতো গ্রাহকের লেনদেন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম ব্যাহত হতে শুরু করে। নতুন আমানত গ্রহণ বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি পুরোনো ডিপোজিটও ফেরত দিচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে গ্রাহক ভোগান্তি।
নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সার্জেন্ট (অব.) এসএম ফজলুল হক জানান, তার ও পরিবারের চার সদস্যের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৩ লাখ টাকা রয়েছে। কিন্তু চেক দিলেও দুই হাজার টাকার বেশি পাওয়া যায় না, সেটিও পেতে সপ্তাহজুড়ে ঘুরতে হয়।
রাইসমিল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা হাওলাদার বলেন, জমি বিক্রির ৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার পর থেকে তিনি চরম অনিশ্চয়তায় আছেন। মাসে মাত্র দুই হাজার টাকা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ঘুরিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকার গ্রাহক মো. জসিম উদ্দিন জানান, চিকিৎসার জন্য জরুরি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ৫ লাখ টাকা জমা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিচ্ছে—টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।
লেবুখালির গ্রাহক মো. রিপন বলেন, “দেড় হাজার টাকা খরচ করে দশ মাস ধরে ঘুরছি। অথচ মাত্র দুই হাজার টাকা তুলতে পেরেছি।”
শ্রীরামপুরের মফিজ গাজী জানান, প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা টাকাও তুলতে পারছেন না। একই ধরনের অভিযোগ করেন পিরতলা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার, মো. হোচেন আলী ও মোশারফ হোসেনসহ অনেকেই। তাদের দাবি—ব্যাংক কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘টাকা নেই, এলে দেওয়া হবে।’
এই পরিস্থিতি নিয়ে জানতে দুমকি শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর আক্তার ও ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন বিভাগে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
স্থানীয়দের আশঙ্কা—দ্রুত লেনদেন স্বাভাবিক না হলে তাদের অনেকেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২১
১৯৭১ সালের ৮ মে, শনিবার। সারা দেশে তখন পাক হানাদার বাহিনীর তাণ্ডব চলছিল। তবুও অন্য দিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পূজোয় বসেন সদ্য বিবাহিত নিখিল দাসের স্ত্রী মিনতি দাস। পূজা শেষ করে রান্নার কাজে মনোযোগ দেন। হঠাৎ দূর থেকে হট্টগোলের শব্দ শুনে ঘর থেকে বাইরে আসেন। তখনই বাড়ির অদূরে খালের পাড়ে দেখতে পান সেনাবাহিনীর বড় একটি গানবোট ঘাটে ভিড়েছে। সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে একে নেমে আসে সৈন্যরা। এক মুহূর্ত দেরি না করে বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে বাড়ির পেছনে থাকা ঘন কলাগাছের ঝোপে পালিয়ে লুকিয়ে পড়েন। খানিক বাদেই শুরু হয় গুলির শব্দ।
প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ গুলির শব্দের পর দুপুরের আজানের আওয়াজ শোনা যায়। তখন ঝোপ থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন, বাড়ির পাশে দুলাল দাস (২৫), পিতা শচীন্দ্র দাসের নিথর দেহ পড়ে আছে। কথাগুলো বলতে বলতে মিনতি দাসের কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে আসে, আর নিজের অজান্তেই চোখের কোণে জল জমে ওঠে। মিনতি দাস আরও বলেন, ভগবানের কৃপায় ওই দিন আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। সকালে তার অসুস্থ মামাকে দেখতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলে গিয়েছিল।
জানা যায়, সময়টা ছিল আনুমানিক সকাল ১১টা, ১৯৭১ সালের ৮ মে। খরস্রোতা কমলাকান্ত খালের ঘাটে পাক হানাদার বাহিনীর একটি গানবোট এসে নোঙর করে। এই খালের দুই পাশেই ছিল হিন্দু অধ্যুষিত দুটি গ্রাম—সুতাবাড়িয়া ও কুন্ডপাড়া (মাঝগ্রাম)। প্রায় ২০-২৫ জন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য স্থানীয় কয়েকজন রাজাকার ও আলবদরের সহযোগিতায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর মেশিনগানের গুলি ছুড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দিগ্বিদিক ছুটে যাওয়া মানুষগুলো। এরপর একে একে ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিছু কিছু বাড়িতে রাজাকাররা লুটপাট চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেখা যায় অর্ধশত নিরীহ মানুষের গুলিবিদ্ধ লাশ। প্রতিবেশী গ্রামের লোকজন সন্ধ্যার আগে এসে লাশগুলো যার যার বাড়িতে নিয়ে মাটি চাপা দেয়। বর্বরোচিত এ গণহত্যায় অনেকের নাম-পরিচয় আজও পাওয়া যায়নি।
