
২৫ মে, ২০২৫ ২১:০৬
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান কর্মবিরতি ও আন্দোলন স্থগিত করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৫ মে) সংগঠনটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় এনবিআর কর্মীদের অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছে এবং আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আশ্বাস দিয়েছে। ফলে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঐক্য পরিষদের ঐ কর্মকর্তা জানান, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে। বিস্তারিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।’
এর আগে রোববার এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সোমবার (২৬ মে) থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এবং জরুরি ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়া কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘রাজস্ব ব্যবস্থায় সময়োপযোগী সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চারটি যৌক্তিক দাবি তুলেছি। কিন্তু সরকার কেন, কিভাবে বা কার প্রভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করছে না-তা স্পষ্ট নয়। সুস্পষ্ট সরকারি অবস্থান না আসা পর্যন্ত আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের চার দাবি হলো:-
১. জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।
৩. রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৪. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমানে আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি, তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কর্মসূচি চালু করা হতে পারে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান কর্মবিরতি ও আন্দোলন স্থগিত করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৫ মে) সংগঠনটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় এনবিআর কর্মীদের অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছে এবং আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আশ্বাস দিয়েছে। ফলে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঐক্য পরিষদের ঐ কর্মকর্তা জানান, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে। বিস্তারিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।’
এর আগে রোববার এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সোমবার (২৬ মে) থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এবং জরুরি ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়া কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘রাজস্ব ব্যবস্থায় সময়োপযোগী সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চারটি যৌক্তিক দাবি তুলেছি। কিন্তু সরকার কেন, কিভাবে বা কার প্রভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করছে না-তা স্পষ্ট নয়। সুস্পষ্ট সরকারি অবস্থান না আসা পর্যন্ত আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের চার দাবি হলো:-
১. জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।
৩. রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৪. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমানে আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি, তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কর্মসূচি চালু করা হতে পারে।’
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৫
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৫
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৭
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৯

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৫
“নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এ প্রতিপাদ্যে বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।
জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং ব্র্যাক, বরিশালের যৌথ উদ্যোগে আজ বেলা ১১ টায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সার্কিট হাউস সভাকক্ষে “অদম্য নারী পুরস্কার” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এবং বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
“নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এ প্রতিপাদ্যে বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।
জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং ব্র্যাক, বরিশালের যৌথ উদ্যোগে আজ বেলা ১১ টায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সার্কিট হাউস সভাকক্ষে “অদম্য নারী পুরস্কার” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এবং বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৮
বরিশাল নগরীর একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে এশিয়ান টিভির বরিশাল ব্যুরো ফিরোজ মোস্তফাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে গোড়াচাঁদ দাশ রোডের ‘আল জামিয়া মাদ্রাসা’ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত ফিরোজ মোস্তফাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তাফা বলছেন, খেলোয়াড় পরিচয়ে নাভিদ আনজুম দীর্ঘদিন আগে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়েন। এর সুবাদে তিনি প্রায়ই তার অফিসে আসতেন। পরবর্তীতে নাভিদ মাদক সেবন ও অনলাইন ক্যাসিনো চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
“এরপর হঠাৎ করে নাভিদ তার ই-মেইল আইডি হ্যাক হওয়ার জন্য আমাকে দায়ি করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ঝামেলা করে আসছিল নাভিদ।”
তিনি বলেন, “সবশেষ আমার পারিবারিক কিছু ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। তবে সুবিধা করতে না পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে নাভিদ লোকজন নিয়ে ফ্ল্যাটে এসে অমানবিক নির্যাতন করে।
“ওই দিন থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নাভিদ ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকে রাখে এবং নির্যাতনের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে গত ২ নভেম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”
ফিরোজ মোস্তফার অভিযোগ, “সেদিনই রাতে থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান নাভিদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এ কারণে ৩ নভেম্বর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
“পরে ১৩ নভেম্বর অভিযোগ তদন্ত করার জন্য পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে ডাকেন উপ-কমিশনার (ডিবি) আবুল কালাম আজাদ। কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেওয়ায় ওসি মিজানুর রহমান, এএসআই সাঈদ ও কনস্টেবল নাভিদ আনজুম আরও ‘ক্ষুব্ধ’ হয়। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে বসেই নাভিদ হুমকি দেয়। যার ভিডিও আমার সহকর্মীদের কাছে রয়েছে।”
ফিরোজ বলছেন, “এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে কনস্টেবল নাভিদ আমার বাসায় ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে আমাকে রুমের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।
“নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
মামলা না নেওয়ার প্রসঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বদলি হয়েছি। এখন এ বিষয়ে কোনো কথা বলবো না।”
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, “৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আমি এখানে নতুন এসেছি। তাদের মধ্যে পূর্বে কোনো বিরোধ ছিলো কি-না আমার জানা নেই।
“এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি বলেন, আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে আপাতত ফাঁড়ির ইনচার্জের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। আর আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফা সুস্থ হয়ে হামলার ঘটনায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন।
