
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:১৫
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সরকারি আবুল কালাম কলেজে বর্ণাঢ্য নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কলেজের একাদশ শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কলেজ ক্যাম্পাসকে মাদক ও স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই নবীন বরণ ও বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ইসহাক শরীফ। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক তারকা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেলের সঞ্চালনায় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যাপক অনুপম রায়, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রোকন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম বাহাদুর, আলী হোসেন, রোজিনা আক্তার, সেলিম হোসেন, রাকুদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান তালেব, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এইচ.এম রিয়াজ মাহমুদ, কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ হাসান হৃদয়, সম্পাদক আব্দুল্লাহ নুর নোমান, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সম্পাদক তাজিম আহমেদ, কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি রাকিব শিকদার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান বলেন, 'বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করার পরে একজন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক হিসেবে আমাকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত এবং স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখতে চাই। মাদকের থাবা এবং মোবাইলের আসক্তি আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিচ্ছে স্মার্টফোন। ছাত্র ও যুবসমাজের জীবনীশক্তি ধ্বংস করে দিয়ে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদক। তাই মাদক এবং মোবাইলের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, তাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।'
নবীন বরণ ও শিক্ষার্থী সংবর্ধনা শেষে কলেজ মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বরিশালের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সজীব আহমেদ ও তার ছোঁয়া ব্যান্ডদল। এসময় উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধে গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠান মাতান নব্বই দশকের জনপ্রিয় এভারগ্রীণ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা অতিথি কণ্ঠশিল্পী ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। নব্বই দশকে ভারতীয় আগ্রাসন ও পানিচুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে গণআন্দোলনের থিম সং এভারগ্রীণ ব্যান্ডের 'ভেঙে দাও ফারাক্কা' নামের প্রতিবাদী গান এবং তুমুল জনপ্রিয় নন্দিনীসহ নিজের স্বরচিত কয়েকটি গান গেয়ে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা করেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, আবৃত্তিকার, নাট্যনির্মাতা ও সরকারি আবুল কালাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। #
বাবুগঞ্জে সরকারি আবুল কালাম কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সরকারি আবুল কালাম কলেজে বর্ণাঢ্য নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কলেজের একাদশ শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কলেজ ক্যাম্পাসকে মাদক ও স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই নবীন বরণ ও বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ইসহাক শরীফ। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক তারকা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেলের সঞ্চালনায় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যাপক অনুপম রায়, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রোকন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম বাহাদুর, আলী হোসেন, রোজিনা আক্তার, সেলিম হোসেন, রাকুদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান তালেব, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এইচ.এম রিয়াজ মাহমুদ, কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ হাসান হৃদয়, সম্পাদক আব্দুল্লাহ নুর নোমান, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সম্পাদক তাজিম আহমেদ, কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি রাকিব শিকদার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান বলেন, 'বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করার পরে একজন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক হিসেবে আমাকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত এবং স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখতে চাই। মাদকের থাবা এবং মোবাইলের আসক্তি আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিচ্ছে স্মার্টফোন। ছাত্র ও যুবসমাজের জীবনীশক্তি ধ্বংস করে দিয়ে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদক। তাই মাদক এবং মোবাইলের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, তাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।'
নবীন বরণ ও শিক্ষার্থী সংবর্ধনা শেষে কলেজ মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বরিশালের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সজীব আহমেদ ও তার ছোঁয়া ব্যান্ডদল। এসময় উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধে গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠান মাতান নব্বই দশকের জনপ্রিয় এভারগ্রীণ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা অতিথি কণ্ঠশিল্পী ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। নব্বই দশকে ভারতীয় আগ্রাসন ও পানিচুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে গণআন্দোলনের থিম সং এভারগ্রীণ ব্যান্ডের 'ভেঙে দাও ফারাক্কা' নামের প্রতিবাদী গান এবং তুমুল জনপ্রিয় নন্দিনীসহ নিজের স্বরচিত কয়েকটি গান গেয়ে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা করেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, আবৃত্তিকার, নাট্যনির্মাতা ও সরকারি আবুল কালাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। #

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
বরিশালে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে পড়া কৃষিজমি উদ্ধার ও খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খাল পুনঃখনন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বিলের পোল থেকে নাপিত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্বনির্ভর খাল খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। চরকাউয়া এলাকায় গিয়ে তিনি দেখেন, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভরাট খালের কারণে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি বছরের পর বছর জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি দ্রুত খাল খনন প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বলেন, ‘বরিশালের ভরাট খালগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকের আয় বাড়বে।’
বিএডিসি বরিশাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খালটি ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। একই সঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংস্থাটি জানায়, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলে ৩০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া ও আজাহার আলী জানান, খাল পুনঃখননের ফলে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা জমি আবার আবাদযোগ্য হবে। সেচসুবিধা বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় কমবে, আর কৃষকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও কমে আসবে। তাদের আশা, কাজটি সময়মতো ও সঠিকভাবে শেষ হলে এলাকার কৃষিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক বলেন, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়াই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যদি জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে আসে।’
বরিশালে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে পড়া কৃষিজমি উদ্ধার ও খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খাল পুনঃখনন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বিলের পোল থেকে নাপিত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্বনির্ভর খাল খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। চরকাউয়া এলাকায় গিয়ে তিনি দেখেন, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভরাট খালের কারণে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি বছরের পর বছর জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি দ্রুত খাল খনন প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বলেন, ‘বরিশালের ভরাট খালগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকের আয় বাড়বে।’
বিএডিসি বরিশাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খালটি ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। একই সঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংস্থাটি জানায়, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলে ৩০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া ও আজাহার আলী জানান, খাল পুনঃখননের ফলে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা জমি আবার আবাদযোগ্য হবে। সেচসুবিধা বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় কমবে, আর কৃষকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও কমে আসবে। তাদের আশা, কাজটি সময়মতো ও সঠিকভাবে শেষ হলে এলাকার কৃষিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক বলেন, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়াই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যদি জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে আসে।’

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
বরিশালের গৌরনদীতে ৪ ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশাল শহরের বাসিন্দা অশোক, গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের হৃদয় ও তার ভাই তারেক, স্বরূপকাঠী এলাকার তসলিম।
আটকদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধ্যরাতে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতাবস্থায় আটক চারজনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বরিশালের গৌরনদীতে ৪ ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশাল শহরের বাসিন্দা অশোক, গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের হৃদয় ও তার ভাই তারেক, স্বরূপকাঠী এলাকার তসলিম।
আটকদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধ্যরাতে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতাবস্থায় আটক চারজনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.