সুতাবাড়িয়া গ্রামের রবিন মালাকার জানান, ওই দিন গোলাগুলির শব্দ শুনে এলোপাতাড়ি ছুটে অনেক দূরে চলে যান। ভাগ্য ভালো যে গুলি লাগেনি। বিকেলে ফিরে এসে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের লাশ দেখতে পান। পরে তারা সৎকার না করে মাটি চাপা দিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, এই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গণকবর রয়েছে। এর মধ্যে নায়েবের বাড়িতে ৬টি, শশীদাসের বাড়িতে ৫টি, ঠাকুরবাড়িতে ৩টি, সন্নামত বাড়িতে ২টি, ভুমালি বাড়িতে ২টিসহ মোট ১৮টি গণকবর রয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন জায়গায় আরও অনেক কবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। গণহত্যায় ২৭ জনের নাম-পরিচয় জানা গেলেও বাকিদের শনাক্ত করা যায়নি। স্বাধীনতার ৫৪-৫৫ বছর পার হলেও সেখানে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। স্মৃতি হিসেবে যতটুকু সমাধি সংরক্ষণ হয়েছে, তা পরিবারের অর্থায়নেই হয়েছে।
শহীদ হওয়া পরিবারের সদস্য বাবু রঞ্জন সমাদ্দার জানান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য অনেক বছর আগে জমির কাগজপত্র জমা দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা নির্মাণ করা হয়নি। শুধু ২৫ মার্চ এলেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ফুলের তোড়া দেওয়া হয়।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, প্রতি বছরই আমরা ওই গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি। অচিরেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুতাবাড়িয়া বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৮ মে, শনিবার। সারা দেশে তখন পাক হানাদার বাহিনীর তাণ্ডব চলছিল। তবুও অন্য দিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পূজোয় বসেন সদ্য বিবাহিত নিখিল দাসের স্ত্রী মিনতি দাস। পূজা শেষ করে রান্নার কাজে মনোযোগ দেন। হঠাৎ দূর থেকে হট্টগোলের শব্দ শুনে ঘর থেকে বাইরে আসেন। তখনই বাড়ির অদূরে খালের পাড়ে দেখতে পান সেনাবাহিনীর বড় একটি গানবোট ঘাটে ভিড়েছে। সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে একে নেমে আসে সৈন্যরা। এক মুহূর্ত দেরি না করে বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে বাড়ির পেছনে থাকা ঘন কলাগাছের ঝোপে পালিয়ে লুকিয়ে পড়েন। খানিক বাদেই শুরু হয় গুলির শব্দ।
প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ গুলির শব্দের পর দুপুরের আজানের আওয়াজ শোনা যায়। তখন ঝোপ থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন, বাড়ির পাশে দুলাল দাস (২৫), পিতা শচীন্দ্র দাসের নিথর দেহ পড়ে আছে। কথাগুলো বলতে বলতে মিনতি দাসের কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে আসে, আর নিজের অজান্তেই চোখের কোণে জল জমে ওঠে। মিনতি দাস আরও বলেন, ভগবানের কৃপায় ওই দিন আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। সকালে তার অসুস্থ মামাকে দেখতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলে গিয়েছিল।
জানা যায়, সময়টা ছিল আনুমানিক সকাল ১১টা, ১৯৭১ সালের ৮ মে। খরস্রোতা কমলাকান্ত খালের ঘাটে পাক হানাদার বাহিনীর একটি গানবোট এসে নোঙর করে। এই খালের দুই পাশেই ছিল হিন্দু অধ্যুষিত দুটি গ্রাম—সুতাবাড়িয়া ও কুন্ডপাড়া (মাঝগ্রাম)। প্রায় ২০-২৫ জন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য স্থানীয় কয়েকজন রাজাকার ও আলবদরের সহযোগিতায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর মেশিনগানের গুলি ছুড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দিগ্বিদিক ছুটে যাওয়া মানুষগুলো। এরপর একে একে ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিছু কিছু বাড়িতে রাজাকাররা লুটপাট চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেখা যায় অর্ধশত নিরীহ মানুষের গুলিবিদ্ধ লাশ। প্রতিবেশী গ্রামের লোকজন সন্ধ্যার আগে এসে লাশগুলো যার যার বাড়িতে নিয়ে মাটি চাপা দেয়। বর্বরোচিত এ গণহত্যায় অনেকের নাম-পরিচয় আজও পাওয়া যায়নি।
সুতাবাড়িয়া গ্রামের রবিন মালাকার জানান, ওই দিন গোলাগুলির শব্দ শুনে এলোপাতাড়ি ছুটে অনেক দূরে চলে যান। ভাগ্য ভালো যে গুলি লাগেনি। বিকেলে ফিরে এসে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের লাশ দেখতে পান। পরে তারা সৎকার না করে মাটি চাপা দিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, এই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গণকবর রয়েছে। এর মধ্যে নায়েবের বাড়িতে ৬টি, শশীদাসের বাড়িতে ৫টি, ঠাকুরবাড়িতে ৩টি, সন্নামত বাড়িতে ২টি, ভুমালি বাড়িতে ২টিসহ মোট ১৮টি গণকবর রয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন জায়গায় আরও অনেক কবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। গণহত্যায় ২৭ জনের নাম-পরিচয় জানা গেলেও বাকিদের শনাক্ত করা যায়নি। স্বাধীনতার ৫৪-৫৫ বছর পার হলেও সেখানে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। স্মৃতি হিসেবে যতটুকু সমাধি সংরক্ষণ হয়েছে, তা পরিবারের অর্থায়নেই হয়েছে।
