https://ashiyangroup.com/

বিশেষ সংবাদ

বিএনপি নেতা মিরাজ বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সাদিক আব্দুল্লাহ’র বদনাম! হ্রাস পাচ্ছে জনপ্রিয়তাও

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ মে, ২০২৫ ২২:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপি নেতা মিরাজ বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সাদিক আব্দুল্লাহ’র বদনাম! হ্রাস পাচ্ছে জনপ্রিয়তাও

উত্তর আমানতগঞ্জের বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম এবং নয়ন-সবুজসহ গুটিকয়েক সন্ত্রাসে তটস্থ এলাকাবাসী ঘুরে বসতে শুরু করেছে। বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের ভাইদের ওপর হামলাসহ কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা পরে এলাকাবাসী এখন আর আগের মতো মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং তার সেকেন্ড ইন কামান্ড নিরব হোসেন টুটুলের ওপর আস্থা বা ভরসা রাখতে পারছে না। ফলে অনেকেই সাদিক-টুটুল বলয় ছেড়ে বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন, হচ্ছেন। বিশেষ করে সাংবাদিক স্বজন তারেকের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা এবং টুটুলের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত মিরাজসহ সকলে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে যাওয়ার পরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, উত্তর আমানতগঞ্জে সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নেই এমন মানুষের সংখ্যা অধিকা, এই অংশ এতদিন নিবর হোসেন টুটুলের সাথে থাকলেও মিরাজ বাহিনীর নিপীড়িন এবং সন্ত্রাসের চিত্র দেখে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের দোষারপ করছেন। ফলশ্রুতিতে বলাই যায়, মিরাজসহ এই কয়েকজন ব্যক্তির কারণে সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এবং নিরব হোসেন টুটুলের বদনাম হয়েছে, হচ্ছে, সেক্ষেত্রে তাদের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানগর আওয়ামী লীগ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের আশ্রয়-প্রশ্রয় মিরাজ এবং সেলিমসহ ৯/১০ জনের একটি বাহিনী সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র থাকাকালীন উত্তর আমানতগঞ্জে দেদার ত্রাস চালিয়েছে। সদর উপজেলার তালতলী বন্দর থেকে জাটকা, চাপিলা এবং রেণুপোনার মতো জাতীয় সম্পদ পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে। পাশাপাশি বেলতলা টু শায়েস্তবাদ পর্যন্ত সমান্তরাল চালিয়ে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজিসহ সশস্ত্র ত্রাস। সর্বশেষ যার শিকার হয়েলে সাংবাদিক স্বজন তারিকুল ইসলাম, চল্লিশোর্ধ্ব এই যুবকও সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করেন।

ঈদের দুদিন আগে এই বাহিনীর অনুরুপ হামলার শিকার হয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মাহাবুব সিকদার। জানা গেছে, তাকেসহ তার বাবা ভাইদের মারধরের পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে কাউনিয়া পুলিশ গিয়ে দোকানটি খুলে দেয়। সেই ঘটনার সপ্তাহখানেকের মাথায় সাংবাদিক স্বজন তারেক এবং তার ভাইদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে মিরাজ বাহিনী।

স্থানীয় বাসিন্দা নাছির, কবির, সোহেল অভিযোগ করেন, গোটা উত্তর আমানতগঞ্জবাসী সাদিক আব্দুল্লাহ এবং নিরব হোসেন টুটুলের বন্দনা করতো। কিন্তু বিএনপি নেতা মিরাজ, সেলিম, নয়ন, সবুজসহ ৯/১০ জনের বাহিনী যাকে তাকে মারধর করে ক্রমাগত সন্ত্রাস সৃষ্টি করায় মহানগরের শীর্ষ নেতা সাদিকের বদনাম করেছে। এমনকি টুটুলকে বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি, যার প্রভাব পড়েছে সাদিক আব্দুল্লাহ’র রাজনীতিতে। দেখা গেছে, টুটুলের এই বাহিনী মিছিল মিটিংয়ে যে কজন লোক সমাবেত করছে, তাদের অপেক্ষা বিরোধী অংশটি অর্থাৎ স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সামসুদ্দোহা আবিদ এবং মৎস্যজীবী লীগ নেতা খান হাবিব জনসমর্থনে এগিয়ে যাচ্ছেন পর্যায়ক্রমে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, মিরাজসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা সাদিক আব্দুল্লাহ এবং নিরব হোসেন টুটুলের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের ত্রাস চালিয়ে আসায় তাদের ওপর স্থানীয়রা সংক্ষুব্ধ, অনেকেই বিকল্প রাজনৈতিক হিসেবে আবিদ ও খান হাবিবকে বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন। সেক্ষেত্রে নিরব হোসেন টুটুলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, মন্তব্য পাওয়া গেছে।