বরিশাল নগরীর একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে এশিয়ান টিভির বরিশাল ব্যুরো ফিরোজ মোস্তফাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে গোড়াচাঁদ দাশ রোডের ‘আল জামিয়া মাদ্রাসা’ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত ফিরোজ মোস্তফাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তাফা বলছেন, খেলোয়াড় পরিচয়ে নাভিদ আনজুম দীর্ঘদিন আগে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়েন। এর সুবাদে তিনি প্রায়ই তার অফিসে আসতেন। পরবর্তীতে নাভিদ মাদক সেবন ও অনলাইন ক্যাসিনো চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
“এরপর হঠাৎ করে নাভিদ তার ই-মেইল আইডি হ্যাক হওয়ার জন্য আমাকে দায়ি করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ঝামেলা করে আসছিল নাভিদ।”
তিনি বলেন, “সবশেষ আমার পারিবারিক কিছু ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। তবে সুবিধা করতে না পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে নাভিদ লোকজন নিয়ে ফ্ল্যাটে এসে অমানবিক নির্যাতন করে।
“ওই দিন থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নাভিদ ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকে রাখে এবং নির্যাতনের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে গত ২ নভেম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”
ফিরোজ মোস্তফার অভিযোগ, “সেদিনই রাতে থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান নাভিদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এ কারণে ৩ নভেম্বর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
“পরে ১৩ নভেম্বর অভিযোগ তদন্ত করার জন্য পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে ডাকেন উপ-কমিশনার (ডিবি) আবুল কালাম আজাদ। কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেওয়ায় ওসি মিজানুর রহমান, এএসআই সাঈদ ও কনস্টেবল নাভিদ আনজুম আরও ‘ক্ষুব্ধ’ হয়। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে বসেই নাভিদ হুমকি দেয়। যার ভিডিও আমার সহকর্মীদের কাছে রয়েছে।”
ফিরোজ বলছেন, “এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে কনস্টেবল নাভিদ আমার বাসায় ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে আমাকে রুমের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।
“নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
মামলা না নেওয়ার প্রসঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বদলি হয়েছি। এখন এ বিষয়ে কোনো কথা বলবো না।”
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, “৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আমি এখানে নতুন এসেছি। তাদের মধ্যে পূর্বে কোনো বিরোধ ছিলো কি-না আমার জানা নেই।
“এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি বলেন, আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে আপাতত ফাঁড়ির ইনচার্জের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। আর আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফা সুস্থ হয়ে হামলার ঘটনায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন।

০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখির পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। আর এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে।’
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্বোধনকালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকেসহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। যা পুলিশের সামনে ঘটায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২/৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা। পরে তাদের ভূমিকা কেমন হবে? যখন যে দল আসে পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদী উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এলজিডির সচিব, জেলার ডিসিসহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ।’ বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে- তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সঙ্গে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
ফুয়াদ আরও বলেন, ‘বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চীনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে- তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের যে ভাষা ছিল তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তবে কোনও দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘সেতু উদ্বোধন শেষে তাকে ঘুষি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হেনস্তা করা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে তার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনও সহযোগিতা করছে না।’ ঘটনার সঙ্গে যারা যারা জড়িত ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফুয়াদ।
দেশে এখন ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ জানিয়ে ফুয়াদ বলেন, ‘এই প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনশিওর করা। এখনও অনেকে ভোটার হতে পারিনি।’ তাদের জন্য যাতে সময় বৃদ্ধি করা যায় তারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সেখানকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। এরপর বাবুগঞ্জে ব্যারিস্টার ফুয়াদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের দাবি ছিল, বক্তৃতায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ ছাত্রদলকে চাঁদাবাজ বলেছেন।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখির পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। আর এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে।’
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্বোধনকালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকেসহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। যা পুলিশের সামনে ঘটায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২/৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা। পরে তাদের ভূমিকা কেমন হবে? যখন যে দল আসে পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদী উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এলজিডির সচিব, জেলার ডিসিসহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ।’ বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে- তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সঙ্গে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
ফুয়াদ আরও বলেন, ‘বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চীনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে- তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের যে ভাষা ছিল তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তবে কোনও দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘সেতু উদ্বোধন শেষে তাকে ঘুষি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হেনস্তা করা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে তার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনও সহযোগিতা করছে না।’ ঘটনার সঙ্গে যারা যারা জড়িত ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফুয়াদ।
দেশে এখন ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ জানিয়ে ফুয়াদ বলেন, ‘এই প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনশিওর করা। এখনও অনেকে ভোটার হতে পারিনি।’ তাদের জন্য যাতে সময় বৃদ্ধি করা যায় তারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সেখানকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। এরপর বাবুগঞ্জে ব্যারিস্টার ফুয়াদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের দাবি ছিল, বক্তৃতায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ ছাত্রদলকে চাঁদাবাজ বলেছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.