শহীদ হওয়া পরিবারের সদস্য বাবু রঞ্জন সমাদ্দার জানান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য অনেক বছর আগে জমির কাগজপত্র জমা দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা নির্মাণ করা হয়নি। শুধু ২৫ মার্চ এলেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ফুলের তোড়া দেওয়া হয়।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, প্রতি বছরই আমরা ওই গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি। অচিরেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুতাবাড়িয়া বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১০
কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ‘আলীশান’ নামের আবাসিক হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম ফাহিমা আক্তার (২৪)। হোটেলের রেজিস্টার সূত্রে জানা গেছে, তিনি কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর ফাহিমা আক্তার ও আরিফ হোসেন নামের এক যুবক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটায় আসেন। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন।
ঘটনার দিন বিকাল থেকে কক্ষটির দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধারের সময় কক্ষটির ভেতর থেকে দরজার ছিটকানি লাগানো ছিল।
ঘটনার পর থেকে স্বামী পরিচয়দানকারী আরিফ হোসেন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরিচয় ও অবস্থান শনাক্তে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ‘আলীশান’ নামের আবাসিক হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম ফাহিমা আক্তার (২৪)। হোটেলের রেজিস্টার সূত্রে জানা গেছে, তিনি কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর ফাহিমা আক্তার ও আরিফ হোসেন নামের এক যুবক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটায় আসেন। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন।
ঘটনার দিন বিকাল থেকে কক্ষটির দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধারের সময় কক্ষটির ভেতর থেকে দরজার ছিটকানি লাগানো ছিল।
ঘটনার পর থেকে স্বামী পরিচয়দানকারী আরিফ হোসেন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরিচয় ও অবস্থান শনাক্তে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৪
পটুয়াখালীর বাউফলে গরু ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বারেক ঢালীর ছেলে সায়েম ঢালী (১৮), নাতি সোহাগ গাজী (১৪), স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) ও বারেক ঢালী (৬০) নিজে। অপর পক্ষের আহত ব্যক্তি হলেন মো. সোহাগ (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার জাকির নামের এক ব্যক্তি বারেক ঢালীর চাষকৃত জমিতে গরু বেঁধে রাখেন। এতে জমির ধান নষ্ট হতে দেখে বারেক ঢালী গরুটি খুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জাকিরের নেতৃত্বে কয়েকজন বারেক ঢালীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় বারেক ঢালীর ছেলে সায়েম ঢালী, নাতি সোহাগ গাজী ও স্ত্রী রেহেনা বেগম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ সময় সংঘর্ষে অপর পক্ষের মো. সোহাগও আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েম ঢালী ও সোহাগ ঢালীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি । এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পটুয়াখালীর বাউফলে গরু ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বারেক ঢালীর ছেলে সায়েম ঢালী (১৮), নাতি সোহাগ গাজী (১৪), স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) ও বারেক ঢালী (৬০) নিজে। অপর পক্ষের আহত ব্যক্তি হলেন মো. সোহাগ (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার জাকির নামের এক ব্যক্তি বারেক ঢালীর চাষকৃত জমিতে গরু বেঁধে রাখেন। এতে জমির ধান নষ্ট হতে দেখে বারেক ঢালী গরুটি খুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জাকিরের নেতৃত্বে কয়েকজন বারেক ঢালীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় বারেক ঢালীর ছেলে সায়েম ঢালী, নাতি সোহাগ গাজী ও স্ত্রী রেহেনা বেগম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ সময় সংঘর্ষে অপর পক্ষের মো. সোহাগও আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েম ঢালী ও সোহাগ ঢালীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি । এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৯
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৬
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৭
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২১