তবে মিরাজসহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসের কারণে এলাকাবাসী কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামানকেও দুষছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি, মিরাজ, কালু এবং নিজামসহ এই বাহিনীর সদস্যদের চোরাকারবারি করার সুযোগ করে দিয়ে মাসোহারা গ্রহণ করে থাকেন। সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম যে বিষয়টি গত শনিবার শেবাচিমে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের সামনেই প্রকাশ করে দিয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসী বাহিনীটির সাথে যে ওসি আসাদের গভীর সংখ্যতা রয়েছে, তা থানা পুলিশের আচারণেও প্রকাশ পেয়েছে, পাচ্ছে।

থানা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এই বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই প্রতিদিন ওসির রুমে যাতায়াত করেন। এমনকি তাদের একজন বিএনপি নেতা নিজাম সিকদারকে ওসি রুমে বসে সিগারেট খেতেও দেখা যায়। এবং এগুলো তারা দম্ভোক্তির সুরে এলাকার ঘুরে মানুষের কাছে বলে বেড়ায়। ফলে কাউনিয়া থানা পুলিশের ওপরও উত্তর আমানতগঞ্জবাসী ভরসা না রাখতে পেরে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত এবং পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির ও র‌্যাবপ্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মেয়রের চেয়ার হারানোর পরে রাজনৈদিকভাবে দুর্বল থাকা সাদিক আব্দুল্লাহ’র এই দুসময়ে তার নাম ভাঙিয়ে বিএনপি নেতা মিরাজরা যে ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, তাতে স্থানীয়ভাবে আরও সমর্থন হ্রাস পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিপরিতে তার ঘোর শক্র আপন চাচা খোকন সেরনিয়াবাত এবং সদর আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বলয়-বৃদ্ধি ঘটাবে স্থানীয় জনতা।

এই বিষয়ে সাদিক আব্দুল্লাহ’র বক্তব্য না পাওয়া গেলেও নিরব হোসেন টুটুলের ভাষ্য হচ্ছে, তার নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে কোনো ছাড় নয়। উত্তর আমানতগঞ্জে যা হয়েছে, হচ্ছে তার জন্য তিনি দায়ী নন জানিয়ে বলেন, মামলা হয়েছে, পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। আর এই মামলায় যারা অভিযুক্ত তারা আওয়ামী লীগের কেউ না, দলীয়ভাবে তাদের কোনো পদপদবিও নেই।

জানা গেছে, গত শনিবার স্থানীয় বাসিন্দা তারেকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি থানায় যাতে নথিভুক্ত না হয়, বিএনপি নেতা মিরাজ বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ রেখেছিল। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি, কারণ যাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে, সেই তারেক বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক ও সংগঠক হাসিবুল ইসলামের ভাই। এই কারণে বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসন।

এই সন্ত্রাস দমন করা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য গুরুদায়িত্ব বলে মনে করছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি যাদের নাম ভাঙিয়ে ত্রাস চালাচ্ছে, তাদেরও বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। নতুবা কিছুদিন পরে উত্তর আমানতগঞ্জে সাদিক সমর্থক খুঁজে পাওয়া যাবে না, বরং রাজনৈতিক গুরু পরিবর্তন করে মেয়র খোকন সেরনিয়বাতের অনুকূলে যাবে।

নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে হলেও সাদিক আব্দুল্লাহ এবং নিরব হোসেন টুটুলকে বিএনপি নেতা মিরাজসহ ৯/১০ জনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা উচিৎ। এর ব্যত্তয় ঘটলে উত্তর আমানতগঞ্জে আগামীতে সাদিক সমর্থক খুঁজে পাওয়া দুস্কর হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধরা।’

আরও পড়ুন:

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।

তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর  এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।

পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

শেখ হাসিনার পিয়ন ‘পানি জাহাঙ্গীরের’ বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:২৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শেখ হাসিনার পিয়ন ‘পানি জাহাঙ্গীরের’ বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। শুক্রবার সিআইডি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণাদি পাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ৪(২)(৪) অনুযায়ী নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। 

২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন।  কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।  

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে- জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.